পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহামায়া ○ ●● ছিল। অবগু নিজের কাছে প্রমাণ করিতে পারিলেই কিছু যে লাভ হইবে না তাহা সে জানিত, তবু নিজের বিবেককে শাস্ত করিবার চেষ্টার তাহার অস্তু ছিল না । এতক্ষণ সে পথ ধরিয়া চলিতেছিল, মধ্যে মধ্যে একএকটা মোটরকার তাহার পাশ দিয়া চলিয়া যাইতেছিল । মামুষের সঙ্গ এতটুকুও প্রভাসের ভাল লাগিল না, সে পথ ছাড়িয়া মাঠের ভিতর নামিয়া পড়িল এবং হ্রদের ধারে গিয়া ঘাসের উপর বসিয়া পড়িল । তাহার চিন্তার ধারা অবাধে বহিয়া চলিল । কতক্ষণ যে সে বসিয়াছিল তাহার ঠিকানা নাই। দিনের আলো স্নান হইতে হইতে কখন তিমির-প্লাবনে ডুবিয়া গেল, কখন আকাশের ঘন নিকষের কোলে তার ফুটিয়া উঠিল তাহাও সে খেয়াল করে নাই। নিজের মনের চিন্তাম্রোতে সে একেবারে ডুবিয়া গিয়াছিল। হঠাৎ কাহার পায়ের শব্দে সে চমকিয়৷ পিছন ফিরিয়া তাকাইল। তাহার বুকের রক্ত যেন তাণ্ডব নৃত্য করিয়া উঠিল, তাহার পর হিমশীতল হইয়া আসিল । মায়া তাহার পিছনে দাড়াইয়া আছে। বাড়ীভরা লোকের চোখ এড়াইয়া সে কি করিয়া যে পলায়ন করিয়াছে, তাই। প্রভাস ভাবিয়াই পাইল না। মায়াকে কি বলিবে, কি করিয়া তাহাকে ফিরাইবে, তাহা কিছুই সে স্থির করিতে পারিল না। এতক্ষণ যতপ্রকার মনগড়া যুক্তি দ্বারা নিজেকে সে বুঝাইতেছিল, সমস্তই মায়ার আকস্মিকু আবির্ভাবে শূন্যে বিলীন হইয়া গেল। মায়াই ও থমে কথা বলিল, “আপনি না-কি কালই চলে যাচ্ছেন ?” প্রভাস মূঢ়ের মত বলিল, “হঁ্যা।” মায়া বলিল, “আমাকে ফেলে যাবেন, এই মেচ্ছদের মধ্যে ? এখানে আমাকে বাচাবার কেউ নেই, বাবা স্বদ্ধ আমার শত্রু ’ প্রভাস উঠিয়া পড়িল, বিচলিতভাবে বলিল, “মায়া, অস্বখের কোকে তুমি কি করছ, কি বলছ নিজেই বুঝতে পাৰ্বছ না । তোমার বাবা কখনও তোমার শক হতে পারেন । তিনি তোমার সকলের চেয়ে বড় বন্ধু, তিনি যা-কিছু করছেন, তা তোমার মঙ্গলের জন্য করছেন।” মায়া উত্তেজিত হইয়া উঠিল । একটু তীব্রভাবে বলিল, “সবাই খালি বলে অস্থখ ! কি অস্থখ হয়েছে जाभोग्न ? कहे चाधि ७ किङ्क दूक्षि ना ! बाबा আমার বন্ধু বলছেন ? হিন্দু ব্রাহ্মণঘরের মেয়ে আমি, আমাকে একটা নীচ জাতের বিলাত-ফেরৎ ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেবার ব্যবস্থা করছেন, এই কি বাপের মত কাজ হচ্ছে ? পিসীম-মৃদ্ধ এই ষড়যন্ত্রে যোগ দিয়েছে . কিন্তু আমার প্রাণ থাকৃতে তা হতে দেব না, বরং এই জলে ডুবে মর্ব।” প্রভাস একেবারে হতবুদ্ধি হইয়া গেল। এরকম নিদারুণ অবস্থা কোনোদিন সে স্বপ্নের মধ্যেও কল্পনা করিতে পারে নাই। বাঙালী গৃহস্থঘরের ছেলে, বেশীর ভাগ দিন সে পল্লীগ্রামে কাটাইয়াছে, এ ধরণের জিনিষ, নাটক নভেল বা বায়োস্কোপের ছবিতেই মাত্র সে পাইতে পারে, নিজের জীবনে এরকম অবস্থার সম্মুখীন হওয়ার জন্ত কোনোভাবেই সে প্রস্তুত ছিল না। আর এক বিপদ এই যে, মায়াই যদিও এ ব্যাপারের জন্য সম্পূর্ণ দায়ী, ধরা পড়িলে সমস্ত দায় ঘাড়ে করিতে হইবে প্রভাসকে । কেহই বিশ্বাস করিবে না যে, মায়া নিজে পলাইয়া আসিয়াছে { কি বিষম অপবাদের বোঝা যে তাহার স্কন্ধে আসিয়া পড়িবে, মনে করিতেই প্রভাসের মুখ কালো হুইয়া উঠিল। মায়াকে ভালবাসিয়াছে, ইহাই মাত্র তাহার অপরাধ, কিন্তু মানুষে বিশ্বাস করিবে, সে অপ্রকৃতিস্থা তরুণীকে জুলাইয়া লইয়া আসিয়াছে, নিজের কোনো স্বার্থসিদ্ধির জন্য । ভগবান তাহাকে এ কি বিপদে ফেলিলেন ? কি করিবে সে ? মায় বলিল, “আপনি যে কিছুই বলছেন না ।” প্রভাস বলিল, “কি বলব আমি, বল ! তোমার বাবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমি কি করতে পারি? তিনি তোমার অভিভাবক, তোমার উচিত তার কথামত চলা । হিন্দুর ८भाग्न कथनe षांशौन नग्न ७ उ छान ? शांव, न श्ञ স্বামী, এক জনের অধীন হয়ে তাকে থাকৃতেই হয়। তোমার এভাবে বাড়ী থেকে বেরিয়ে আসা খুব অস্কায়