পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] S AASAASAAMMS MAS AMMSMSAAAAAAS AAAASSMMSSAAAASA SAASAASJMMS সাধকতা ও লাভ করিয়াছেন । এই সঙ্গে যে চিত্রগুলি প্রকাশিত হইল উহাই তাহার 23 || রিচার্ড টেশনারের জন্ম জাৰ্ম্মেনীর কার্ল বাডে, তিনি শিক্ষালাভ করেন প্রাগ সহরে এবং বর্তমানে ভিয়েনাতে বাস করিতেছেন। তিনি একাধারে চিত্রকর, ভাস্কর এবং কারিগর। তিনি নিজের হাতে ওয়ালপেপার, কার্পেট, ট্যাপেট্রি প্রভৃতি তৈরী করিয়াছেন । সুতরাং তাহার তৈরী পুতুল যে শিল্পকৌশলে অতি স্বন্দর হইবে, তাহা বলাই বাহুল্য । টেশনারের পুতুলগুলি পুরানো ছায়ানাচের পুতুলের ত উপর হইতে তারের সাহায্যে চালান হয় না। প্রাণদানের পদ্ধতিটা কিছু স্বতন্ত্র । কত গু ল কাঠিকে জোড়া তাড়া দিয়া ইহাদের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলিকে চলৎশক্তি দেওয়া হয়। ফলে তাহাদের গতিবিধি আর একটু গাম্ভাযাও ধীরতা লাভ করে। নেহাৎ মেরুদণ্ডহীন নাচের পুতুলের চলাফেরার মত দেখায় না । একটা অন্ধকার ঘরে বসিয়; আকাশের তারা দেখার মত এই নাচ দেখিতে হয়। একট। স্বদূর আলোকিত জগতে পুতুলগুলি আবভূ ত হইয় মনে কেমন একটা ক্ষীণ বিষাদের রেখা টানিয়া দেয়। কাঠের কিংবা মোমের পুতুলে ভাস্করশিল্প যে প্রাণ অমর করিয়া রাখিয়াছে, তাহাকে ক্ষণিকের জন্য চেতনাময় জগতে ফিরাষ্টয়া অনিয়! এই শিল্প মায়াজাল রচনা করে । বুদ্ধের জীবনের একটি কল্পিত গল্প লইয়৷ টেশনারের একটি অতিম্বন্দর ছায়ানাট রচিত হইয়াছে। প্রথম দৃশ্বে এক অভিশপ্ত রাজকন্যা একটা ড়েগনের কবলে বন্দিনী । ংক্ষিপ্ত বিবরণের ইহাদের ভিয়েনার নব্য ছায়ানাট্য ৫২৯ এই বিকটাকার ড়েগনের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ চালনা, এমন কি নাসায়ন্ধেরও কম্পন স্বষ্টি টেশনারের শিল্পের একটা গুপ্ত রহস্ত। দ্বিতীয় দৃশ্যে এক চীনা মান্দারিন আইন ও যুক্তির প্রতীকরূপে আবিভূত হইয়া রাজকন্যার মুক্তির সপক্ষে বহু যুক্তি দেখাইয় একট দীর্ঘ প্রবন্ধ ড্রেগনকে পড়িয় শুনাইতেছে । কিন্তু ড্রেগন নিৰ্ব্বিকার । মান্দারিনকে খেলাচ্ছলে দুষ্ট চারিট আঘাত করিয়া, দুই চারিবার হাই তুলিয়। সে শাস্ত রহিল। তারপর রাজকন্যাকে মুক্তি দিবার জন্ত বাহুবলে দর্পিত এক জাপানী সামুরাই দেখা দিল, কিন্তু সেও পরাভূত হইয়া ড়েগনের উদরস্থ হইল। পরিশেষে রাজকল্প অভিশাপ মুক্ত হইলেন বুদ্ধের আধ্যাত্মিক শক্তির প্রভাবে । বুদ্ধের প্রথম প্রবেশ ছায়ার মত -দৃপ্তের শেষে একবার মাত্র পূর্ণ আলোকে দেখা দিলেন । টেশনারের আর একটি নাট্য যীশুর জন্মকাহিনী লইয়। মেরী ও যীশুর মাথার উপর যে আলোকচক্র দেখ যাইতেছে তাহার রচনা-কৌশল অ’ত আশ্চৰ্য্য । অতি সূক্ষ্ম সোনার তার দিয়া সেগুলি তৈরী। তারগুলি ইচ্ছানুযায়ী সময়ে সময়ে আলোক প্রতিফলিত করে, মাঝে মাঝে আবার করেও না । তাই সে-গুলিকে প্রকৃত আলোকচক্রের মত দেখায়। এই নাট্যের শিল্পচাতুৰ্য্যের আর একটি নিদর্শন যোশেফের নিজের গায়ের জাম খুলিয়া মেরীর বসিবার স্থান বিছাইয়া দিবার ভঙ্গিটি। আর একটি দৃঙ্গে রাজরাজড়া, পণ্ডিতগণ, মেষপালক প্রভৃতি একে একে যিশু ও মেরীর সম্মুখে নত হইয়া তাহাদের অর্ঘ্য নিবেদন করিতেছেন ।