পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] SAJAJAAA AAAA AAAA SAAAAA SAAAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAAMJAAAA - বিবিধ প্রসঙ্গ—বঙ্গে শক্তিহীনতার কারণ SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS Qb〜9 SAASAASAASAASAA AAAS সরকারী কমিটিতে হয় বাঙালী সভ্য মোটেই থাকে ন সাহসের পরিচয় দিতেছেন, তাহ বিস্ময়কর। বোম্বাই কিংবা যথেষ্টসংখ্যক থাকে না। গোলটেবিল বৈঠকে যথেষ্টসংখ্যক বাঙালী সভ্য মনোনীত হয় নাই। উহার কোন কোন সব-কমিটিতে বাঙালী মোটেই নাই । বাংলা দেশে যত মুসলমান আছে, অন্ত কোন প্রদেশে তত মুসলমান নাই ; অথচ গোলটেবিল বৈঠকে অন্য কোন কোন প্রদেশ হইতে বাংলার চেয়ে বেশী মুসলমান সভ্য লওয়া হইয়াছে। কংগ্রেলের এবং কংগ্রেসের কমিটিগুলিতে পৰ্য্যন্ত বাঙালীর প্রতি উপেক্ষার পরিচয় কখন কখন পাওয়া যায়। ভারতীয় লিবার্যাল ব৷ উদারনৈতিকদের মধ্যেও বাঙালী লিবার্যালদের প্রভাব কম। বাংলা দেশকে সরকারী ও বেসরকারী কর্তৃপক্ষ যে অনায়াসে উপেক্ষ করিতে পারেন, তাহ বঙ্গের শক্তিহীনতার পরিচায়ক । এই শক্তিহীনতার অনেক কারণ থাকিতে পারে। আমরা দু-একটির উল্লেখ করিতেছি। একটি কারণ, বাংলা দেশের লোকসমষ্টির মুসলমান ধৰ্ম্মাবলম্বী অধিক অংশ অনগ্রসর । জীবনের সকল বিভাগে বঙ্গের যাহা কৃতিত্ব, তাহ বলিতে গেলে কেবলমাত্র অৰ্দ্ধেকের কম হিন্দু বাঙালীদের কৃতিত্ব। অন্য প্রধান অংশ যে মুসলমান বাঙালীরা, তাহদেরও কৃতিত্ব যদি ইহার সহিত যুক্ত হইত, তাহা হইলে বঙ্গের শক্তি ভাল করিয়া অনুভূত হইত। অতএব, মুসলমান বাঙালীদের কুসংস্কার অজ্ঞতা প্রভৃতি দূর করিবার চেষ্টা মুসলমান অমুসলমান সকল বাঙালীর করা উচিত। মুসলমান বাঙালীরা পদু থাকিলে বাংলা দেশ যথেষ্ট শক্তিশালী হইতে পরিবে না। বঙ্গের শক্তিহীনতার আর একটি কারণ যাংল দেশে পদার আতিশয্য-বিশেষতঃ মুসলমানদের মধ্যে । উৎপীড়ন ও কুৎসা অগ্রাহ করিয়া ব্রাহ্মসমাজ নারীপ্রগতির ক্ষেত্র প্রস্তুত করিতেছিলেন। রাষ্ট্রীয় আন্দোলনের সাহায্যে সেই চেষ্টা ক্রমশঃ সফল হইতেছে । বৰ্ত্তমান রাষ্ট্ৰীয় প্রচেষ্টায় মুষ্টিমেয় ব্রাহ্মসমাজের পুরুষ অপেক্ষ মহিলাদের আত্মোৎসর্গ বেশী বই কম নয়। বৃহত্তর প্রাচীন হিন্দুসমাজের আরও অধিকসংখ্যক মহিলা ইহাতে যোগ দিয়াছেন। কোন কোন জেলায় পল্লীগ্রামের নিরক্ষর মহিলারাও যেরূপ দেশভক্তি ও প্রেসিডেন্সীতে হিন্দু খৃষ্টয়ান পার্সি প্রভৃতিদের মধ্যে পদ নাই। মুসলমানদের মধ্যেও অনেকে পর্দা মানেন না, র্তাহীদের মহিলারা প্রভাত ফেরীর দল বাহির করেন। সভাসমিতিতে, শোভাযাত্রায় বোম্বাইয়ে যেমন হাজার হাজার মহিল! দেখা যায়, বঙ্গে তাহ অসম্ভব । অনেকে এসব কেবল হুজুক বলিয়া উড়াইয়া দিবেন। আমরা তাহাতে সায় না দিলেও, যদি তাহা মানিয়া লই, তাহা হইলেও বলিতে চাই, যাহা হুজুক নয় তাহাতেও ংল। দেশ পিছাইয় পড়িতেছে। নারীশিক্ষায়, নারীদের দ্বারা লোকহিতকর কার্য্যে, এবং পুরুষ ও নারীর সমবেত চেষ্টায় লোকহিতকর কার্য্যে বাংলা দেশ অগ্রগণ্য নহে। যেখানে নারীর শক্তি ও কৃতিত্ব কম, সেখানে পুরুষেরও কম, সমগ্র সমাজেরও কম । বঙ্গের শক্তিহীনতার আর একটি কারণ, হিন্দু বাঙালীদের অধিকাংশ সেই সব জা’তের লোক যাহাদিগকে অস্পৃহ, অনাচরণীয়, ইতর প্রভৃতি মনে করার ও বলার অপরাধ আমরা নিত্য করিয়া থাকি। হিন্দুদের এই অধিক অংশ অনগ্রসর । মুসলমানদের মধ্যে অতি অজ্ঞ দরিদ্র এবং অতি অধম ব্যক্তিও মুসলমান বলিয়া গৌরব অতুভব করিতে পারে। “নিম্নশ্রেণীর" হিন্দুদের হিন্দু বলিয়া গৌরব করিবার কি কারণ আছে ? হিন্দুসমাজের কতকগুলি লোক তাহার অধিকাংশ লোকের মাথার উপর দাড়াইয়া থাকিবে অথচ হিন্দুরা শক্তিমান থাকিবে, ইহা দুরাশামাত্র। প্রত্যেক মানুষ মানুষের মত ব্যবহার ও সৌজন্য পাইতে অধিকারী। ইহা তোমার আমার দয়া নহে ; ইহা সকলের অধিকার । হিন্দু সমাজ অস্পৃশ্বত আদি দোষ সমূলে বিনাশ করিয়া সকলকে মায়বের অধিকার না দিলে আরও দুর্বল হইৰে। ংগ্রেগওয়ালাদের দুই দলের দলাদলি বন্ধের শক্তিহীনতার আর একটি কারণ। তাহাদের বিবাদ সত্যসত্যই মিটিয়া গিয়া থাকিলে ভাল। ~