পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] দ্বীপময় ভারত ৫৩১ --ഹ~ഫ്----- পাহাড়ের গায়ে ধানের ক্ষেতের স্তর ( ঐযুক্ত বাকে কর্তৃক গৃহীত ) উৎরাই পথে নামতে হ’ল, তারপরে ডান দিকে অর্থাৎ পূবদিকে একট বাক নিয়ে আধ ঘণ্টাটাক পথ আবার চড়াইয়ে গিয়ে আমরা মুতুক্‌-এ পৌছুলুম । দশটায় বাদুড় ছেড়েছিলুম, দেড়টায় মুধুকে পেছুলুম। একট। চওড়া চড়াই পথের দুধারে মুধুক শহর বা গ্রাম। ইটের আর কাঠের ইমারত অনেক গুলি ! ঢালা লোহার রেলিং, আর ঢেউখেলানে টিনের ছাতের ছড়াছড়ি । অনেক বাড়ীর সামনে বা বাড়ীর হাতার মধ্যে মোটর দেখলুম। মোটকথা, শহরের বাহ দুখ দেখে মনে হ’ল, স্থানীয় লোকের লক্ষ্মীমন্ত । তবে কাচা পয়সা হাতে এলে অনেক সময়ে যেমন একট। রুচির চেয়ে থরচ বিষয়ে দ রাজ হাতের প্রমাণ পাওয়া যায়, এখানেও তেমনি :'য়েছে ব’লে মনে হ’ল । শহরের বড়ে সড়কের প্রায় শেষে—তার পরে আর মোটর চলবার পথ নেই-মুণ্ডুকের পাসাংগ্রাহান । ধামরা সেখানে গিয়ে অধিষ্ঠিত হ'লুম। পূৰ্ব্ব থেকেই মন্দুিরকে খবর দেওয়া হ’য়েছিল । মুণ্ডুকের পাসাংগ্রাহান বা ডাক বাঙলাট চমৎকার জায়গায় অবস্থিত। বাড়ীটির একদিকে ফুলবাগানে প্রচুর গোলাপ ফুটে রয়েছে, আর গাদা, আর জবা । একটা ঝরনার কাকচক্ষু জল মস্ত বড়ে এক চৌবাচ্চাকে সৰ্ব্বদা পূর্ণ রেখে চৌবাচ্চার নল দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে, এই চৌবাচ্চায় ইচ্ছে করলে সাতার কেটেও স্বান করা যায় । বাড়ীর চারিদিকে পাহাড়ের মালা, বাড়ীর সামনে দূরে পৰ্ব্বতগাত্রের উদার সরল রেখাপাত । বাড়ীর পিছনদিকে নীচেই একটা গভীর উপত্যক, নানা রকম গাছের চুড়ে দেখা যায়, মাঝে মাঝে দু একটি ঘর বাড়ী ; গাছপালার ভিতর থেকে বসত বাড়ীর রান্না-বান্নার ধোয়ায় মানুষের অস্তিত্ব বোঝা যায়। একদিন দুপুরে নীচের উপত্যকাথেকে টুংটং ক’রে গামেলানের ধ্বনি আসছিল। সরু মোট নানা আতোদ্য ধ্বনি মিলে বাশার মতন একটা বেশ স্নিগ্ধ গম্ভীর একটান ধ্বনির রেশ টুংটং তালের পিছনে শোনা যাচ্ছিল,—এমনি উদাস করা ব্যাপার যে কি আর ব’লবো ; ঠিক যেন মস্ত বড়ে। দীঘীর ও-পার থেকে কোনও মন্দিরের সন্ধারাত্রিকের ঘড়ি ঘণ্টা কাশর আর গম্ভীর-নিনাদী শাখের ধ্বনির