পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“সত্যমৃ শিবম্ সুন্দরম্” “নায়মাত্মা বলহীনেন লভ্যঃ” =కాtశై=R, S్పలకరి< } aেম সনৎ খ্যা রাশিয়া সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথের পত্রাবলী ঐরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কল্যাণীয়াসু রাণী, মস্কেী থাকতে তোমাকে আর প্রশাস্তকে সোভিয়েট ব্যবস্থা সম্বন্ধে দুটো বড় বড় চিঠি লিখেছিলুম। সে চিঠি কবে পাবে এবং পাবে কিনা কি জানি । বার্লিনে এসে এক সঙ্গে তোমার দু’খানা চিঠি পাওয়া গেল। ঘন বর্ষার চিঠি, শাস্তিনিকেতনের আকাশে শালবনের উপরে মেঘের ছায়া এবং জলের ধারায় শ্রাবণ ঘনিয়ে উঠেচে । সেই ছবি মনে জাগলে আমার চিত্ত কি রকম উৎসুক হয়ে উঠে সে তোমাকে বলা ৰাহুল্য। কিন্তু এবারে রাশিয়া ঘুরে এসে সেই সৌন্দর্ঘ্যের ছবি আমার মন থেকে মুছে গেছে। কেবলি ভাবচি আমাদের দেশজোড়া চাষীদের দুঃখের কথা । আমার যৌবনের আরম্ভকাল থেকেই বাংলা দেশের পল্লীগ্রামের সঙ্গে আমার নিকট-পরিচয় হয়েচে । তখন চাষীদের সঙ্গে আমার প্রত্যহ ছিল দেখা-শোনা-ওদের সব মালিশ উঠেচে আমার কানে । अभि छानि eएन्नग्न भाऊ नि:जशष्ट्र औय अझहें श्रांप्इ, ওরা সমাজের যে তলায় তলিয়ে, সেখানে জ্ঞানের আলো অল্পই পৌঁছয়, প্রাণের হাওয়া বয় না বললেই হয়। তখনকার দিনে দেশের পলিটিক্স নিয়ে যারা আসর জমিয়েছিলেন তাদের মধ্যে একজনও ছিলেন না যারা এদেশের লোক ব’লে অনুভব করতেন । আমার মনে আছে পাবনা কনফারেন্সের সময় আমি তখনকার খুব বড় একজন রাষ্ট্রনেতাকে বলেছিলুম, আমাদের দেশের রাষ্টিয় উন্নতিকে যদি আমরা সত্য করতে চাই তা হ’লে সব আগে আমাদের এই তলার লোকদের মানুষ করতে হবে। তিনি সে কথাটাকে এতই তুচ্ছ বলে উড়িয়ে দিলেন যে, আমি স্পষ্ট বুঝতে পারলুম যে আমাদের দেশাত্মবোধীরা দেশ ব’লে একটা তত্ত্বকে বিদেশের পাঠশালা থেকে সংগ্রহ করে এনেচেন, দেশের মানুষকে তার অস্তরের মধ্যে উপলব্ধি করেন না। এই রকম মনোবৃত্তির স্থবিধে হচ্চে এই যে, আমাদের দেশ আছে বিদেশীর হাতে এই কথা নিয়ে আক্ষেপ করা, উত্তেজিত হওয়া, কবিতা লেখা, খবরের কাগজে চালানো সহজ, কিন্তু দেশের লোক আমাদের আপন লোক,