১ম সংখ্যা ] ক্ষতির উপর দিয়া তাহার ফাড়াটি কাটিয়া গিয়াছে মনে করিয়া তিনি প্রীত হইয়া উঠিলেন । বাস্তবিক, বাসন্তী দুঃস্বপ্নটির ব্যাখ্যা ঠিকই করিয়াছিল—নিজের বিষয় দেখিলে পরের হয় । তাহার স্ত্রী চুরি না গিয় গেল অন্যের পাঠ চুরি। আশ্চর্য্য বটে ! কিন্তু ভোগট। ভুগিতে হইল তাহাকেই । কম্মের ফল আর কি ! স্বপ্ন কি আর মিথ্যা হয় । হাঙ্গামা তে মিটিল—এখন বাসন্তীকে লইয়। কৰ্ম্মস্থলে পৌছিতে পারিলে আর চিস্তা নাই । বাসন্তী কি ধাইতে চাহিবে না ? এই কথা মনে করিতেই পণ্ডিতের মুখে হাসি ফুটিয়া উঠিল। যাইতে আবার চাহিবে নাসে তো পা বাড়াইয়াই আছে । কিন্তু মুখে কিছু বলিতে মেয়েমাহুযের স্বভাবই তো ঐ । নারীর মনের কথা দেবতারাই বুঝিতে পারেন না-মাষ্ট্রম ভো কোন ছার ! মনে মনে এইরূপ নন। আলোচনা করিতে করিতে তই তিনি অগ্রসর হইতে লাগিলেন, ততই তাহার পাইয়া তিনি ধন্ত bリ ・{|| প:বণ! জন্মিল—বাসস্তীর মত স্ত্রী ং ঈশ্ব গিয়াছেন । এই বয়সে এমন
- গ্যের ফল ।
পণ্ডিত মহাশয় বাড়ী পৌছিলেন । তাহার আগমনসংবাদে গ্রামের অনেকেই ব্যাপার কি শুনিবার জন্ত আসিয়া উপস্থিত হইল। পণ্ডিত সহস্যে সমস্ত কথা বিবৃত করিয়া কহিলেন-হাকিম অতি অমায়িক লোক – আমাকে দেখেই তিনি অবাক । আসামীর কাঠগড়ায় উঠতেই তিনি শশব্যস্ত হয়ে বললেন-নেমে আসুন, নেমে অম্বিন-গোল হয়েছে একটা । তারপর সমস্ত কাগজপত্র দেটে বললেন-আমি খেসারতের মামলা আনতে চাই কি না। কিন্তু ক্রোধ কি প্রতিহিংস এসব নীচ প্রবৃত্তি আমার নাই। আমি বল্লাম-না মশায়, ওসব আমি করবে না। কোটযুদ্ধ লোক অবাক ! হাকিম থ' হয়ে আমার মুখের দিকে চেয়ে রইলেন। কিন্তু মোক্তার একেবারে নাছোড়বান্দ, বলেন-দেব আদায় করে পাঁচশ "কি দিন এক নম্বর মামলা ঠুকে । আমি বলে এলাম -কলিকালেও ক্ষমাই ব্রাহ্মণের ধৰ্ম্ম । মামলা করলে পণ্ডিত-মুখ 6: 9 লাভ হ’ত মন্দ নয়—হাকিম তো আমার দিকেই ছিল— পাচশে কেন হাজার টাকাই আদায় হ’ত নিশ্চয় । কিন্তু অর্থের দিকে লোভ আমার কোনও দিনই নাই কি না । বাসষ্ঠীও সমস্ত শুনিল, কিন্তু সে কিছুই কহিল না । ইহাতে পণ্ডিত মহাশয় অত্যন্ত ব্যথা পাইলেন। রাত্রের আহারাদি শেষ হইয় গেলে বাসস্তী দুইখানি চিঠি পণ্ডিতের হাতে দিল। একথানি হেডমাষ্টার মহাশয় লিখিয়াছেন–ছুটি মঞ্জর হইয়াছে, তবে তিনি ব্যাপার জানিতে চাহিয়াছেন। আর একখানি ভোলা-স লিথিয়াছে---এই চিঠিখানি পণ্ডিত মহাশয় বারংবার পড়িতে লাগিলেন এবং যতই তিনি পড়িতে লাগিলেন, ততই তাহার মুথ আনন্দোজ্জ্বল হইয়া উঠিতে লাগিল। ভোল-স লিখিয়াছে— শ্ৰীশ্ৰীদুৰ্গ সহায় শতকোটি ভূমিষ্ঠ প্রণামান্তে নিবেদন, পণ্ডিত মহাশয়, এখান হইতে যাইবার পর আপনার কুশল সংবাদ জ্ঞাত নহি । মাতাঠাকুরাণীসহ আপনি কেমন আছেন জানিবার ইচ্ছা। আপনাদের জন্য বাসা ঠিক করিয়া রাখিয়াছি---আপনার ও মী-জননীর শ্রীচরণের ধূল পড়িলে ধন্য হই। পরে লিখি, এখানে অতি সম্বর আপনাদের শুভাগমনের পিতিক্ষা করিতেছি । কারণ, গ্রামে একেবারে হুলুস্তুল পড়িয়া গিয়াছে। বিবাহ বিষয়ে সরকার বাহাদুর কি একটা নূতন আইন জারি করিতে মনস্থ করিয়াছেন---খুব সম্ভব আগত বৈশাখ মাসেই আইনটি জারি হইয়া বাইবে । ধৰ্ম্ম আর কলিতে থাকিল না দেখিতেছি । যাহা হউক, রাজা যদি ধৰ্ম্মনাশ করেন - আমাদের বলিবার কি আছে। শুনিতে পাই, দেশের লোকগুলাই সরকারকে খোচাইয়া এই আইন করাইতেছে। দেশের লোক দেশের শত্তর হইয়া উঠিল। এখন কাজের কথা লিখি । আমরা ঠিক করিয়াছি -- আইনটি পাশ হইয় যাওয়ার পূৰ্ব্বেই আমরা ছেলেমেঘের জয়নগর . २द्र अथशग्र१ বিবাহ দিয়া-দিব। আপাততঃ ধৰ্ম্মরক্ষী হউক তারপর যাহা হইবার হইবে । আমার নাতনিটির বয়স ছয়