পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] ম্যাঞ্চেস্টার-গার্জেন পত্রে আর দেশে নানা পত্রে বা’র মৃছিল । মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ৬ই – বিকাল তিনটের দিকে ধীরেন বাবু, দ্রেউএস আর বকেরা বাতুরিতি থেকে এসে পৌছুলেন । এর তি সুন্দর পাহাড়ে পথ ধ’রে সারা সকাল আর দুপুর টেছেন, জিনিস-পত্র যা সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন সব কটা টাটর পিঠে ক’রে এনেছেন। বাতুরিতি থেকে গুক্ আসতে হ’লে তিনট হ্রদের ধার দিয়ে আসতে –Bratan STEA, Boejan Fitz, STI }amblingan তামরিঙন । দেউএস ব’ললেন, থ একটা হদেব ধারে একঘর তথা-কথিত মুসলমান * দ্বীপায়ের সঙ্গে দেথ হ’ল এদের একটী ছেলে খানিক পথ ৪ দের সঙ্গে আসে, ছেলেটি মালাই ভাষায় দ্ৰেউ এসেব সঙ্গে কথা কয় । এরা পূৰ্ব্ব-বলি থেকে এসে এখানে জমী নিয়ে বসবাস ক’রছে । দ্রেউএস তাকে জিজ্ঞাসা করেন, সে মুসলমানদের কলমার আরবী মন্ত্রট জানে কিনা ; সে ব’ল্লে যে সে জানে বটে, কিন্তু সে-মন্ত্র উচ্চারণ ক’রবে না, কারণ ঐ পাৰ্ব্বত্য অঞ্চলটী বিশেষ ক’রে দেবতার স্থান ; দেবতার। ঐ বিদেশীয় মন্ত্র শুনে রুষ্ট হ’তে পারেন । আজ সন্ধ্যার দিকে আমরা কালকের মতন পাহাড়ে পথ ধ’রে অনেকটা বেড়িয়ে এলুম। গায়ের সীমানা ছাড়িয়ে বিরাট বিশাল বনম্পতির আর অন্য গাছের বনের মধ্য দিয়ে পাহাড়ের ধার বেয়ে পথ ১'লেছে । এখানকার বনানী একেবারে আদি যুগের । এক জায়গায় একটা ঝরন। এসে প’ড়ছে, থানিকটা গভীর জায়গায় জল জমে একটা ছোটো পুখুরের "ষ্টি হ’য়েছে ; গহন বনে তার আশ-পাশ ঢাকা,— কুঁচ-জাতীয় গাছে, নানা রকমের বড়ে বড়ো fern-এ, *াশে, কলাগাছে ; খালি এক দিকে উচু পাহাড়ের গ! ব’য়ে ঝম-ঝম শব্দে ঝরনার জল নীচে প’ড়ছে, পুখুরটর অম্ভ ধার দিয়ে এই জল বেরিয়ে গিয়ে মুণ্ডুকের ৭স্তিার পাশের নদী হ’য়ে নীচে চ’লে গিয়েছে। এখানে

দখি, ঝরনার জলের নীচে দাড়িয়ে চোখ বুজে ছুটী টাট্র '

ج: الاسمد8b দ্বীপময় ভারত අළුව ঘোড়া স্বান ক’রছে। ঘোড়াকে পাহাড়ের ঝরনায় নাওয়ানো দেখছি এ দেশের একটী রীতি । কাছেই এক জায়গায় পাহাড় ঢালু গায়ে নীচে এক গভীর তরু-বহুল উপত্যক ভূমিতে নেমে গিয়েছে ; পাহাড়ের গায়ে বড়ো বড়ো গাছ—মহাদ্রুম ব’ললেই হয়—কাটা হ’চ্ছে ; এমন বড়ো বড়ো গাছের কুঠারের হাতে অপমৃত্যু দেখে বাস্তবিকই মনে কষ্ট হয় ; দেখে মনে হয়, দু তিন শ’ বছর লেগেছিল এই এক একটা গাছের এই রকম বিশাল মূৰ্ত্তি ধ’রে উঠতে, কিন্তু দুদিনে মাতুযু তাকে শেষ ক’রে দিচ্ছে। - একটা ‘বৃক্ষহত্যা’ কাণ্ড চলেছে—আমার মনে হ’ল, একট। বড়ো প্রাণীকে মারার মতন এই রকম ক’রে গাছ কেটে মেরে ফেলাও যেন একটা পাতক । কিন্তু মানুষের চাষ আবাদের জন্য খালী জমীর আবশ্বক, তাই গাছকে স’রতে হবে। এই সব জমীতে শুল্লুম কফীর আবাদ হবে। বুধবার, সেপ্টেম্বর ৭ই – সকালে মুণ্ডকের ডাকবাঙলায় বেশ চুপচাপ ভাবে কাটানো গেল । ‘নিউ-সটেটসম্যান’-এর সমালোচনার উত্তর কবি লিখে ফেলেছেন, ‘ম্যাঞ্চেস্টার-গার্জেন-এ ছাপাবার জন্য পাঠানো হবে । দুপুরের ভোজনের সময়ে দেখি, প্রায় জনাদশেক ওলন্দাজ মেয়ে পুরুষ মোটরে আর ঘোড়ার ক’রে এসে উপস্থিত। এর ঐ দিনই চ’লে গেল । বেল। তিনটের দিকে স্বরেন বাবু আর আমি মুণ্ডুকের বড়ো রাস্ত ধ’রে বেড়াতে বেড়াতে প্রায় মাইল দেড় দুই উৎরাই পথে নেমে Banjoeatis বাঞআতিস নামে একটি বড়ো গ্রামে এসে পউচুলুম। ধুতি পরে আমরা চলেছি ; আমার হাতে একটি বাশের লাঠি, আর হরেন বাবুর কাছে ক্যামেরা। পথের ধারে একটি বেশ বড়ো বাড়ীর সদর দরজায় একটা ছোকরা আর একটী আধা বয়সী বলিদ্বীপীয় স্ত্রীলোক দাড়িয়ে । ছোকরাটীর পরণে হাফ-প্যান্ট, কোমরে রঙীন সারংটা জড়ানো, গায়ে একটা সাদা শার্ট ; স্ত্রীলোকটর গায়ে মালাই কোট । ছেলেট সিগারেট খাচ্ছিল ।