পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখf } মেথরের কাজ জাতিবিশেষকে হাত দিয়া পায়খান সাফ করিতে বাধা করা ঠিক নয়। এই ঘূণ্য প্রথা দূর করিবার ভাল উপায় এরূপ পায়খান নিৰ্ম্মাণ যাহাতে জলের সাহায্যে আপন আপনিই ময়লা পরিষ্কার হইয়া যায়। ইউরোপে পল্লীগ্রামেও এই প্রকার ব্যবস্থা আছে। এদেশেও পল্লীগ্রামে তাহ করা যাইতে পারে, কিংবা মাটীতে পরিখা কাটিয়া ব্যবহারাস্তে তাহা মাটী দিয়া বুজাইয়া দেওয়া চলে । এই প্রকারে লোকালয়ের স্বাস্থ্য বৰ্দ্ধন সকল জাতির লোকেরই করা উচিত। নিজের নিজের চোখ মুখ নাক কান পরিষ্কার করিলে বা গাত্র মার্জন করিলে যেমন দোষ হয় না, নিজের অন্য প্রকার ময়লা পরিস্কার করিলেও সেইরূপ দোষ হয় না। উৎকৃষ্ট আধুনিক পায়খানা কিছু ব্যয়সাধ্য বটে। কিন্তু যাহা একান্ত আবশ্যক, তাহাতে ব্যয় ধর্তব্য নহে । কন্যার বিবাহ দেওয়া হিন্দু সমাজে খুব ব্যয়সাধ্য, কিন্তু তাহা সকলেই একাস্ত কৰ্ত্তব্য মনে করে । সমাজের মেথর জাতির উন্নতির জন্ত যে ব্যয় আবশ্বক, তাহাওঁ কন্যার বিরাহ দেওয়ার ব্যয়ের চেয়ে কম দরকারী নহে । শ:স্থিনিকেতনের কোন কোন গৃহে এখন আর মেখর থাটার প্রয়োজন নাই ; উৎকৃষ্টতর আধুনিক ব্যবস্থা হইয়াছে। সৰ্ব্বত্রই এইরূপ হইতে পারে। জেলে মেথরজাতীয় কোন কয়েদীর জেলের বাহিরে বৃত্তি ও অভ্যাস মেথরের মত না হইলেও তাহাকে পায়খানা সাফ করিতে বাধ্য করা হয়। ইহা অত্যন্ত মৃণ্য জবরদস্তী। সব জেলে ময়লা পরিষ্কার করিবার বৈজ্ঞানিক উপায় অবলম্বন করা গবষ্মেন্টের কর্তব্য । جسم مم جسم দু-কামরা ব্যবস্থাপক সভা প্রকাশ, যে, গোলটেবিল বৈঠকের গ্রাদেশিক শাসনবিধি কমিটির রিপোর্টে লেখা হইয়াছে, যে, বঙ্গ, আগ্র-অযোধ্য, এবং বিহার-উৎফলের গ্রাদেশিক বিবিধ প্রসঙ্গ-লাঠির নিম্নস্থিত ভারতবর্ষ હૈ, મૈં ব্যবস্থাপক সভাগুলিতে ফুটি কামরা থাকিবে, কারণ এই তিন প্রদেশে উহার সপক্ষে মত প্রকাশিত হইয়াছে ; অন্য কোন প্রদেশের মত দু-কামরা ব্যবস্থাপক সভা প্রবর্তনের অমুকুল হইলে তবে তাহা তথায় প্রবর্তিত হইবে। দুটা কামরাওয়াল ব্যবস্থাপক সভার মানে এক কামরায় সাধারণ প্রতিনিধিরা বসিবেন, অন্যটাতে জমীদার ও ধনিকরা বসিবেন । শেষোক্ত বাক্তিরা সব দেশেই বেশী রক্ষণশীল হইয়া থাকেন—যে-সব পার্থীর লেজ ভারী ও লম্বা তাহারা উড়ে, কম। ভারতবর্ষে জমাদার ও ধনিকদের উপর ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিসের হুকুম চালাইবার মুযোগ বেশী আছে । অতএব দু-কামরা ব্যবস্থাপক সভার মানে এই দাড়াইবে, যে, সাধারণভাবে নিৰ্বাচিত অগ্রসর ও নির্ভীক প্রতিনিধিরা যাহা করিতে চাহিবেন, রক্ষণশীল জমীদার ও ধনিক প্রতিনিধিদের দ্বারা তাহাতে বাধা দেওয়া হইবে । যে-তিন প্রদেশে দু কামরা কৌন্সিল হইবার কথা বলা হইয়াছে, তাহাতে জমাদার যেমন অনেক, রায়তদের অসস্তোষও তেমনি । গণতান্ত্রিকতার স্রোতের মুখে গবন্মেন্ট জর্মীদার ও ধনিক রূপী ভারী ভারী বস্তা ও পাথরের বঁধি বাধিতে চান। বঁধি টিকিবে কি ? ঐরাবত গঙ্গার স্রোত আটকাইতে পারিয়াছিল কি ? বাংলা, বিহার-উৎকল, এবং আগ্রা-অযোধ্যার জনমত কখনই ছু-কামরার অমুকুল নয়। সাইমন কমিশনের সঙ্গে সহযোগিতা করিবার জন্য নিযুক্ত প্রাদেশিক কৌন্সিলগুলির কমিটি হয়ত অমুকুল মত প্রকাশ করিয়া থাকিবে, কিন্তু ঐ কমিটিগুলা জনগণের, এমন কি কৌন্সিলগুলির নির্বাচিত সভ্যদেরও প্রতিনিধিস্থানীয় झिल न! । ऊांशcनद्र भडाक छनभङ भएन कछ भश মুখত বা মহা ভণ্ডামি । “লাঠির নিম্নস্থিত ভারতবর্ষ বিলাতের নিউ লীভার কাগজের সম্পাদক ব্ৰেলস্ফোর্ড সাহেব ভারত ভ্রমণ করিম দেশে