পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SAMAMAMAMMMAASAMMMMSMAMSAS SAJJS MAJJAAASAASAA AAAAMAMAMASAMMAMAMMMAMAMMMAMMMAMAeMAMMMAYMMMMMMAMAMMAMMAMAMMMAMAMAMMAMMMAMAMMMSAMMS স্বাধীনতা লাভ করিতে বা গ্র । পার্থক্যবাদীরা এই স্থযোগে দরকষাকষি করিয়া যতটা সম্ভব নিজেদের উদ্দেশ্য সিদ্ধ করিতে চান । কিন্তু গোলটেবিল বৈঠকে র্তাহাদের দাবি গ্রাহ হইলেও তাহা ত টিকিবে না। উক্ত বৈঠকের মীমাংসা জাতীয়তা ও গণতন্ত্রের এবং পূর্ণ স্বরাজের অনুকূল না হইলে কংগ্রেস তাহার বিরুদ্ধে লড়িতেই থাকিবেন । এখন দু একটা গুজবের কথা বলি। গোলটেবিল বৈঠকের লোকদের বিলাত যাত্রার সময় অনেক কাগজে এই খবর বাহির হয়, যে, বড়লাটের শাসন পরিষদের সভ্য স্তার ফজলী হোসেনের পরামর্শ বা স্বপারিশ অনুসারে সাধারণতঃ তাহার দলের মুসলমানরাই গোলটেবিল বৈঠকের সভ্য মনোনীত হইয়াছেন, এবং তিনি র্তাহাদিগকে হিন্দুদের কোন কথা না-শুনিতে এবং ইংরেজদের কথা শুনিতে বলিয়া দিয়াছেন ; কেন-না, হিন্দুদের বন্ধুত্ব অপেক্ষ ইংরেজদের অনুগ্রহ অধিকতর লাভজনক । এই খবরের কোন সুস্পষ্ট প্রতিবাদ আমরা দেখি নাই । আর একটি গুজব এক্ট, যে, শফী আগা খ। প্রভৃতি ব্যক্তি ইংরেজ সিবিলিয়ানদের এক দলের দ্বারা চালিত হইতেছেন । এই দলের প্রভাবের অধীন লোকের ঢাকা প্রভৃতি স্থান হইতে বৈঠকের মুসলমান সভ্যদিগকে পৃথক নির্বাচনাদি বিষয়ে দৃঢ় থাকিতে একাধিকবার তার করিয়াছে । জিন্না প্রভৃতি পার্থক্যবাদীদের সম্বন্ধে ভারতগবন্মেন্টের ইংলগুপ্রবাসী ইংরেজ কৰ্ম্মচারীদের পয়তারার কিছু পরোক্ষ প্রমাণও আছে। - মনিং পোষ্ট্র বিলাতী রক্ষণশীল দলের একটি নামজাদা কাগজ । ইহার ভারতবর্ষীয় সংবাদদাতা মাসাধিক *प्तं निर्झौ इइएउ dहे मर्दन भोळेन, ८१, (*ाभ ডিপার্টমেন্টের সেক্রেটারী হেগ সাহেব ( ধিনি এখন গোলটেবিল সম্পৰ্কীয় কাজে বিলাতে নিযুক্ত আছেন ) লণ্ডন হইতে দিল্লীতে টেলিগ্রাফ করিয়াছেন, ষে, “সাম্প্রদায়িক সমস্যার নিম্পত্তির কোন আশা নাই, যেহেতু প্রতিনিধিদের—বিশেবতঃ মিঃ জিন্নার—অসম্ভব রকম ভাবগতিক দেখা যাইতেছে ” ইণ্ডিয়া অফিস মনিং পোষ্টে এই সংবাদ দেখিয়া প্রতিবাদ করেন ও বলেন, যে, হেগ সাহেব এ রকম টেলিগ্রাম পাঠান নাই । তাহা সত্ত্বেও মনিং পোষ্টের সংবাদদাত বলিতেছেন, যে, তাহার প্রেরিত সংবাদে সত্য আছে । بالإنصات পৃথক্ নির্বাচনের ব্যর্থতা ও অনিষ্টকারিত ভারতবর্যের রাষ্ট্ৰীয় কার্যা সম্বন্ধে আমাদের বক্তব্য এই, যে, ভারতীয় র্যাহার ধৰ্ম্ম যাহাই হউক, মোটের উপর সব ধৰ্ম্মের ও জাতির রাজনৈতিক স্বার্থ ও মঙ্গলমঙ্গল এক এবং পরস্পরের সহিত জড়িত । এই জন্য ধৰ্ম্মভেদে প্রতিনিধিভেদের আবশ্যক নাই । যদি বলেন, যে, সংখ্যালধিষ্ঠ সম্প্রদায়ের ঘথেষ্ট প্রতিনিধি ব্যবস্থাপক সভায় থাকিবে না, তাহার অনিষ্ট হইবে ; তাহা হইলে জিজ্ঞাসা করি, যথেষ্টের মানে কি ? সংখ্যালঘিষ্ঠদিগকে অদ্য সকলের চেয়ে বেশ কিংবা অন্ততঃ সমান-সংখ্যক প্রতিনিধি না দিলে তাহদের অমূলক আশঙ্কা দূর হইতে পারে না । কিন্তু পৃথক্ নির্বাচন এবং সংখ্যালঘিষ্ঠদিগকে অন্য সকলের সমান বা বেশী প্রতিনিধি দিবার দাবি কি ংখ্যাভূয়িষ্ঠের কি দোষ করিল, যে, সংখ্যালঘিষ্ঠদের ন্যায়সঙ্গত ? তাহাদের অধিকার থৰ্ব্ব করা হইবে ? আশঙ্কা অমূলক এই জন্য বলিতেছি, যে, বিশেষ করিয়া সংথ্যালধিষ্ঠ কোন সম্প্রদায়ের স্বার্থহানি বা অনিষ্ট করিবার জন্য সংখ্যাভূয়িষ্ট হিন্দুরা কোনও আইন প্রণয়ন করায় নাই, করাইবার চেষ্টাও করে নাই । সম্প্রদায় নির্বিশেষে যোগ্যতম লোকেরা সকল সম্প্রদায়ের নির্বাচকদিগের দ্বারা প্রতিনিধি নিৰ্ব্বাচিত হইবেন, এবং সকল প্রতিনিধিই সকল সম্প্রদায়ের লোকের মঙ্গলের চেষ্টা করিবেন, ইহাই আমাদের আদর্শ। সকল প্রতিনিধি তাহ করেন না, জানি ; কিন্তু যে-আদশের অনুসরণ দ্বারা সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক মঙ্গল হয়, তাহার কথাই আমরা বলিতেছি । এই আদর্শের অমুসরণ দ্বারাই জাতীয় একতা ও সংহতি