পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হসন্তের পত্র ÖÖኻ مہم حبیبحیح میخیمہ تسمیہ مہر ہےیہ۔-s= মনে প্রাণে শূদ্র হয়ে ওঠা । কেউ বলছে, মানুষের জীবনের একমাত্র মহত্ব হচ্ছে—তার শারীরিক শ্রম। এদের কথা বিশ্বাস করলে মানতে হয় যে, যে-কাঠুরিয়া বন থেকে কাঠ কেটে হাটে গিয়ে বিক্রি করে তার শক্তি একটা অলৌকিক ঘটনা, কিন্তু ষেশক্তি মানুষকে বুদ্ধত্ব পাইয়ে দেয়, সেট একটা হাস্যকর ব্যাপার । এদের বিচার অনুসারে ইংলণ্ডের বিস্তৃত কয়লার খনির যে কোনো টম হ্যারি-ধর—উীন ইঞ্জের চাইতে শ্রেষ্ঠ, কেন-না টম হ্যারি পৃথিবীর পঞ্জর থেকে সমাজকে সরবরাহ করে নিরেট বাস্তব কয়লা, আর ডীন ইঞ্জের দান কেবল তার ফঁাকা চিন্তার শব্দ কোলাহল । কিন্তু মামুষের শারীরিক শ্রমের মধ্যে কিছুই অসম্মানের বা অগৌরবের নেই একথাটাই সত্যি— শারীরিক শ্রম যে মানুষের চিস্তার চাইতে মহত্তর এ-কথা সত্যি নয়। আসলে শারীরিক শ্রম সেই অনুপাতে মহৎ হ’য়ে ওঠে, যে অমুপাতে তাতে মিশেছে মামুষের চিন্তার, তার আত্মার গভীরতম চেতনার অবলেপ । তাই, পাথর ভেঙে রাস্তা তৈরি করে যে তাকে আমর বিশেয কিছুই বলি নে - বড় জোর বলি ঠিকাদার, কিন্তু যে পাথর কেটে তাজমহল তৈরি করে তাকে আমরা বলি শিল্পী । মানুষের জীবিকা অর্জন হচ্ছে তার প্রথম প্রয়োজনীয় ব্যাপার। আদিম মানুষ তা করত বন্য পশুর মাংসে । তারপর এলো কৃষিকৰ্ম্ম । এই কৃষিকৰ্ম্মকে আমরা বন্য পশু হননের চাইতে মহত্তর বলি, কেন-না কুমিকৰ্ম্মের সঙ্গে মিশেছে মানুষের চিন্তা, তার বুদ্ধির কৌশল। কৃষিকৰ্ম্ম ও বস্ত্রবয়ন মানুষের সভ্যতার প্রথম সোপান, কেন-ন ঐ খান থেকে বিকাশ লাভ করেছে তার নব নৰ উন্মেষশালিনী বুদ্ধি। ঐ খান থেকে সে স্বভাবকে স্পষ্টভাবে ছাড়িয়ে উঠেছে। ঠিক ঐ কারণেই আজ আমরা তাতির হাতের তাতের চাইতে বিরাট কাপড়ের কলকে অভিনন্দিত করি । কেন-না, সেই কলের পিছনে রয়েছে মানুষের অত্যাশ্চৰ্য্য উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ, তার বুদ্ধির বৃহত্তর কুশলতা, তার আত্মার ft ۹ مایحتاج شده স্পন্ধা। সমূত্রে পাল-তোলা জাহাজ যেতে দেখেছ ? ভারী চমৎকার লাগে দেখতে যেন রূপকথার এক বিহঙ্গম উড়ে চলেছে কোন রাজকুমারকে পিঠে নিয়ে কোন রাজকুমারীর উদেশে। এই পাল-তোলা জাহাজের পাশে ষ্টীমারকে দেখায় যেমন বৃহৎ তেমনি জবড়জঙ্গ । কিন্তু পাল-তোলা জাহাজ সুন্দর হোক, তা সমুদ্রকে তেমন বশ করতে পারেনি যেমন করেছে ষ্টীমার। এই ষ্টীমারের উপর থেকে মানুষ রাজা ক্যানিউটের মত— Ocean roll back thy waves—to also, fow একথা সে আজ স্পষ্টই বলছে-হে সাগর, তোমার তরঙ্গ ও তুফান সত্বেও আমি আমার গন্তব্যস্থানে পৌছব-- পৌছব পৌছব । তোমার মনে আছে কি, একদিন হাওড়া ষ্টেশনে একটা বিরাটকায় এঞ্জিনের কাছে দাড়িয়ে ছিলাম, এবং তুমি বলছিলে যে, এই এঞ্জিনের প্রতি তোমার প্রাণের একটা বিরাট টান আছে । সেদিম তোমার কথা শুনে আমার ভারী আশ্চৰ্য্য ঠেকেছিল । এমমি একটা কালো ছরমুশ ধোয়া-ওড়ানো কর্কশ শৰা-করা যন্ত্রের উপর যার প্রাণের টান হতে পারে, সে যে একটা নিতাপ্ত আটপৌরে ধরণের মাতুষ, সেকথা তোমাকে বলিনি বটে, কিন্তু আমার তা মনে হয়েছিল । কিন্তু আজ সেই টানের অর্থ বুঝি এবং তাতে মানুষ আটপৌরেও হয়ে যায় না। এঞ্জিনের প্রতি টান এই জষ্ঠে যে, ওটা মামুষের মানস-পুত্র—তার শক্তির বৃহত্তর প্রতীক । মানুষের কাব্য-কলা-সাহিত্য-দর্শন-বিজ্ঞানের পিছনে যা আছে এই এঞ্জিনের পিছনেও তাই অাছে। অর্থাৎ মানুষের প্রতিভা—তার নব নব উন্মেষশালিনী বুদ্ধির কেরামতি । ষ্টীমার মামুষের শক্তির বৃহত্তর প্রতীক। তাই মানুষের মধ্যে যে একটি ‘হিয়ারে” আছে, একটি বীর আছে, সেই বীরের সঙ্গে এই জবড়জঙ্গ ষ্টীমারেরই সহজ সম্বন্ধ। এখন কালে ধোয়া-ছাড়া ষ্টীমারকে পাল-তোলা জাহাজের মতই ক্ষুন্দর ক'রে তোলা যায় কি না জানিনে—যদি যায় ত ভালই-কিন্তু যদি फ नी शांच्च ऊ उबूe भाश्य रुजदयझे-७हे ४ीभांब्रहरुझे আমার চাই, কেন-ন আমি মনে প্রাণে শক্তি, আমি