পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্য। ] —Down with prowess–Down with economics এ-কথা চীৎকার করা চলবে না। আর আজকাল এট। & Rät "ie Kitts; co, prowess & economicsএর পিছনে intellect জিনিষটা প্রচণ্ড রকমে কাৰ্য্যকরী হয়ে রয়েছে। সৈন্তবাহিনীর পিছনে ল্যাবরেটরি, কল-কারখানা, কৃষির পিছনে বৈজ্ঞানিক রুদ্ররূপে ও কল্যাণ মূৰ্ত্তিতে প্রত্যক্ষভাবে দণ্ডায়মান। অর্থাৎ ক্ষত্রিয় ও বৈশ্ব এ দুয়েকেই ধারণ করে আছে ব্রাহ্মণ। কাজেই Down with the intellectuals—Down with the commodity called brain-g-g" i zaitz se ztq এই যে, আমরা আজ আত্মহত্য করতে কৃতসঙ্কল্প। এ-সব কথা তোমার আমার কাছে স্পষ্ট, কিন্তু লাল ঝাণ্ডা ওড়ানো গণতান্ত্রিক পাণ্ডাকে কি এসব কথা বোঝানো যাবে ? ‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই। কিন্তু এ কোন মাহুষ ? গণতান্ত্রিক বলছে,–এ মাতুয় সে মাহুষ নয়, যে আপনার চিন্তা দ্বারা তুরতিক্রম্যকে অতিক্রম ক’রে ক'রে চলেছে-যে আপনার চেতনার দ্বারা আপনাকে ছাড়িয়ে ছড়িয়ে চলেছে --ষে তাঞ্জের স্বপ্ন দেখেছে—পিরামিডের অস্তিত্ব অনুভবে ধরণ করতে পেরেছে— যে আকাশ-বাতাস জয় করেছে –নিসগকে বস করেছে। না, এ-মানুষ সে-মানুষ নয়। এ-মানুষ হচ্ছে সেই মানুষ, যে ধূলিতলে পড়ে আছে, যার মিস্ত নিজেকেও স্পষ্ট ক’রে ধরতে পারে নি—যার একমাত্র , মূলধন শারীরিক মেহনং, পেশীর শক্তি । অর্থাৎ গণতান্ত্রিক আজ বলছেন, স্বষ্টির ক্লাসে লাষ্ট বয়' যে, তারই পাওয়া উচিত ‘ফাষ্ট প্রাইজ’ । গণতান্ত্রিক বলছে - বিশ্বরচয়িতার শ্রেষ্ঠ কীৰ্ত্তি বিকশিত-বুদ্ধি মানুষ নয়, তা হচ্ছে বিরাটকায় মেগাথিরিয়াম। অর্থাৎ সে বলছে মাহুষের পরিপূর্ণ অর্থ, মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব, তা আইষ্টাইন বা জগদীশ বস্থর মধ্যে নেই,—আছে তা ডেম্পসী বা রামমূৰ্ত্তির মধ্যে। গণতান্ত্রিক বলতে চায়, ভগবানের দশ অবতারের শ্রেষ্ঠ অবতার বুদ্ধও নয় শ্ৰীকৃষ্ণও নয় বা শ্রীরামচন্দ্রও নয়, তা হচ্ছে বরাহ বা নৃসিংহ। আশা করি এতগুলো ‘অর্থাং-এ তুমি স্থাপিয়ে উঠবে না। কিন্তু কথা হচ্ছে, সভ্য মানুষ কি কোনদিনও হসন্তের পত্র QQ。 কিক্কড় সিং ও পি-সি রায়কে একই সিংহাসনে বসিয়ে একই পুষ্প-চন্দনে পূজা করবে ? করবে না—অস্তুতঃ যতদিন সে জানবে যে পি-সি রায় গায়ের জোরে কিক্কড় সিং-এর সঙ্গে পারবেন না বটে, কিন্তু তার ল্যাবেরেটরীতে এমন পদার্থ আছে যার মুষ্টিখানেকে শক্ত কিক্কড় সিংকে একেবারে শক্ততে পরিণত করে ফেলা যায়। শক্ত, কথাটার মানে দেখতে তোমাকে আবার অভিধান খুলতে না হয়—ওর মানে হচ্ছে ছাতু। আর এই যে মুষ্টিখানেক পদার্থ বিশেষ লাভ হয়েছে কেমন করে ?—ত। লাভ করেছে মানুষ গায়ের জোরে নয়, বুদ্ধির জোরে— তার চিস্তার শক্তিতে, তার তপস্যার বলে । আমাকে ভুল বুঝে না। আমি এ-কথা বলছি না যে, প্রলেটারিয়েট যারা, শূদ্র যারা, তাদের উন্নততর— শ্রেষ্ঠতর সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের শিক্ষা-দীক্ষার আমোদ-প্রমোদের কোনই প্রয়োজন নেই। কিংব। এর বেশী শিক্ষা পেলে কিংবা এদের জীবনে বেশী স্বথ-স্বাচ্ছন্দ্যের আয়োজন হ’লে সমাজ-গঠন একেবারে ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে। আমি বলছি এই কথা যে, শূদ্র যতদিন শূদ্র, ততদিন এই স্বর্থস্বাচ্ছদ্য শিক্ষাদীক্ষা ইত্যাদির ব্যবস্থা সে কিছুতেই করতে পারবে না, এবং ধে-অবস্থায় পৌছলে শূদ্র ত৷ কযতে পারবে সে অবস্থায় তাকে আর শূদ্র বলা চলবে না, এবং সে অবস্থায় তার স্পষ্ট প্রতীয়মান হবে ষে, শারীরিক শ্রমের চাইতে মানসিক শ্রমের মূল্য প্রকৃতই বেশী—নান৷ দিক থেকে । প্রথমতঃ মানসিক শ্রমই শারীরিক শ্রমের জন্ম দেয়, দ্বিতীয়তঃ মানুষের মানব-জন্মের শ্রেষ্ঠ অর্থট। রয়েছে তার মানসিক শ্রমের মধ্যে । তাই সমাজে শিক্ষা ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের বিস্তার যত সৰ্ব্বব্যাপী হয়ে উঠবে,ততই সমাজ-অন্তরে চিস্তার ভাবুকতার শিল্প বিজ্ঞান দর্শন ইত্যাদির জন্য উচ্চ সিংহাসনের আয়োজন হ’তে থাকবে। কেন-ন মানুষ যত শিক্ষিত ও স্বচ্ছন্দ হবে তত সে মনোজগতে ভাবজগতের ব্যাপারগুলোর সঙ্গে পরিচয় স্থাপন করবার অধিকারী হবে এবং সময় ও সুযোগ পাবে। মানুষের মনের একটা স্বাভাবিক গতি আছে—স্থল থেকে হুক্ষে, বাহির থেকে অস্তরে, স্থনির্দেশ থেকে অনির্দেশে, ৰাস্তব থেকে স্বপ্নে। চাই কেবল সেই মনের উদ্বোধন।