পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুঙ্গের দুর্গ শ্রীনারায়ণচন্দ্র দে জামালপুরে গাড়ী বদল ক’রে মুঙ্গেরের গাড়ীতে চড়েই বন্ধুকে ব্যস্ত কুরুতে লাগলাম। এমন একজন এ দেশের প্রবাসী বাঙালী চাই যার কাছে দুটো গল্প শুনতে পাব । গাড়ী ছাড়তে দেরি আছে এই ভরসায় বন্ধু প্লাটফরমে নেমে পড়লেন এবং খানিক পরেই এক প্রৌঢ় ভদ্রলোককে সঙ্গে নিয়ে কামরায় ঢুক্লেন। আমার পরিচয় দিয়ে তাকে বললেন যে, আমি মুঙ্গের বেড়াতে চলেছি, তাই মূঙ্গেরে কি দেখবার আছে শুনতে চাই । ভদ্রলোক হেসে বললেন, মুঙ্গেরে এখন আর কি দেখবেন ? মুঙ্গের ত আজকের শহর নয়, মুদগল ঋষির আশ্রম ছিল এখানে, তাই এর নাম হয়েছে মুদাগিরি। সেই থেকে দাড়িয়ে গেছে মুঙ্গের * কেল্লার পাশেই এক অতি প্রাচীন ঘাট আছে, সেই ঘাটে বসে মুদগল ঋষি বৎসরের পর বৎসর তপস্যা ক’রে চলেছিলেন । এক পক্ষ ধরে উপবাসী হয়ে তপস্য করতেন, পক্ষের শেষদিন সন্ধ্যার সময় চাল যা সংগ্ৰহ হ’ত তাই ফুটিয়ে খেতে, আবার চলতে এক পক্ষ অভূক্ত অবস্থায় তপস্যা। এমনি ক’রে ঋষির তপস্যা চলেইছে, অবশেষে নারায়ণ একজন ব্রাহ্মণের বেশে উপস্থিত হলেন ঋষির সামনে । ঋষি পক্ষশেষে সেইমাত্র চাল ফুটিয়ে ভাত নামাচ্ছেন এমন সময় অতিথি উপস্থিত! প্রসন্নচিত্তে সমস্ত অন্ন দিয়ে অতিথির ক্ষুধা নিবারণ করলেন, নিজের আর খাওয়৷ হ’ল না । পরের পক্ষের শেষে নারায়ণ অন্তু এক বেশে আতিথ্য গ্রহণ করলেন । এবারও এক মাসের উপবাসীর মুখের অল্পে নিজের ক্ষুধার নিবৃত্তি করলেন। ঋষির মুখে কিন্তু তবু প্রসন্নতার চিহ্ন, বিরক্তি দুথ একটুও নেই। নারায় তখন আপনার মূর্তি ধরে ঋষিকে বললেন, “তোমার পরীক্ষা শেষ হয়েছে। আমি তৃপ্ত

  • কানিংহাম সাহেবের মতে ঐ অঞ্চলে মুঙ্গ জাতি বাস কতি, তাই *** **-Archaeological Survey, Vol. XV.

8 ཉི་ ཕམམe 8 爵 হয়েছি। তোমার কি বর চাই বল ।” ঋষি বললেন, “আমি আপনাকে যখন পেয়েছি, তখন আমার সব পাওয়াই হয়ে গেছে ; তবে বর যদি দেন ত এই ঘর দিন যে, এই ঘাটে আমার যেমন সকল কষ্টের শেষ হয়েছে, তেমনি নর-নারী যে-কেহ এই ঘাটে স্বান ক’রে আপনার পূজা করবে তারও জীবনান্তে বৈকুণ্ঠলাভ ঘটবে । ‘তথাস্তু’ বলে নারায়ণ অস্তুৰ্হিত হলেন । সেই থেকে এই ঘাটটির নাম হয়েছে কষ্টহারিণী ঘাট । ভদ্রলোক গল্প শেষ ক’রে আমার দিকে চাইতেই আমি বললাম, “আপনার ঋষির প্রতি আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা হচ্ছে ; আপনার ঋষি নিজের জন্য অমরত্ব চান নি, ব্রাহ্মণত্বও চান নি । চেয়েছিলেন যা, ও সে-যুগের বড় বড় ঋষিদের মধ্যেও দেখা যায় না। জীবনের শ্রেষ্ঠ কাম্য বৈকুণ্ঠলাভ, যা দুশ্চর তপস্যায় তিনি পেলেন তা অপরে বিনা আয়াসে পাক্ এই ছিল তার আকাঙ্ক্ষা। এই ঋষির দেশের লোকেরা উত্তরাধিকারসূত্রে এ গুণ কতটা পেয়েছে বলুন ত!” "রামচন্দ্ৰ ! স্বর সব এক-Behar Beharis—পরার্থপরতা একটুও নাই।” “থাক, কষ্টহারিণী ঘাটের কথা বলছিলাম। সে ঘাট রাম ও সীতার পাদস্পর্শে ধন্ত হয়ে গেছে। রাবণ রাক্ষস হলেও ব্রাহ্মণের গুণ র্তার ছিল অনেক । রাত্রে রাম স্বস্থির হয়ে ঘুমতে পারতেন না, রাবণের প্রেতমুক্তি যেন এসে তিরস্কার করত। রাম তাই লক্ষ্মণ ও সীতাকে নিয়ে তীর্থভ্রমণে বাহির হলেন । গঙ্গা পার হয়ে এই কষ্টহারিণী ঘাটে এসে উপস্থিত হলেন। দেবতার ঘাটে উপস্থিত। রাম, সীতা, লক্ষ্মণ তাড়াতাড়ি স্নান সেরে তাদের অর্ঘ্য দিয়ে পূজা করতে বসলেন। দেবতার রাম ও লক্ষণের অর্ঘ্য গ্রহণ করলেন, কিন্তু সীতার অর্ঘ্য গ্রহণ করতে চাইলেন মা ; সীতা বহুদিন রাবণের গৃহে for the