পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Հ প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩৭ গভীর দৃষ্টির, গভীর ধ্যানের ও গভীর উপলব্ধির । বাংলা সাহিত্যে তাহাও নাই । সাহিত্যিক সত্যের নিকষ-পাষণে সমসাময়িক বাংলা সাহিত্যের দাগ কফিলেই বোঝা যায় বাংলা সাহিত্যে কতটা বিষয়-বস্তুর গভীরতা, কতটা দৃষ্টির গভীরতা, কতটা বা ভাবানুভূতির গভীরতার অভাব । গোড়াতেই একটি কৌতুকাবহ ব্যাপার চোখে পড়ে— যে বাংল| দেশ বাংল। দেশ, বাংল| যে সমাজ সত্য-সত্য বাঙালী, বৰ্ত্তমান বাংলা সাহিত্যে তাহাকেই খুজিয়া পাওয়া যায় না । সাহিত্যে গভীরতার মত আর একটি ধৰ্ম্মের প্রয়োজন আছে –লিপিকুশলত, আট, বা যাহ। নিছক রূপকৰ্ম্মের দিক্ । এ ধৰ্ম্ম মাতৃযের শিক্ষা, সাধনা, অভ্যাস ও রসবোধের উপর নিভর করে । বিষয়ে একেবারে উদাসীন । বাংলা সাহিত্যই বাংল। সে গৌরবের আশ্রয় কত সামান্য । (১) সঙ্কীর্ণ, সীমাবদ্ধ ; ইহার সাহসও অল্প ; (২) ইহার গভীরতা, উদারত ও গান্তীয্য নাই—তাই ইহাতে অমুকুতি আছে, স্মৃষ্টি নাই, ইহা পরগাছা ও আগাছা মাত্র ; (৩) ইহা অদ্ধশিক্ষিত শ্রদ্ধাহীন অনিপুণ সাহিত্যিকের রচনা, তেমনিতর অৰ্দ্ধশিক্ষিত শ্রদ্ধাহীন অমার্জিতমনা: পাঠকের উদ্দেশ্যে লিখিত । বাংলা সাহিত্যিক এ ভাষার গৌরব –কি স্তু এক্ট সাহিত্য বাঙালী জাতি ও বাংলা ভাষা বাংলা ভাযাব ভবিষ্যং যাহার উপর নির্ভর করে, বাংলা সাহিত্যের ভবিষ্যৎও তাঁহারই উপর নিভর করিতেছে- সে বাঙালী জাতির উপর। বাঙালী দুদি বড় জাত হইতে পারে, মুখ্য জাত হইতে পারে, বাঙালীর ভাষাও বড় হইবে, মুখ্য ভাষা হইবে । বাংলা ভাষা ও বাংলা জাতি অতীতে ও বর্তমানে কোন স্থান অধিকার করিয়াছে, তাহার একবার সন্ধান লইলে এ বিষয়ে ধারণ পরিষ্কার হইবে। হাজার বৎসর হইতে চলিল বাঙালী জাতি ও বাংলা ভাষা জন্মিয়াছে—বয়সের দিক হইতে ইহা কম কথা [৩০শ ভাগ, ২য় খণ্ড নয়। বাঙালী জাতি বাংলা ভাষার সহর্জাত কবচকুণ্ডল লইয়া ভূমিষ্ঠ হইয়াছে। নেশানের জন্মকথা যাহারা জানেন তাহার বলিবেন, এই ভূমির পরিধি ও ও ভাষার পরিখাই নেশানত্ব সংরক্ষণের উপায় । তথাপি বাঙালী কেন নেশান হইতে পারে নাই ? সে যুগের বাংলা ভাষার অতি সামান্ত নিদর্শন মিলে, কিন্তু তাহার অনেক বেশী নিদর্শন পাই অপর একটি ভাষার । কাহ্ন, সরোহ প্রভৃতি যে বৌদ্ধ পণ্ডিতগণ ‘চয্যাপদে’ দেশী গান গাহিতেছেন, তাহারাও জানেন যে, এ ভাষা নিতান্ত প্রাদেশিক । তাই, “দোহাকোষে দেখি, যাহা তৎকালীন উত্তরভারতের জানা ভাষা, সভ্য ভাষা, সেই পশ্চিম অপভ্রংশে তাহার। গান রচনা করিতেছেন । আরও অনেক পরে বিদ্যাপতি মৈথিলীতে দেশী গান বাধিতেছেন, কিন্তু ‘কীৰ্বিলত। প্রভৃতি সাহিত্য রচনাকালে তিনি যে সব সে মিঢ়ঠ দেশী বুলির আশ্রয় লইলেন সেই অবহট্ঠ । স্মরণ রাথিতে হইবে এই অবহটঠা প্রাচীন হিন্দুস্থানার ঠিক পূৰ্ব্বতন সংস্করণ । যুগে যুগে এই শীরসেনী অঞ্চল শিক্ষায়, সাধনায়, সংস্কৃতিতে, বলবীঘ্যে, সমগ্র আৰ্য্যভারতের হৃদকেন্দ্র বলিয়া স্বীকত হইয়া আসিয়াছে ; তাহার ভাযাই,—সে শৌরসেনী প্রাকৃতই হোকু ব৷ পরবর্তী অপভ্রংশই হোকু—সমগ্র অtয্যাবক্টের মূল ভাষ বা আদর্শ ভাষা বলিয়। আদৃত হইয়াছে । সেনরাজয়ে জাতি উত্তর ভারতের মাতৃক্রেডি ছাড়িয় আসিল তখন ৪ তাহার দৃষ্টি শৌরসেনী অঞ্চলে নিবদ্ধ। নিজের একটা বৈশিষ্ট্যের সন্ধান সে পাইল কিন্তু ভাষার পরিখায় তাহাকে একান্ত করিয়া লইয়। সে আয্য-গোষ্ঠীর বাহিরে বড় হইতে চাহিল না, এমন কি হিন্দীভাষী অঞ্চলের ভাষার নেতৃত্বও অস্বীকার করিল না। অর্থাং বাঙালী স্বাতন্ত্র্য পাইল, বিচ্ছিন্নত চাহিল না, ডোমিনিয়ন ষ্টেটাস্ লাভ করিল, ইণ্ডিপেণ্ডেন্স কামনা করিল না, নিজের বিকাশের পথ খুজিল, কিন্তু ভারত ভূমির প্রতি যে greater loyalty আছে তাহা বিসর্জন দিয়া নয় । জন্মক্ষণেই বিধাতা বাঙালী জাতির ললাটে যে অদৃষ্ট তাহা 지