পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& o তামিল করতে হবে তো । জামিন দেবেন, ন মাবেন আমার সাথে ? পণ্ডিত কঁাদে কাদে হইয়া কহিল—জামিন হবে আমার কে ? বাড়ীতে আছে আমার স্ত্রী আর এক ছোট ভাগনে। এদের মধ্যে কেউ— — চাপরাশি হাসিয়া কছিল--আপনার মাথা খারাপ দেখতে পাই । লোক না থাকে চলুন আমার সঙ্গে । —আচ্ছা দাড়াও দেখি বাপু । জ্ঞাতিদের মধ্যে যদি কেউ দাড়ায়, চেষ্টা দেখি । পণ্ডিতকে যাইতে উদ্যত দেখিয়া লোকটি কহিল – যাবেম কোথায় ? আপনাকে কি ছাড়তে পারি ? শেষকালটায় সরে পড়ে বিপদে ফেলুন আর কি ! পণ্ডিতের এইবার মর্য্যাদায় আঘাত পড়িল । তিনি উষ্ণ হইয়া কহিলেন—আমি ব্রাহ্মণ, পূজা-আহ্নিক ন৷ ক’রে জলস্পর্শ করিমে, আমার কথা বিশ্বাস কর না । একটা হাই ইস্কুলের হেডপণ্ডিত আমি, কাব্য-ব্যাকরণের উপাধি আমার আছে—ন্যায়ের পরীক্ষাটাও দিতে দিতে দিইনি। আমি পালিয়ে যাব-এই বিশ্বাস তোমার ? চাপরাশি হাসিয়| কহিল—একালে কাউকে ও বিশ্বাস নেই মশায় । পণ্ডিত এইবার ঘাবড়াইয়া গেলেন এবং অগত্য সেইথান হইতেই তাকাহাকি সুরু করিলেন । অনেকেই আসিল এবং তাহার মধ্যে একজন পণ্ডিতের জামিন হইল । বাসস্তী সবকথা শুনিয়া হাসিয়াই অস্থির । হাসি দেখিয়া শুশমলাল কাব্য-ব্যাকরণ রীর্থের ধৈর্য্য ধারণ করা কঠিন হইয়া উঠিল। কোনও সাধী স্বী কি স্বামীর বিপদে এমন উপহাসের হাসি হাসিতে পারে ? পণ্ডিত মহাশয় ভ্র কুঞ্চিত করিয়া বলিতে লাগিলেন—এ আমি জানি, দুঃস্বপ্ন যখন দেখেছি বিপদ একট হবেই। কিন্তু সবচেয়ে দুঃখ তুমিও আমাকে উপহাস কর্চে ! বাসষ্ঠী মুখ টিপিয়া হাদিয়া কহিল – শুধু দুঃস্বপ্ন ময়, তাবা-থসা দেখলে মিথ্যা অপবাদ তো হবেই। পণ্ডিত মহাশয় মুখ ভার করিয়া কহিলেন হু । এইবার আমার জেল-টেল হ’লেই তুমি সন্তুষ্ট প্রবাসী— কাত্তিক, ১৩৩৭ .ണ് ৩০শ ভাগ, ২য় খণ্ড AAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAASAAAA SA হও । কোথায় আমি ছুটতে ছুটতে এলাম তোমারই জন্য, আর তুমিই কি না— । দুঃখে ক্ষোভে তাহার চোখে জল আসিয়া পড়িল । বাসস্তী সহাস্তে কহিল—হাসি তোমার ব্যাপার দেখে । তুমি এতবড় পণ্ডিত—এই টুকুতেই অস্থির! সংস্কৃতের পণ্ডিত কি না । তার চেয়ে এক কাজ কর, আজই কাথি চলে ধাও, দেখে এস কেন তোমার নামে ওয়ারেন্ট হ’ল । পণ্ডিত বুঝিলেন ইহাই সৎ যুক্তি । তিনি বিশেষকিছু না বলিয়া তাড়াতাড়ি আহারাদি শেষ করিয়৷ দুর্গানাম স্মরণ করিতে করিতে মহকুমার দিকে যাত্র। করিলেন । কিন্তু সেখানে গিয়াও বিশেষ কিছু কাজ হইল না। দুইটি টাকা খরচ করিয়া যাত্র এই সংবাদ পাওয়া গেল – বিচার এখানে হইবে না । হইবে তমলুক কোটে । আসামীর বাড়ী বাথির অস্তগত বলিয়। ওয়ারেন্ট এপান হইতে জারি হইয়াছে । আর ৪ জানা গেল, ফৌজদারী মোকদ্দমা পাঠাচুরি সংক্রান্ত । প্রথমে সমন জারী হইয়াছিল, আসামী হাজির না হওয়ায় ওয়ারেন্ট বাহির হইয়াছে । সংবাদ শুনিয়। পণ্ডিত মহাশয় কাদিয়া ফেলিলেন । কাথির উকিল-মোক্তারদের সঙ্গে তবু আলাপ-পরিচয়ও আছে – তমলুকের তে কাহাকে ৪ চেনেন না। কোথায় তমলুকে হইল পাঠ"রি—তাহারই মধ্যে জড়িত হইলেন কি বিপদেই ন৷ তিনি পড়িলেন । বাড়ী ফিরিয়া সেইদিনই তিনি জয়নগর স্কুলের হেড মাষ্টারকে চিঠি লিখিলেন – ‘এক পাঠাচরির মোকদ্দমায় তিনি জড়িত হইয়া পড়িয়াছেন দয়া করিয়৷ আর পমরে দিনের ছুটি যেন মঞ্জুর করা হয় । রাত্রে শখ্যায় শুইয়। পণ্ডিত মহাশয় ক্রমাগত সশবে তিনি । দীঘনিঃশ্বাস ফেলিতেছিলেন – বাসন্তী স্বামীর ভাব দেখিয় কৌতুক অহুভব করিতেছিল। সে বেশ বুঝিয়াছিল, এই ব্যাপারের মধ্যে বেশ একটু রহিয়াছে। কাহারও-না-কাহারও ভুলে তাহার স্বামী এই মোকদ্দমায় জড়িত হইয় পড়িয়াছেন । এই প্রৌঢ় রহস্য