পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লিথিয়াছেন, “তিনি শরৎকালের নির্মল অলকাশস্থিত সুর্যের স্বায় তেজঃ দ্বারা সকল দিক অনবরত উদভাসিত করিতেছিলেন।” এখানে জিজ্ঞাস্ত এই উপাখ্যান স্বারা গঙ্গা অবতরণের প্রয়োজন-কঞ্চম ম৷ সত্য সত্য কোন নিসর্গঙ্গ-অগ্নির উৎপত্তি-ব্যাখ্যা। এই অগ্নি পূর্ব-দক্ষিণ সমুদ্রেব বেলাভূমিতে দেখা বাইত । স্থানটি বঙ্গসাগরের কূলে, গঙ্গা-সাগর-সঙ্গমে । বর্তমানের বালুমৃন্ময় দেশে ভেীম-অগ্নির সম্ভাবন। নাই, কিন্তু পুরাণ মানিলে তখন গঙ্গা নদী সবে দক্ষিণ-বাহিনী হইয়াছিলেন। সে স্থান রাজমহলের নিকটে । বোধ হয়, সেখানে এক জ্বালামুখী ছিল সেটি কপিল ঋষি । রাজমহল হইতে বীরভূম পর্য্যন্ত অনেক উষ্ণ-প্রস্রবণ আছে। পূর্বকালে এখানে একটি আগ্নেয়-গিরি ছিল। কোলগং রেল ষ্টেশন হইতে ২২ মাইল দক্ষিণে ও অল্প পূর্বে তিন-পাহাড়ীর পশ্চিমে এই গিরি অবস্থিত। পাচ হাজার বৎসর পূর্বে তাহার অগ্ন দৃগায় অসম্ভব নয়। তখন ষে পূর্ববঙ্গ সাগর প্লাবিত ছিল তা নয়। পূর্ববঙ্গ বরং উচ্চ ছিল । সাগরের একটা বিস্তীর্ণ থাড়ী রাজমহল পর্যন্তু থাকিলেই সেখানে সাগর-সঙ্গম। সগর রাজার সময়েই যে জ্বালামুখী থাকিতে হইবে তাছাও নয়। পরবত্তী’ কালে গঙ্গার মাহাত্মাপ্রচারের সময় কপিল ঋষির দর্শন পাওয়া গিয়াছিল। সে কোন কালে তাত বলিবায় উপকরণ নাই । কিন্তু অঙ্গ-বঙ্গাদি দেশ যে বg পূর্বকালেই আর্যগণের বিদিত ছিল তাঙ্কার প্রমাণ আছে। রাজা যযাতির চতুর্থ পুত্র অন্ম । তাইার এক বংশধর, তিতিক্ষু পূৰ্বদেশের রাজা ছিলেন । তাই'র বংশে বলির জন্ম । বলিয় র জধানী গঙ্গাতীরে ছিল । ইহঁর ঔরস পুত্র ছিল না। এক জন্মান্ধ ঋষি দ্বারা তাহার পাচ ক্ষেত্ৰজ পুত্র জন্মে। প্রথমে অঙ্গ, পরে কলিঙ্গ পুণ্ড. সুহ্ম ও বঙ্গ । এই পচ দেশ নামে তাইার। থ্যাত ছিলেন । অর্থাৎ ‘অঙ্গাধিপ নামে অধিপ যোগ করা হুইত না । নামগুলি আর্যদিগের প্রদত্ত । হয়ত প্লাজমহলের কাছে গঙ্গার বঙ্ক বঁকি ) হইতে বঙ্গ নাম । রাজমহলের পশ্চিমে অঙ্গ পদ্মার উত্তরে পুণ্ড, গঙ্গা ও পদ্মার মাঝে ৰঙ্গ বঙ্গের ও গঙ্গার পশ্চিমে সুহ্ম এবং সুহ্মের পশ্চিমে কলিঙ্গ । কলিঙ্গ দেশ নর্মদী পর্যন্ত ছিল। ভারতযুদ্ধের অঙ্গাধিপ কৰ্ণ হইতে বলি ১৮ পুরুষ উৰ্দ্ধে । অতএব ১২৫ • + ( ১৮ × ৩৪) = ১৭৮৭ খ্ৰীষ্টপূর্বাবে অঙ্গাদি পঞ্চদেশে আষগণের যাতায়াত আরম্ভ বলিতে গার। স্বায় । এই বলি, দৈত্য বলি নছেন, কিন্তু আর্যক্ষ ত্রিয়ও ছিলেন না। তাইার বংশ বালেয় ক্ষত্ৰিয় নামে খ্যাত ছিল । ( মৎসপুরাণ । ত্রিপুরা-দ্রাহ উপাখ্যানের উৎপত্তিও কি এক জ্বালামুখীতে ? মহাভারতে কৰ্ণ পর্ব ৩৫ অঃ । হরিবংশ ও অদ্যান্য পুরাণে যে বর্ণনা আছে কিয়দংশও সত্য হইলে তাহ রোমাঞ্চকর । নমদাতটে মহেশ্বর পবতের নিকটে অমরকণ্টক পর্বতে বাণ নামে এক ভীষণ অস্ত্রর ত্রি-পুর, তিনটি নগর, নির্মাণ করিয়া বাস করিত । কিন্তু আশ্চর্য সে ত্রিপুর স্বীয় তেজে গগনে সৰ্ব্বদ। ভ্রমণ কল্পিত ( এই উৎপাত কি হইতে পারে ? ) । দেব ও ঋষি ভয়ে বিহ্বল হইয়া রুত্রের kBBBB BBBB S BBBBBB BBBBBS BBB BB BBB DDS করিতে হইয়াছিল। ক্লা এক শর দ্বারা পর্বতের তিনটি শাখা বিন্ধ করিলেন। ফলে সম্বতক বায়ু বহিতে লাগিল, অগ্নি ধাবিত হুইল, শিখর পুড়িয়া গেল পাদপ উদ্যান গৃহ নরনারী জ্বলিতে লাগিল। এ যেন বিশ্ববিরল গিরির ৭৯ খ্ৰীষ্টাব্দের অগ্ন্যুৎপাতে পম্পী ও হরকুলিনী নগরদ্বয়ের ধ্বংস । জিপুরের দুইটি পুর বিনষ্ট হইয়াছিল । সেখানে রুদ্রকোটি ও জ্বালেশ্বর শিব আছেন । এ কি তাইণদের অধিষ্ঠানের হেতুস্বরূপ ত্রিপুর-দাহ ? কে জানে। অতি পুরাকালে দক্ষিণাপথ BED BBSBDD DDB B DDBBBD DD B BBBB তুলনায় হিমালয় যে শিশু। তারতবর্ষের ভূমি-বিদের সে আগ্নেয় কষ্টিপাথর—ঔর্বাগ্নি 6.89 প্রলয়ের জ্বলন্ত সাক্ষী পান নাই। হয়ত পূর্বকালে এখানে ওখানে দুই একটা অগ্নি-মুখ ছিল। মহাভারতে ( আদি, ১৭৮-১৮১ অঃ ) একটি জ্বালামুখীর বর্ণন৷ আছে । বশিষ্ঠ শিশ্বামিত্রের বৈরিত। চিরপ্রসিদ্ধ । 'বশ্বামিত্র বশিষ্ঠের শত পুত্রকে নষ্ট করিয়াrছলেন। একটি শক্তির, পত্নীর গর্ডে পরাশরের জন্ম হয় । ইনি রাক্ষস দ্বারা পিতৃ ও পিতৃব্যদিগের বধ শুনিয়। রাক্ষসবধ-সত্ৰ অনুষ্ঠান করেন । বশিষ্ঠ ঋষি পৌত্রের ক্রোধানল প্রশমিত করিলেন। সেই যজ্ঞে সঞ্চিত অগ্নি উত্তরে হিমালয় পার্থে মহাবনে নিক্ষিপ্ত হইল। সেখানে অদ্যাপি সে অগ্নি পর্বে পর্বে রক্ষঃবুক্ষ অশ্ম ভক্ষণ করিতে দেখা যায় । কিন্তু হিমালয়ের আগ্নেয়গিরি নাই, পূর্বকালেও ছিল না। কোন জ্বালামুখী হুইবে । পঞ্জাৰে এক জ্বালামুখী তীর্থ আছে। কাংড়ার নাম জ্বালামুখী। অথবা স্থাননির্দেশে ভুল হইয়াছে । কারণ জ্বালামুখী থামিরা থামিয় জ্বলে মা, অশ্ব ভক্ষণও করে না। হিমালয়ের পশ্চিমে বলিলে উর্বপর্বত পাইতাম । হিমালয়ের পশ্চিমে ইহার অর্থ, হিমালয়ের সমসুত্রে নয় । বশিষ্ঠ ঋযি পরাশরের ক্রোধ শাস্তি নিমিত্ত ঔব-উপাখ্যান শোনাইয়াছিলেন। পূর্বকালে কৃতবীর্য নামে এক বিখ্যাত রাজা ছিলেন । তিনি ভার্গবদিগের যজমান । রাজী এক যজ্ঞ সমাপনাক্তে পুরোহিতদিগকে প্রভুত ধন দান করিয়াছিলেন । তাহার লোকাস্তুরপ্রাপ্তির পর তদুবংশীয় নৃপতিদিগের অর্থাভাব ঘটে। তাইার ভার্গবদিগের নিকট অর্থ প্রার্থনা করেন । কিন্তু কোন ভার্গব ভূমিগর্ভে ধন নিক্ষিপ্ত, কেহ ব্ৰাহ্মণসাৎ করিলেন, কেহ বা অল্প স্বল্প ক্ষত্রিয়দিগকে দান করিলেন। ক্ষত্রিয়ের ক্রোধান্ধ হইয়। ভার্গবদিগকে সবংশে বধ করিলেন, গর্ভস্থ শিশুও রক্ষা পাইল ব্ল। ব্রাহ্মণ পত্নীগণ হিমালয়ে পলায়ন করিলেন । এক ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয়গুয়ে স্বীয় উরুদেশে গর্ভধারণ করিলেন। আর এক ব্রাহ্মণী স্তরে ক্ষত্রিয়দিগকে নির্জনে সে গুপ্ত গর্ভ বলিয়া দিলেন। ক্ষত্রিরের আসিলে গর্ভস্থ বালক ব্রাহ্মণীর উরু বিদীর্ণ করিয়া বহির্গত হইল । তাহায় তেঞ্জে ক্ষত্রিয়েরা অন্ধ হইয়া গেল। তখন তাহার ব্রাহ্মণীর পদানত হইল, এবং ভার্গব ঔবের প্রসন্নতায় দৃষ্টি প্রাপ্ত হইল। কিন্তু উর্বের ক্ৰোধ শাস্ত হইল না, সব বিনাশে প্রবৃত্ত হইল। পিতৃগণ আসিয়া বুঝাইলেন । ঔৰ স্বীয় তেঞ্জ মহাসাগরে নিক্ষেপ করিলেন । সে অনলঅগ্নদগর মহৎ অশ্বশিরোরূপে পরিণত হইয়া সমুদ্র জল পান করিয়। খাকে । এই উপাখ্যন হইতে পাইতেছি, বহু পূব কালে গান্ধার দেশে ভার্গবের শুর্বাগ্নি দেখিয়াছিলেন। তদস্তর সে অগ্নি সমুদ্রে অশ্বমুখ নামক আগ্নেয়গিরিতে দেখা গিয়াছিল। আরও পাইতেছি, উব ঋষিয় অপত্য বলিয়। শুব নাম হয় নাই, উরু হইতে জাত বলিয়৷ নাম ঔব । অধগু মামুষের উল্প হইতে পারে না ; উরু-সদৃশ পর্বত বুঝিতে হইতেছে । সংস্কৃত কোষে উক্ল' ‘উরু দুইটি শব্দ আছে । উক্ল’, অর্থে বিস্তীর্ণ ; স্ত্রীলিঙ্গে ‘উর্ব পুথিবী। কিন্তু হ্রস্ব দীর্ঘ উকার ভেদ সকলে করিতেন DS BBB BBS BBS BB BBBBB BBB S SBDtSBtttS দুই বানানই পাওয়া যায়। অতএব উক্ল অর্থে পর্বতও আসিতে পারে । কিন্তু ভারতবর্ষের কোনো দ্বীপে বড়বা দৃষ্ট হইয়াছিল ? রামারণে ( কি। ৪৪ অঃ ) সে দ্বীপের নাম আছে । সুগ্ৰীব সীতা-অন্বেষণে চতুদিকে বানর ( অনার্য, মামুধ ) পাঠাইলেন । বলিলেন, “পূর্বদিকে সপ্তরাজ্যোপশোভিত যবদ্বীপ ও সুবর্ণ-দ্বীপ (কুমাত্রা) অন্বেষণ