পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পণ্ডিত-মুখ শ্ৰীশচীন্দ্রলাল রায়, এম-এ > সেদিন রবিবার। জয়নগর স্কুলের হেড পণ্ডিত স্যামলাল কাব্য-ব্যাকরণতীর্থ স্কুল বোর্ডিংয়ের একটি কক্ষে দিবানিদ্রার আয়োজন করিতেছিলেন । আহারাদির পর ভরপুর এক ছিলিম তামাক খাইয়। ছিন্ন সতরঞ্চি ঢাকা ক্ষুদ্র তক্তাপোযের উপর সছিদ্র எடு: মাথা রাথিয় লম্ব হইয়া শুইয়া পড়িলেন । চোখ দুটি সঙ্গে সঙ্গেই মুদিত হইয়া আসিতেছিল, তবু পার্শ্বস্থিত একখানি দৈনিক বাংলা সংবাদপত্র চোখের সম্মুখে তুলিয়া ধরিলেন ; এপাত-ওপাত উন্টাইতেই বড় বড় হরপের হেড লাইন চোখে পড়িল— শারদ বিল পাশ ধৰ্ম্মধ্বজ গোড়াদের আস্ফালন ভদ্রমহিলাগণের বাল্য-বিবাহ-নিরোধ আইনের সমর্থন-স্বচক প্রস্তাব পণ্ডিত মহাশয়ের চোখের নিদ্রাফিক হইয়া আসিল । তিনি মনোযোগসহকারে সমস্ত সংবাদটি খুঁটাইয়া পড়িলেন, ম’রপর কাগজখানি রাখিয় দিয়া নিজের কথাই ভাবিতে লাগিলেন । তিনি বছর তিনচার পূৰ্ব্বে এক ত্রয়োদশবর্গের বালিকার পাণিগ্রহণ করিয়াছেন – অবহু দ্বিতীয় পক্ষে। ভাগ্যে এই ষিলটি তাহার পূৰ্ব্বে পাশ হয় নাই। নহিলে হাজারখানেক টাকা জরিমানা—এমন কি একমাস জেল পৰ্য্যন্ত হইতে পারিত ! বয়স তাহার চল্লিশ পার অনেকদিন হইয়া গিয়াছে—এ বয়সে কি জেল খাটিতে পারিতেন। আর অতটাকা জরিমান দেওয়—সে তো ভিটামাটি বিক্রয় করিয়াও হইয়া উঠিত না। যাহোক, তাহার মস্ত একট। ফাড় কাটিয়া গিয়াছে। তবু এই কথাটি চিন্তা করিতেও তাহার বুকট। কিছুক্ষণ চিপ টিপ, করিতে লাগিল । তাহার পর পণ্ডিত মহাশয় এই আইন লইয়াই আলোচনা করিতে লাগিলেন । চোদ্দ বছরের কম বয়সে মেয়ের বিবাহ হইতে পারিবে না—কি অদ্ভূত আইন বাপু । যে দেশে এগার বছরের মেয়ের সন্তান জন্মিতেছে— তাদের এত বাড়াবাড়ি কেন ? কলিকাল, ঘোর কলিকাল—ধৰ্ম্ম আর থাকিবে না দেখিতেছি । হ্য, ছেলের বয়স বাড়াইয়া দাও, আপত্তি নাই । আঠার কেন, আট চল্লিশ কর—বেশ হইবে । তিনিও তে! একচল্লিশ বৎসর বয়সে তের বছরের বাসস্তীকে বিবাহ করিয়াছেন—কই একটুও তো বেমানান হয় নাই। লোকে বলিয়াছিল—বেশ মানাইয়াছে, যেন হর-পাৰ্ব্বতী । অবশ্ব দুই একটা নব্য ডেপো ছোকরা তাহার সম্মুখেই টিটুকারি দিয়াছিল বটে, কিন্তু উহাদের কি চোখের দৃষ্টি আছে! আর বাসষ্ঠীরও তো কোনওঁ দিন মুখভার - হইতে দেখা যায় নাই । স্ত্রীর কথা মনে হইতেই তাহার মনটা কেমন খুত খুত করিতে লাগিল । একা একা ছেলেমানুষ কতই না কষ্ট পাইতেছে। বাড়ীতে একটি বয়স্থ পুরুষ মানুষ নাই–মাত্র বার বছরের একটি ভাগ নে অবলম্বন । কে-বা উহার মুখ মুষিধার দিকে দৃষ্টি দেয়। তবে আৰ বেশী দিন বিরহ কষ্ট সহ করিতে হইবে না-বড়দিনের ছুটিতেই লইয়া আসা ঠিক হইয়াছে । আড়ন্তদার ভোলানাথ সা অমায়িক লোক সে-ই একখানি বা ট্র ছাড়িয়া দিবে কথা দিয়াছে । এইখানে তরুণী পত্নীকে আনিয়া কি ভাবে তাহার কপোত কপোতীর জীবন थउिदश्उि कब्रिवन-शेशशे भानग नग्नान cद्रश्नाट দেখিতে পণ্ডিত মহাশয়ের চোখ দুটি মৃতি । আসিল এবং সঙ্গে সঙ্গে নাসিকাধনিও প্রবল । উঠিল। সন্ধ্যা প্রায় হয়-হয় । সহসা ধড়মড় করিয়৷ ..." মহাশয় উঠিয়া বসিলেন, তাহার পর চক্ষু রগড়াইঃ, এদিক