পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] SJJJSMAMAAAS SSAAAASA SAAAAMMAMMSMJS বলিলেন, “দেখ, ইন্দু, তোকে আমি একটা কথা জিগগেষ করছি, ভাল করে ভেবে উত্তর দিস। আজ দেবকুমার আমার কাছে এসে বললে,প্রভাসের ব্যবহার তার মোটেই ভাল বোধ হয় না, তাকে বেশী দিন এখানে থাকতে দিলে মায়ার অনিষ্টের আশঙ্কা আছে । এরকম কথা কি তোর কোনো দিন মনে হয়েছে ?” ইলু খানিকক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া বলিল, “আমিই তোমায় বলব ভাবছিলাম, মেজদ, তুমি নিজে জিগগেম করলে ভালই হ’ল। প্রভাসের মনে কি আছে না আছে জানি না, চালচলন ত তার ভালই বলতে হয়। কিন্তু মায়ার মাথায় সৰ্ব্বনেশে খেয়াল চড়েছে, তার মন যেন সারাক্ষণ ঐদিকেই বুকে আছে মনে হয়। প্রভাস সেটা বোঝেও যেন মনে হয়। তার উচিত এখনি এখান থেকে সরে যাওয়া, কারণ, তার সঙ্গে মায়ার বিয়ে কোনে। দিনই তোমরা দেবে না। কিসের আশায় যে বসে আছে, সে-ই জানে। মায়ার জ্ঞানবুদ্ধি ফিরে এলে সে কি আর দেবকুমার ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করতে যাবে ? আমাদের গুষ্টির মেয়ে, কখনও তা করবে না ।” নিরঞ্জনের মুখের ভাব কঠিন হইয়া আসিল । তিনি বলিলেন, “প্রভাগ যদি মায়ার ভাবগতিক বুঝেও বসে আছে, তাহলে তার ব্যবহার ভাল বলতে পারি না । যাক, এ বিষয়ে যা করবার তা আমি করব । মায়া যেন ওর সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ করার কোনো স্থবিধে না পায়, সেটা দেখিস্।” ইন্দু বলিল, “ত সতর্ক ত সারাক্ষণই আছি, পাচজন মাঝে পড়ে গোলমাল পাকিয়ে তোলে, সেই ত হয় সুস্কিল। আজও বিকেলে অজয় বোকামী করে প্রভাসকে ডাকাডাকি না করলে, সে কাছে আসার কোনো সুবিধাই পেত না । যাক, এর পর আর ভদ্রতার ধারও ধারব না।” নিরঞ্জন বলিলেন, “থাক, অভদ্রতা করবার কিছু দরকার নেই, জামি আজ রাত্রেই তার সঙ্গে কথা বলব। পরের ষ্টিমারেই যাতে বিদায় হয়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। মাঝের দুটো দিন সাক্সান থাকলেই হ’ল। মহামায় ইলুকে নীচের লাইব্রেরীর ঘরে লইয়া গিয়া নিয়ন । 8సిఫి - به ۰ می»۶۰.۰۰. م- میم ۱ رامه... ইন্দু আবার উপরে চলিয়া গেল। মায়ার ঘরের সামনে আসিতেই সে উত্তেজিতভাবে ছুটিয়া আসিয়৷ ইন্দুর হাত চাপিয়া ধরিল। জিজ্ঞাসা করিল, “আমাকে লুকিয়ে লুকিয়ে কি সব মতলব তোমরা অর্ণটছ শুনি ?” নিরঞ্জনের কথা শুনিয়া অবধি ইন্দুর মনটা উষ্ণ হইয়াছিল। মায়া যেন অগ্নিতে ঘৃতাহুতি দিল । ঠেল৷ মারিয়া মায়াকে সরাইয়া দিয়া, সে তীব্র ভৎসনার স্বরে বলিয়া উঠিল, “ষ, যা, সব কথায় তোর দরকার নাকি ? নিজের চরকায় তেল দিগে যা। লোকের হাড় জালিয়ে খাচ্ছিস মুখপুড়ী, আবার তাদেরই দুষছিল।” বকুনি শুনা মায়ার অভ্যাস ছিল না । সে থানিকট ভ্যাবাচ্যাক খাইয়া পিছাইয়া গেল। তাহার পর নিজেও বেশ খানিকটা তীব্ৰকণ্ঠেই বলিল, “আমি আবার কার হাড় জালালাম ? কারো সাতেও নেই, পাচেও নেই । আমার কথাতেও লোকে না থাকৃলেই পারে ?” সে আর ইদুর কাছে দাড়াইল না। ঘরে ঢুকিয়া সশব্দে দরজাটা বন্ধ করিয়া দিল। ইন্দু নিজের ঘরে চলিয়া গেল । অন্যান্য দিন সে মায়ার ঘরেই শয়ন করিত। আজ রাগারগি করিয়া তাহার শরীর মন ভাল লাগিতেছিল না। নিজেরই ঘরে মেঝের উপর একটা বিছানা পাতিয়া সে শুইয়া পড়িল । মনে করিয়াছিল খানিক পরে মায়ার ঘরে উঠিয়া যাইবে, কিন্তু অল্পক্ষণের মধ্যেই সে গভীর নিদ্রায় অভিভূত হইয়া পড়িল । প্রভাস সেদিন কোকাইন লেকের চারিধারে ঘুরিয়া ঘুরিয়া অনেক রাত করিয়া ফেলিল। কিছুতেই তাহার আর ফিরিয়া বাড়ী যাইতে ইচ্ছা করিতেছিল না। বাড়ীর কেহই যে তাহাকে আর ভাল চক্ষে দেখে না, তাহা সে বুঝিতেই পারিতেছিল। তাহা হইলে আর থাকার কি প্রয়োজন ? ফিরিয়া গেলেই হয় ? কিন্তু কি যেন বাধা মনের মধ্যে কেবলই খটকা লাগায়। যাইবার কথা ভাবিতে গেলেই মন बिभूर्भ इंहेब शाग्न কেন ? তবে কি মায়ার কাছেই তাহার হৃদয় এতদিন পরে আত্মসমপণ করিল ? তাহাও ত স্বীকার করিতে পারে না। অনোর বাগদত্ত বধূর প্রতি তাহার গম্বুরাগ জন্ধিয়াছে মনে করিতে অস্থশোচনায় তাহার আম ভরিয়া উঠে।