পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫২ তিনি মৃদু হাসিয়া কহিলেন—আপনি বৃথাই হয়রাণ হয়েছেন । আসামী আপনি নন- আসামী হরিপুরের স্যামলাল ভট্ট। চাপরাশির ভুলেই এ ব্যাপার হয়েছে । কিন্তু আপনিও কি ওয়ারেন্টথান দেখেন নি – কি লেখা আছে ? পণ্ডিত মহাশয় অকলে কূল পাইলেন, কহিলেন— হুজুর, সরকার বাহাদুরের আদেশের উপর আমার অগাধ বিশ্বাস। সরকারের কাগজে কোনও ভুল থাকতে পারে এ আমি ধারণ করতে পারিনি । হাকিম মুখ টিপিয়া একটু হাসিলেন, বুঝিলেন – পণ্ডিত খোসামোদের কথা বেশ বলিতে জানে। তিনি মৃদু হাসিয়া কহিলেন—আপনি নেমে আম্বন ওখান থেকে, ঢের সহ করেছেন, আর কেন ? হ্যা, তারপর আপনি কি করতে চান—কোনও খেসারতের মামলা আনবেন কি ? যে-লোক আপনার উপর ভুল করে ওয়ারেন্ট জারী করেছে তার বিরুদ্ধে মোকদ্দম করবেন } পণ্ডিত মহাশয় কোনওরূপে এই ফাদ হইতে পলাইতে পারিলে বাচেন, তিনি উদারভাবে কহিলেন - না হুজুর, সে সরকার বাহাদুরের চাকর, ইচ্ছে করে তো কিছু করেনি। শাস্ত্রে আছে – মুনিনাঞ্চ মতিভ্ৰম । হাকিম সহাস্তে কহিলেন – বেশ, তাহলে আপনি 〔リび守 *iびる。 l পণ্ডিত মহাশয়ের অন্তরের ভার লঘু হইয় গেল —সঙ্গে সঙ্গে তাহার বাসস্তীরই কথা মনে হইল । সে তো ঠিকই বলিয়ছিল—কিছুই হয় নাই, অথচ তিনি ভাবিয়া ভাবিয়; এই কয়দিনেই অৰ্দ্ধেক হইয়া গিয়াছেন। স্ত্রীর প্রতি এ কয়দিন যে বিরুদ্ধভাব পোষণ করিয়াছিলেন, এইবার তাহ একেবারে নিঃশেষে মিলাইয় গেল । আদালতের কক্ষ হইতে বাহির হইতেই মোক্রণরের সঙ্গে দেখা । পণ্ডিতকে দেখিয়াই সে কহিল—কি ঠাকুর, এখনও ডাক হয়নি তো ? এই হলে আর কি ! পণ্ডিত গম্ভীরভাবে কহিল—ডাক হয়েছিল--খালাস পেয়েছি । মোক্তার স্বর ঘুরাইয়ী কহিল-সে তো জানি মশায়— আমি আগে থাকতেই হাকিমকে বলে রেখেছিলাম কি না, প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩৭ AASAASAASAAMAAASAASAASAASAAAS.................ഹാ..ഹസ്TarunnoBot (আলাপ)ു.------ { ৩০শ ভাগ, হয় খণ্ড ~! কেমন ? যেমন কথা— সেই রকম কাজ কি না দেখুন। আদিত্য মোক্তারের কথা মিথ্যে হয় না—এ জানবেন । এখন দিন তো বাকী দুটি টাকা। খুব সস্তায় সারলেন যাহোক। কিন্তু ওদিককার মক্কেল যেন দুই একটা পাই, বুঝলেন । পণ্ডিত অপ্রসন্নমুখে কহিলেন-কৈ কিছুই তো করলেন না মশায়—শুধু শুধু— মোক্তার বাধা দিয়া কহিল— ও কথা বলবেন না মশায়, আপনার জন্য যা করেছি সে ভগবান জানেন । দেন দেন দুটি টাকা--তাড়াতাড়ি । আমার আবার ওঘরে একট। কেস আছে কি না । হাঙ্গাম। বাড়িয় যাইবে দেথিয় অগত্য পণ্ডিতকে ছুটি টাকা দিতেই হইল। টাকা দুইটি হস্তগত করিয়া মোক্তার কহিল—ষ্ট্য, তারপর ব্যাপারটা কি দাড়িয়েছিল, বলুন তো ? পণ্ডিত মহাশয় সব খুলিয়া বলিলেন, সমস্ত শুনিয়া মোক্তার কহিল—আসুন, অামন—দিষ্ট এক নম্বর মানহানির মামলা ঠুকে । কমসে কম–পাচশ টাকা খেসারৎ পাবেনই । আচ্ছ। বের করুন দেখি সওয়া তিন টাকা । ধরুন দরখাস্তের কোটফী বার আনা, মুহুরির আট আন, আর আমার আপাতত দুই টাকা - পণ্ডিত মহাশয় পলাইতে পারিলে বাচেন, কহিলেন —ন মশায়, ওসবের মধ্যে আর যেতে চাইনে, আর হু জুরের কাছেও বলে এসেছি । মোক্তার এইবার অপ্রসন্ন মুখে কহিল—বেশ তো । আপনার ভালোর জন্যই বলছিলুম—আমার আর এতে লাভ কি ? এখনও একবার ভেবে দেখুন। —বেশ ভেবে দেখেছি মশায় – এই বলিয়া পণ্ডিত মহাশয় দ্রুতবেগে সরিয়া পড়িলেন । & অত্যন্ত লঘু হৃদয়ে পণ্ডিত মহাশয় বাড়ীর পথে যাত্র করিলেন। মিথ্যা অপবাদের বোঝা ঘাড় হইতে নামিয়াছে তো ! এই হাঙ্গামায় পড়িয়া টাকা দশ বারো খরচ হইয়া গেল—ইহাই যা দুঃখের কথা। তবু আর্থিক