পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

”سی . , ১ম সংখ্যা । পণ্ডিত-শ্মীর মনের বল উপলব্ধি করিয়া তাহার হাসিও পায়, আবার দুঃখও হয় । কিন্তু মুখ ফুটিয়া সে বিশেষ কিছু বলে না, মাঝে মাঝে সাম্ভুনা দিতে গেলেও তাহার স্বামী বিপরীত বুঝিয়। ফোস করিয়া উঠে। বাসস্তী কহিল -আমার একটা কথা মনে হচ্ছে । পণ্ডিত দীর্ঘশ্বাস মোচন করিয়া কহিলেন,—ম্ভু ! ব। সস্তী কহিল—কথায় আছে, স্বপন নিজের সম্বন্ধে দেখলে পরের হয় । তুমি দেখেছিলে তোমার স্ত্রী চরি গিয়েছে, কিন্তু গেল অনের পাঠ চুরি । আচ্ছা, আমি চুরি গেলেই কি তুমি এর চেয়ে শান্তি পেতে ? পণ্ডিত মহাশয় বিরক্তব্যঞ্জক স্বরে কছিলেন-ঢের হয়েচে, আর জালিও না । আমি সহ করতে পারছি নে । বাসস্তী খিলখিল করিয়া হাসিয়া কহিল ভাল কথ। বললে গু চ’টে যাও দেখছি । কিন্তু স্বপন দেখে ছুটে আসাটাই তোমার ঠিক হয়নি। এ সময়ে তোমার বিদ্রুপ লোকে তো হাসড়েই, আমার ও যখনই মনে হয়, হাসি পায় । তার উপর এই ছাগল চুরির কা গু ! এই বুড়ে বয়সে খুব হাসালে দেখছি । এই বলিয়। সে পাশ ফিরিয়া শুইল । পণ্ডিত মহাশয় গুম হইয়া রহিলেন---একটি কথা গু কহিলেন না । § মোকদুমার দিন পণ্ডিত মহাশয় তমলুকে ইজিব হইলেন । মোক্তার মিলিতেও বিলঙ্গ হইল না । মোক্তার সমস্ত শুনিয় কঠিল—আপনি নিশ্চিস্ত হয়ে মানাহার সেরে কোর্টে যাবেন, খালাস আপনাকে করে দেবই । তবে ফী আমাকে চারটি টাকাই দিতে হবে । আগাম দুটি টাকাই দিয়ে যান । পণ্ডিত মহাশয় উপায়ান্তর না দেখিয়া দুইটি টাকা বহিব করিয়া মোক্তারের হাতে দিয় কহিলেন-দেখবেন মোক্তারবাবু, শেষটায় বুদ্ধ বয়সে মিথ্যা অপরাধে জেল না থাটি । কাৰ্য্যস্থল থেকে দিগ্বিদিকঞ্জানশূন্য হয়ে বাড়ী এলাম—তার ফলও পেলাম খুব ! দুঃস্বপ্ন দেখে কি করে চুপ করে থাকি বলুন । কিন্তু আমার স্ত্রীর পণ্ডিত-মূখ (! ? টিটুকরি আর সহ হয় না মশায় । ঘরে বাইরে দুই দিকেই আমার মুস্থিল কি না ! যা এখন ভরস আপনি —এখানে তে। চেনাশোনা লোক কেউ নাই আমার । মোক্তার সহস্যে কহিল – কিছু ভাববেন না আপুনি । আজই যাতে বাড়ী ফিরে যেতে পারেন, তার ব্যবস্থা আমি করবো । হাকিমকে বলে-কয়ে প্রথম কাছারীতেই আপনার কেসটি ধরাবো। আদিত্য মাইতির হাতে যখন কেস দিয়েছেন—আপনার আর ভয় নেই। যদি সত্যই পাঠাচুরিট আপনিই করতেন, তবু আপনার চিস্ত ছিল না ’ এমন কত আসামীকে প্রতিদিন খালাস করছি—সে এখানকার কে না জানে। সাধে কি আর আট টাকা করে ফী চার্জ করি—তবে আপনার কাছে চার টাকাই নেব । প্রথম কোটেই আসামী শ্যামলালের ডাক পড়িল । গু৭:পুশ-বিহীন, শিখ উপবীতধারী প্রৌঢ় ব্রাহ্মণ কঁাপিতে কাপিতে আসামীর কাটগড়ায় উপস্থিত হইল। হাকিম বিস্মিত হইয়৷ সেইদিকে চাহিলেন, কোর্টের সমস্ত লোক পাঠাচুরির অভিযোগে অভিযুক্ত আসামীর দিকে বিস্মিত দৃষ্টিপাত করিতে লাগিল । হাকিম জিজ্ঞাসা করিলেন—তোম---আপনার নাম ? করজোড়ে ব্রাহ্মণ কহিল—শুiমলাল ভট্টাচাৰ্য্য কাব্যব্যাকরণতীর্থ ! --আপনার বাড়ী ? —কাথি মহকুমার হরিহরপুর গ্রামে । –এ মোকদ্দমায় কি আপনিই আসামী ? পণ্ডিত হাতজোড় করিয়া কহিলেন-হুজুর জয়নগর হাই ইস্কুলের হেড পণ্ডিত । এক দুঃস্বপ্ন ছুঢ়তে ছুটুতে বাড়ী আসি । পরদিনই আমার ওয়ারেন্ট জারি হয়। শুনলাম, পাঠাচুরির মোকময় আমি জড়িত । আমি শুদ্ধসাত্ত্বিক ব্রাহ্মণ- মাছমাংস স্পশ করি না হুজুর । এর বিচার আপনি করুন। হাকিম নথি উণ্টাইয়া দেখিলেন – সত্যই ভূল হইয়াছে। আসামীর নাম শুামলাল ভট্ট, বাড়ী বিপুৰ । চাপরাশি ভুল করিয়া হরিহরপুরের শ্যামলাল ভট্টাচাদ্যের নামে ওয়ারেন্ট জরী করিয়াছে । অমি দেখে 一ド*ァー