পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] S SAASSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSMMSSAS SSAS SSAS SSAS প্রকৃতি ও মুসলমান (<\56. স্বাভাবিক বৃত্তি। একে নিয়ন্ত্রিত ক’রে সত্যিকার সৌন্দর্যা-সৃষ্টির কাজে না লাগিয়ে টুটি চেপে মেরে ফেলবার চেষ্টা করলে এ স্বতঃই অতিরিক্ত-অধীনতার চাপে পিষ্ট মানুষের মত বে-পরোয় ভাবে আপনার অস্তিত্ব স্বীকার করবার কাজে লেগে যাবে। আর হয়েছেও তাই । বৰ্ত্তমানে মুসলমান-সমাজে যে কদৰ্য্যতার লীলা চলছে, আমার মনে হয়, তা অনেকটা এই রস-পিপাসার অস্তিত্বকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেবার চেষ্টারই একটা জিনিষকে স্বীকার করেই তাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, অস্বীকার করে নয় । রস জিনিষটাকে সরাসরি অস্বীকার করা হয়েছে বলেই রসপিপাসা আজ আমাদের জীবনে এক অনিয়ঞ্জিত বিরুত রূপ নিয়ে দেখা দিয়েছে, তা বিশ্বের সমস্ত জাতির কাছে আমাদের রুচি সম্বন্ধে একটা ঘুণ্য ধারণা জন্মাবার কারণ হয়ে উঠেছে। রস জিনিষটাকে এমনিভাবে অস্বীকার করবার চেষ্টা না করে তাকে সঙ্গীত ও শিল্পচর্চার মধ্য দিয়ে প্রকাশ করবার চেষ্টা করলে, নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে, আমাদের সমাজ-জীবন স্বন্দর ও শোভনই হয়ে উঠত। সুতরাং আমাদের সকলের—বিশেষ ক’রে মেয়েদের—সঙ্গীত ও শিল্পচর্চ উচিত । সঙ্গীতকে হারাম ব’লে আমরা আমাদের ধৰ্ম্মকে অন্যের নিকট হাস্যাম্পদ ক’রে তুলছি। নৃত্যের তালে তালে কষ্ট হচ্ছে যে স্পন্দনময় শব্দহীন গান—music of the sphere— তারই সঙ্গে স্থর মিলিয়ে আমাদিগকে সকাল সন্ধ্যায় গান ধরতে হবে । তা হ’লেই বুঝতে পারব, চন্দ্র-স্বৰ্য্যগ্রহ-তারায় মণ্ডিত হয়ে যিনি বীণা বাজাচ্ছেন তার আমাদের সঙ্গে কি অপূৰ্ব্ব মিল রয়েছে ; আর এই বোধই আমাদের আধ্যাত্মিকতার পথে অনেকটা এগিয়ে দেবে ; কেন-না, সঙ্গীতের সহায়তায়ই আমরা বিশ্বকে উপলব্ধি ক’রতে পারি, আর এই বিশ্ব-উপলব্ধি অথবা বিশ্ববোধই আমাদের নিরাকার চৈতন্যস্বরূপের সংবাদ দিতে পারে । তাই রবীন্দ্রনাথ বলেছেন— ফল । কর{ মন দিয়ে যায় নাগাল নাহি পাই, গান দিয়ে তার চরণ দুয়ে ঘাই و سد- را স্বতরাং আমাদের নীরস চিত্ত যত শীঘ্র সঙ্গীতরসে अनि উঠে ততই মঙ্গল । কিন্তু মুস্কিল এই যে, আমাদের পুরনারীগণ বৰ্ত্তমানে ষে ভাবে বাক্স-বন্দী হয়ে আছেন, তাতে আমাদের কল্পনাকে বাস্তবে পরিণত করা দুষ্কর । তাই প্রার্থনা করছি, এই নিষ্ঠুর পদ প্রথার উপর কুঠারাঘাত করতে পারে এহেন কামাল আমানের জন্ম হোক আমাদের এই মুত সমাজে । আজ আমাদের এটুকু মনে রাখা উচিত যে, এই দৈন্য দুর্দশার মধ্যেও আমরা প্রকৃতির ভাণ্ডার হতে সহজে অনাবিল আনন্দ লাভ করতে পারি। আর্থিক দুৰ্দ্দশার দোহাই দিয়ে এই সহজপ্রাপ্য অথচ পবিত্র আনন্দ থেকে নিজেকে বঞ্চিত রাখলে আমাদের ঘোর অন্যায় হবে। বরং আর্থিক অবস্থা ভাল নয় ব’লেই আমাদিগকে প্রকৃতিরাণীর দ্বারস্থ হতে হবে ; কারণ তিনি সকল সময়েই অপরূপ সাজে সজ্জিত হয়ে ব’সে আছেন, আর যে ব্যক্তিই তার পানে চাইছে তাকেই তিনি ঢল ঢল হাসি হেসে সম্ভাষণ জানাচ্ছেন। প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য উপভোগের মধ্য দিয়েই আমরা চির-জাগত ও চির-বিচিত্র আল্লাহকে উপলব্ধি করতে পারি। “জীবের মধ্যে অনস্তকে অস্থভব করারই অন্ত নাম ভালবাসা। প্রকৃতির মধ্যে অনুভব করার নাম সেই সৌন্দয্য সম্ভোগ—” [রবীন্দ্রনাথ]। অতি সংসারিকতায় আমাদিগকে আত্ম-সৰ্ব্বস্ব ক’রে একের থেকে অন্যকে আলাদা ক’রে দিচ্ছে। তাই মানুষে মামুষে মিল নেই— ভাইয়ে ভাইয়ে মিল নেই, একের অস্তরের গান অন্তের অন্তরে সাড়া জাগায় না। প্রকৃতির সহায়তা গ্রহণ করলে হয়ত আমাদের এ দশাট চ’লে যেত, কেন না “While the touch of Nature's Harmonizes heart to ನಿಘೀ তাই, বর্ষা-শরত-বসন্তের রঙের তুলিকা আমাদের অন্তর রাঙিয়ে তুলুক ; আকাশ আলোর অজস্র প্রাণপ্রবাহে আমাদের চিত্ত-কালিম দূরীভূত হোক । ত হ’লেই আমাদের হৃদয় সত্য-শিব-স্বন্দরের অধিষ্ঠানমন্দির হ’য়ে উঠবে • #

  • "কুমিল্ল মুক্সিম ইয়ংম্যানস এসোসিয়েসনের" প্রথম সাধারণ অধিবেশনে পঠিত।