পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] محممحصحمه سعه است. بیبیسی বিবিধ প্রসঙ্গ—দেশে দাস, বিদেশে ‘স্বাধীন মানুষ’ (११ তিনি বিবর্তনবাদ ও জীবন " সম্বন্ধে বক্তৃতা করিয়াছিলেন । বিশুদ্ধ ও ব্যবহারিক বিজ্ঞানের নানা বিভাগ সম্বন্ধে বহু প্রবন্ধ পঠিত হইয়াছিল । ബ് মৌলানা মোহম্মদ আলীর পরলোকযাত্র মৌলানা মোহম্মদ আলীর মৃত্যুতে সাধারণতঃ ভারতবর্ষ এবং বিশেষ করিয়া মুসলমান সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্ত মৌলানা মোহম্মদ আলী হইল । তিনি ভারতবর্ষে স্বরাজ স্থাপনের জন্য এবং মুসলমান সম্প্রদায়কে সেই স্বরাজে একটি প্রভাবশালী স্থান দিবার নিমিত্ত প্রভূত চেষ্টা করিয়াছিলেন এবং বহু দুঃখ সহ্য করিয়াছিলেন । র্তাহার কথায় ও আচরণে সব স্থলে পূৰ্ব্বাপর সঙ্গতি রক্ষিত না হইলেও ইহা অবশুস্বীকাৰ্য্য, যে, তিনি ভারতবর্ষকে নিজের মাতৃভূমি জ্ঞানে ভালবাসিতেন। তিনি একবার বলিয়াছিলেন, * অ’ফ’নং" যদি ভারতবর্ষ আক্রমণ করে, তাহা হইলে তাহাদিগকে আমার মৃত দেহের উপর দিয়া আসিতে হইবে”, অর্থাৎ তিনি তাহীদের আক্রমণ প্রতিরোধের জন্ত প্রাণ দিতেও প্রস্তুত । তাহার অসঙ্গতির কারণ, তিনি এক একটি রাজনৈতিক মতিবিশিষ্ট মানুষকে রাষ্ট্রের য়ুনিট বা একক মনে না করিয়া এক একটি স্বতন্ত্র ধৰ্ম্মসম্প্রদায়কে একক মনে করিতেন। আধুনিক গণতন্ত্রবাদ এই মতের সমর্থন করে না । আর একটি কারণ এই, যে, তিনি নির্ভীক ও স্পষ্টবক্তা মানুষ ছিলেন, যখন যাহা সত্য বলিয়া মনে করিতেন, তাহা বলিতে ভয় পাইতেন না—আগে কি বলিয়াছেন তাহা ভাবিয়া কোন কথা বলিতে নিরস্ত হইতেন না। তিনি যোদ্ধপ্রকৃতির মাহুষ ছিলেন । লণ্ডনে যে-সব মুসলমান নেতা এখন দরকষাকষি করিতেছেন, তিনিও কতক দূর পর্য্যন্ত র্তাহীদের সঙ্গে থাকিলেও, তাহদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ মানুষ ছিলেন । তাহাদের এক জনও ভারতবর্ষের জন্য বা মুসলমান সম্প্রদায়ের জন্য তাহার মত দুঃখের বোঝা বহন করেন নাই । তাহার মত হৃদয়বান এবং লিপিদক্ষতায় ও বাগিতায় তাহার সমকক্ষ তাহার একজনও নহেম | তিনি ব্যাধি গ্রস্ত অবস্থায়, চিকিৎকদের পরামর্শের বিরুদ্ধে, কৰ্ত্তব্যবোধে বিলাত গিয়াছিলেন । বলিয়ু ছিলেন, স্বরাজ পাইলে ভারতবর্ষে ফিরিবেন, দাসভারতে আর পদার্পণ করিবেন না । কাজেও তাহাই হইল । তিনি আর আসিলেন না । তিনি বলিয়াছিলেন, “আমরা আলাদ! প্রতিনিধি নিৰ্ব্বাচনের অধিকারের জন্য আসি নাই, আমাদের সম্প্রদায়ের লোকসংখ্যার অতিরিক্ত প্রতিনিধি পাইবার জন্য আসি নাই— আসিয়াছি ভারতবর্ষের নিমিত্ত স্বাধীনতালাভের জন্য ।” তিনি বুঝিতেন, কোনটা সকলের চেয়ে বড় জিনিষ । দেশে দাস, বিদেশে ‘স্বাধীন মানুষ’ ! ভারতভৃত্য সমিতির নেতা শ্ৰীযুক্ত শ্ৰীনিবাস শাস্ত্রী বাক্যের দ্বারা এবং সৌজন্যপূর্ণ ব্যবহারের দ্বারা দেশের সেবা করিয়াছেন, কিন্তু তিনি কখন জেলে যান নাই, লাঠির ঘা কীল চড় কান-মলা থান নাই। সুতরাং তাহার পক্ষে লঘুতার সহিত, জেল ও লাঠির ঘায়ের উল্লেথ করা সোজা । ইহা অভ্যস্ত পরিতাপের বিষয়, যে, তাহার মত একজন গণ্যমান্য লোক ।