পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©Ꮼb~ উৎকৃষ্ট হইয়াছিল। তাহ বাংলায় হইলেও জাৰ্ম্ম্যান্‌ শ্রোতৃবর্গ কথোপকথনের স্বরলালিত্য, অভিনেতাদের ভঙ্গী, এবং বাংলা গান এবং ভারতীয় যন্ত্র সঙ্গীতে এরূপ মুগ্ধ হইয়াছিলেন এবং অভিনয়ের গুণে আখ্যানটি এতটা বুঝিতে পারিয়াছিলেন, যে, অভিনয় আর এক রাত্রি করিতে হইয়াছিল। মুনিকের জাৰ্ম্মান-সমাজের বহু শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক, বৈজ্ঞানিক ও অন্যান্য সম্লান্ত ব্যক্তি অভিনয়ে উপস্থিত ছিলেন । বাঙালী ছাত্রেরা জাৰ্ম্ম্যান বিশ্ববিদ্যালয়ে ও জাৰ্ম্মান-পরিবারসমূহে যে সহায়ুভূতি ও সৃদয় ব্যবহার পাইয়াছেন, তাহার নিমিত্ত কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিবার জন্য এই অভিনয় করিয়াছিলেন । অভিনয় এত ভাল হইয়াছিল, যে, মুনিকের একথানি কাগজ ইহা যে, সেীখীন অভিনেতাদের অভিনয়, পেশাদারদের নহে, তাহা বিশ্বাস করিতে পারেন নাই। তথাকার অন্ত একটি কাগজে লেখা হইয়াছে, যে, এই অভিনয় দ্বারা এশিয়া ও ইউরোপকে সৌহার্দ্যসূত্রে আবদ্ধ করা হইয়াছে। “সামরিক আইন, কিংবা—” বোম্বাইয়ের ইণ্ডিয়ান ডেলী মেল তথাকার ভারতীয় লিবার্যাল বা উদারনৈতিকদের মুখপত্র। মিষ্টার উইলসন তাহার সম্পাদক । তিনি এখন ছুটি লইয়া, “গোলটেবিল” বৈঠকে “প্রতিনিধি” হইয়৷ যে-সব ভারতীয় লিবার্যাল গিয়াছেন, তাহদের কাহারও কাহারও সহযোগিতা করিতে নিযুক্ত আছেন । তিনি প্রায়ই উক্ত বৈঠক সম্বন্ধে টেলিগ্রাম পাঠাইয়া থাকেন । সম্প্রতি তিনি এই মৰ্ম্মের একটি টেলিগ্রাম পাঠাইয়াছেন, “শুনা যাইতেছে, ব্রিটিশ গবন্মের্ণট ভারত গবন্মেণ্টের নিকট হইতে এই আতঙ্কজনক টেলিগ্রাম পাইয়াছেন, যে, ভারতবর্ষে হয় সামরিক আইন জারী করিতে হইবে, কিংবা গোলটেবিল বৈঠকে রাষ্ট্রীয় প্রগতিসূচক সিদ্ধান্তে উপনীত হইতে হইবে।” মিঃ উইলসনের টেলিগ্রামের কোন সরকারী প্রতিবাদ আমরা দেখি নাই । প্রতিবাদ ন হইলেই যে তাহ নিশ্চয়ই সত্য, এরূপ বলা অবশ্ব, কোন কথার " যায় না। কিন্তু উইলসন সাহেব যদি ঠিক খবর পাইয়া থাকেন, তাহা হইলে তাহার মানে এই দাড়ায়, ষে, ভারত গবন্মেটি সত্যাগ্রহ দমন করিবার নিমিত্ত সামরিক আইন ছাড়া অন্ত সব উপায় অবলম্বন করিরাছেন এবং তাহাতে অকৃতকাৰ্য্য হইয়াছেন ; সুতরাং এখন দুই উপায়ের একটি অবলম্বন করিতে হইবে—( ১ ) সত্যাগ্রহ বন্ধ করিবার নিমিত্ত সৰ্ব্বত্র সামরিক আইন জারী করিতে হইবে, কিংবা (২) সত্যাগ্রহীরা যাহাতে সস্তুষ্ট হন গোলটেবিল বৈঠকে এরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হইতে হইবে । ডাক্তার চারুচন্দ্র ঘোষের মুক্তি পেশাওয়ারের প্রসিদ্ধ কংগ্রেসকৰ্ম্মী ডাক্তার চারুচন্দ্র ঘোবের গত বৎসর মে মাসে ফৌজদারী বিধির সংশোধন অনুসারে দুই বৎসর সশ্রম কারাবাস দগু হইয়াছিল। এই দণ্ড যে বে-আইনী হইয়াছিল, লাহোরের বিখ্যাত ইংরেজী দৈনিক টিবিউন এবং হিন্দু হেরাল্ড তাহ বিস্তারিতভাবে দেখাইয়াছিলেন। এত দিন পরে আপলে তিনি নিৰ্দ্দেশ্য বলিয়া খালাস পাইয়াছেন । ইহাতে আমরা আনন্দিত হইয়াছি । তিনি বহু বৎসর পূৰ্ব্বে এলাহাবাদে কলেজে প্রবাসীর সম্পাদকের ছাত্র ছিলেন । তাহার পর বোম্বাই গিয়া তথাকার সরকারী মেডিক্যাল কলেজে পড়িয়া এবং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া ডাক্তার হন । র্তাহার বাড়ী হুগলী জেলার ইলসোব-মোগুলাই গ্রামে । অনেক বৎসর হইল তিনি একবার বিনা বিচারে ব্রহ্মদেশে নির্বাসিত হইয়াছিলেন ; তখনও তাহার নির্দোষিত উপলব্ধ হওয়ায় তিনি স্বাধীনতা প্রাপ্ত হইয়া পেশাওয়ারে ফিরিয়া আসিতে সমর্থ হন । এবারও তাহার নির্দোযিত প্রমাণিত হইয়াছে। উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের স্বদেশপ্রেমিক মুসলমানদের উপর তাহার খুব প্রভাব আছে, ইহাই বোধ হয় তাহার প্রকৃত অপরাধ । নিখিল-ভারত অর্থনৈতিক কনফারেন্স লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেটগৃহে গত ২রা জানুয়ারী নিখিল-ভারত অর্থনৈতিক কনফারেন্সের অধিবেশন