পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ጽ◊ .-ു- -- عبری به ۶ تا ۹ مهر ماه مه ۹ ماه مه هم ۰۰۰ কিন্তু সন্ত্রাস্ত আফগান-বংশেও কল্প, মঞ্জু বন্ধু, ইত্যাদি নাম ইতিহাসে দেখিতে পাই। সম্রাট সিকন্দরের পিতার নাম ইতিহাসে বহলোল লোদী, কিন্তু পিতৃদত্ত বাল্যনাম বন্ধু ; ঐ বস্তুর এক খুল্লতাত ছিলেন মধু । ইহা ছাড়া সকল সমাজেই বালক বা শিশুর রূপ গুণ দেখিয়া নানাপ্রকার উপনাম বা ডাকনাম রাখা হইয়া থাকে স্বয়ং মহাপ্ৰভু অত্যস্ত গৌরবর্ণ ছিলেন প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩৭ f ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড

  • ヘ مہم* SASJJSJSAAAAAAS AAASASAS SSASAJSMSSASAS SSAS SSAS

বলিয়া তাহার এক নাম “গৌরাঙ্গ” । সম্ভবতঃ পাঠানরাজপুত্র আহমদ খার বিদ্যুতের মত উজ্জল বর্ণ ছিল বলিয়া তাহার ডাকনাম “বিজলী খা” হইয়া থাকিবে । আমার বিশ্বাস, বিজুলী খ ও আহমদ খা একই ব্যক্তি ও গল্পটি বৈষ্ণবদের কল্পিত নহে, সত্য ঘটনা । মহামায়। শ্রীসীতা দেবী ( 8? ) নিরঞ্জন বেশীর ভাগ সময় নিজের আপিস-ঘরেই এখন কাটাইয়া দিতেন। ইন্দু না আসা পৰ্য্যস্ত অবশ্ব তাহাকে বাধ হইয়া অনেকটা সময়ই মেয়ের ঘরে কাটাইতে হইত, কিন্তু এখন আর পারতপক্ষে দোতলায় তিনি যাইতে চাহিতেন না। মায়ার অর্থহীন দৃষ্টি, পরিবর্তিত মুখের ভাব দেখিলে তাহার বুকের ভিতর যেন জলিয়া যাইত, এ যেন তাহার কন্যা নয়, কন্যার মুখোস পরিয়া কে সঙ সাজিয়া আসিয়াছে। সারাক্ষণই তাহার খবর লইভেন, " প্রত্যেকবারেই আশা করিতেন স্থখবর একটু কিছু শুনিবেন, প্রতিবারেই তাহাকে নিরাশ হইতে হইত। মায়া একইভাবে অাছে শুনিয়াই তাহার মনে হইত দিনের আলো যেন কালো হইয়া গেল। কিন্তু সংসারে আশাই অবিনাশী, আবার দেখিতে দেখিতে মনের কোণে আশার অন্ধুর জাগিয়া উঠিত, এখনও সময় যায় নাই, হয়ত আরও কিছুদিন পরেই পরিবর্তন দেখা দিবে। ডাক্তার মিত্র বলিয়াছিলেন, এ ধরণের যত ঘটনার ইতিহাস লিপিবদ্ধ আছে,তাহার ভিতর সকলেই কোনে-না-কোনো সময় লুপ্তস্থতি ফিরিয়া পাইয়াছিল, মায়াই কি একমাত্র পাইবে না ? এতবড় ফুৰ্ব্বিষহ দুঃখের জন্য ভগবান কি নিরঞ্জনকেই বাছিয়া রাখিয়াছেন ? 斑 দেবকুমারের কথা মনে হইলে নিরঞ্জন সত্যই যেন বেদনায় অধীর হইয়া পড়িতেন । তাহার নিজের পুত্রসস্তান ছিল না, ভ্রাতার পুত্রদের তিনি সাহায্য যথেষ্টই করিতেন, কিন্তু হৃদয়ের সম্পর্ক তাহাদের সঙ্গে তাহার অল্পই ছিল । অজয় বাড়ীতে থাকিত বটে, কিন্তু মাসে একদিনও নিরঞ্জনের সঙ্গে তাহার দেখা হইত কিনা সন্দেহ । দেবকুমারকে জামাতা রূপে পাইবেন, ইহা জানিবার পর তাহার প্রতি র্তাহার এমন একটা স্নেহ জন্মিয়া গিয়াছিল যে, নিজেই তিনি ইহার আতিশয্যে বিস্মিত হইয়া যাইতেন। চিরদিনের রুদ্ধ পুত্রস্নেহ এক নিমেষেই এই সুদর্শন যুবককে তিনি নিঃশেষ করিয়া ঢালিয়া দিয়াছিলেন । মায়ার এই অভাবনীয় রোগ যেন নিরঞ্জনের সস্তানস্নেহের দুটি অধিকারাকেই সমানভাবে আঘাত করিল। দেবকুমারকে কি বলিয়া তিনি সাত্বনা দিবেন, তাহ। ভাবিয়া পাইতেন না । তাহার দুঃখ যে কতখানি, তাহা অস্তুতঃ বুদ্ধির দ্বারা তিনি বুঝিতে পারিতেন। যৌবনে প্রণয়িনীর প্রেমলাভ করিবার সৌভাগ্য তাহার নিজের হয় নাই, কিন্তু পুরুষের মনে কি প্রবল আকাঙ্ক যে এই জিনিষটির জন্য থাকে, তাহা তাহার জ্ঞা ছিল না । হতভাগ্য দেবকুমার ষে এই