পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৯৮ প্রবাসী-মাঘ, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ২য় খণ্ড দেবকুমার বলিল, “সারবার সম্ভাবনা আছে কিছু বললেন ?” নিরঞ্জন বলিলেন, “আছে বলেই ত বললেন। কিন্তু এ সব কেসের চিকিৎসা ত কিছু নেই, সেই হয়েছে মুন্ধিল । সবই নেচারের উপর ছেড়ে রাখতে হয়। তিনি বললেন যেমন হঠাৎ স্মৃতি চলে গিয়েছে, তেমনি হঠাৎ ফিরেও আসতে পারে।” দেবকুমার জিজ্ঞাসা করিল, “তবু কিছুই কি করবার নেই ? তার প্রোগ্রেসকে হেল্প করবার জন্তে মামুষে কিছুই করতে পারে না ?” নিরঞ্জন বলিলেন, “আমি যতদূর তার কথা থেকে বুঝলাম, করবার কিছু নেই। তার স্বাস্থ্য ভাল রাখা, তার মন ভাল রাখা, এ সবের চেষ্টা অবশ্ব করতে বললেন। তা করাও হচ্ছে যথাসাধা । তবে তার মনের এখন যা অবস্থা, তাতে কি তার ভাল লাগে, কি ভাল লাগে না, কিছু বোঝাও যায় না।” দেবকুমার বলিল, “অন্য কোথাও নিয়ে श्ध्न ना ?” নিরঞ্জন বলিলেন, “সেটা বারণ করছেন । পরিচিত লোকজনের মধ্যেই সারবার সম্ভাবনা বেশী । তোমায় যদি অল্পও মনে রাখত, তাহলে ঢের তাড়াতাড়ি সেরে উঠতে পাবৃত। ডাক্তার সেই কথা বলছিলেন।” দেবকুমার চুপ করিয়া রহিল। মায়া যে তাহাকে কিরূপে সম্পূর্ণভাবে ভুলিয়াছে, তাহা সে অল্প আগেই দেখিয়া আসিয়াছে, সেই জানার তীব্র বেদনায় তখনও তাহার বুকের ভিতরটা টন্‌টন করিতেছিল। খানিক পরে উঠিয়া পড়িয়া বলিল, “আমি আসি তাহলে । আমি এখানে ঘন ঘন এলে যদি কোনও লাভ গেলে হয়, তাহলে আমি রোজ আস্ব । না হলে মায়াকে শুধু শুধু বিরক্ত করতে চাই না। মনে করতে না পারুক, আবার যদি আমার সঙ্গে আলাপ করতে রাজী হয়, তাতেও খানিকটা লাভ আছে।” নিরঞ্জনের সম্মুখে সে বলিতে পারিল না, কিন্তু মনে মনে তাহার একটা তীব্র আকাঙ্ক্ষা জাগিয়া উঠিতেছিল । । মায়াকে সে হারাইতে পারিবে না, দৈব তাহাকে এমন বঞ্চনা কখনও করিতে পারিবে না। প্রয়োজন হয়, আবার সে মায়াকে জয় করিয়া লইবে । তাহার পথে যে দাড়াইবে, তাহাকে নিৰ্ব্বিচারে পদদলিত করিতে তাহার কিছুতেই বাধিবে না। নিরঞ্জন বলিলেন, “ইন্দুকে দিয়ে মায়াকে জানাব এ কথা। তার মত হবে না বোধ হয়, তবু চেষ্টা করা:ভাল । প্রভাসের কথাটাও পরিষ্কার হয়ে যাওয়া ভাল।” দেবকুমার উঠিয়া গেল। বাহির হইয়া যাইবার সময় আর মায়া বা প্রভাস কাহাকেও বাগানে দেখা গেল না । নিরঞ্জন চিন্তিতভাবে উঠিয় উপরে চলিলেন। দেবকুমারের অভিযোগ যদি সত্য হয়, তাহা হইলে তিনি কি করিবেন ? প্রভাসকে সোজাসুজি বিদায় করিয়া দেওয়াই বা যায় কি প্রকারে ? অথচ পিতা হইয়া কন্যার আসক্তির বিষয়ই বা তিনি একজন যুবকের সহিত কি করিয়া আলোচনা করিবেন ? ইন্দুকে বলিতে পারেন বটে, কিন্তু সে কি প্রভাসকে ভাল করিয়া গুছাইয়া বলিতে পারিবে ? চিরদিন পাড়াগায়ের গৃহস্থঘরে কাটাইয়াছে, এসব ব্যাপারে তাহার একেবারেই অনভ্যস্ত । তবু কিছু না করিয়া উপায় নাই। মায়ার ঘর হইতে তখনও অস্ফুট কথার স্বর শুনা যাইতেছিল। নিরঞ্জন বাহিরে দাড়াইয়া ডাকিলেন, “ইন্দু, আছিস্ না কি ?” ইন্দু তাড়াতাড়ি বাহির হইয়া আসিয়া বলিল, “আমায় ডাক্‌ছ মেজদা ?” নিরঞ্জন বলিলেন, “একবার নীচে চল, তোর সঙ্গে একটা কথা আছে।” মায়া উকি মারিয়া দেখিল, মুখেচোথে তাহার একটা অত্যুগ্র কৌতুহলের চিহ্ন। সদাসৰ্ব্বদাই তাহার সন্দেহ ষে বাড়ীর সকলে মিলিয়া তাহার সম্বন্ধে কি যেন অভিসন্ধি করিতেছে। কিন্তু বাপের সম্বন্ধে তাহার সেই বহু পূৰ্ব্বের সঙ্কোচ আবার ফিরিয়া আসিয়াছিল, পারতপক্ষে নিরঞ্জনের কাছে সে ঘোষিত না। স্বতরাং তাহার नाप्म कि कथा श्य उांश जानिशद्र चङारु चाक्षर षोंक সত্বেও তাহাকে বাধ্য হইয়া নিজের ঘরেই বসিয়া থাকিতে झंझेल । .:3;&.لہر