পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

や〉8 প্রবাসী—ফাল্গুন, ১৩৩৭ [ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড তিন পুরাণেই নক্ষত্রদ্বারা বিষুবস্থিতি জ্ঞাপিত হইয়াছে। মহাবিষুব হইতে ৬৭০ নক্ষত্র দূরে দক্ষিণায়ন, ১৩ - নক্ষত্র দূরে অপর বিষুব, জল-বিষুব, এবং ইহার ৬৭• নক্ষত্র দূরে উত্তরায়ণ হইয়া থাকে। অশ্লেষাৰ্দ্ধে দক্ষিণায়ন হইলে ৮০-৬৮০ - ১৮০ নক্ষত্রে, ভরণীর তৃতীয় পাদান্তে, বিষুব হইত। ইহার পূর্বে অবশু কৃত্তিকার আছে, এবং তৎপূর্বে কৃত্তিকার প্রথম পাদান্তে, ইত্যাদি ক্রমে মহাবিষুব হইত। তিন পুরাণেই প্রায় একই ভাষায় লিখিত আছে, কৃত্তিকার প্রথম পাদে বিষুব হইত। “যখন স্বর্য কৃত্তিকার প্রথম পাদ গত হন, তখন চন্দ্র বিশাখার চতুর্থ পাদে জানিবে । যখন সুর্য বিশাখার তৃতীয় পাদে বিচরণ করেন, তখন চন্দ্র কৃত্তিকার শীর্ষে জানিবে । মহর্ষির তথন বিষুবৎ বলেন। স্বর্য দ্বারা বিষুব জানিবে, এবং চন্দ্র দ্বারা কাল (মাস ) লক্ষ করিবে। যেদিন দিবা ও রাত্রি সমান হয়, সেদিন বিষুব। এটি পুণ্য কাল।” এখানে পাচটি তথ্য পাইতেছি । (১) লক্ষত্র দ্বার তুই বিষুবের স্থিতি, (২) পূর্ণিমাতে রবি শশীর স্থিতি, (৩) বিষুবদিনে পূর্ণিমা, ( s ) নক্ষত্রের পাদ (৩২০-) নূন্যতম বিভাগ, (৫ ) পূর্ণিমা হইতে মাস। বুঝিয়৷ দেখি ॥ ২৪ অঙ্কে রুত্তিকার প্রথম পাদাস্ত। এখানে বিষুব হইত। স্বর্য হইতে ১৩ নক্ষত্র দূরে চন্দ্ৰ থাকিলে পূর্ণিমা হয়। অতএব বিষুবদিনে ২০+১৩০ – ১৫৭০ লক্ষত্রে, বিশাখার তৃতীয় পাদ গতে, চন্দ্ৰ থাকিত। এই নক্ষত্রে জলধিযুব থাকিত। পুরাণ ইহাই লিখিয়াছেন। আরও লিখিয়াছেন, বিশাখার তৃতীয় পাদে বিষুব হইবার সময় চন্দ্র ১৫০ – ১৩le = ২ নক্ষত্রে, কৃত্তিকার শীর্ষদেশে থাকে। বস্তুত না থাকিলে পূর্ণিমা হইতে পারে না। একবার কৃত্তিকার শীর্ষ, পর বার কৃত্তিকার প্রথম পাদাস্ত বলাতে বুঝিতেছি, দুই কালের কথা পরে পরে বলা হইয়াছে। পুরাণেই নালিকা ও শঙ্কুর উল্লেখ আছে। নালিকা ( নলাকার ঘটী-যন্ত্রবিশেষ ) দ্বারা দিবামান মাপিলেই বিষুষ ও অয়ন দিন, এবং শঙ্কু দ্বারা ঐ দুই এবং রবি-নক্ষত্র জানিতে পারা যায়। জতি পুরাকালে স্বৰ্যোদয় কিংবা স্বর্ধাস্তকালে দুরন্থ চিহ্ন বেধ দ্বারা রবির

অয়ন-নিবৃত্তি ও বিষুব-প্রবেশ নির্ণয় করা হইত। তখন রবি-নক্ষত্রও দেখা হইত। এই সোজা উপায় থাকিতে পশ্চিম দেশীয় বিদ্বানেরা মনে করিয়াছেন, এই দুই কম। দুষ্কর, প্রাচীন আৰ্যদিগের সাধ্য ছিল না। তাহাদিগের দূরবীক্ষণ-সহিত মান-যন্ত্র ছিল না। পণ্ডিতদিগের এই সন্দেহের কারণ বুঝি। যিনি ‘মোটর’ ব্যতীত গমনাগমন করেন না, তিনি পায়ে ইটিতে ভুলিয়া যান। কিন্তু, যে ইঁাটিতে পারে, সে গ্রামের আইলে আইলে যাইতে চিন্তা করে না । কৃত্তিকায় পূর্ণিমা হইলে কাৰ্ত্তিকী, এবং বিশাখায় হইলে বৈশাখী পূর্ণিমা। অবশ্ব প্রতিবৎসর পূর্ণিমাতিথিতে বিষুব হইত না, কিন্তু, তদ্বারা বিষুবদিন স্মরণ রাখিতে পারা যাইত। আমরা এখন কাতিকী পূর্ণিমায় শ্ৰীকৃষ্ণের রাসোৎসব করিয়া এই পূর্ণিমার প্রাচীন স্মৃতি রক্ষা করিতেছি। আমরা বৈশাখী পূর্ণিমায় উৎসব করি না বটে, কিন্তু, এই দিন কূমাবতার, এবং ইহার পূর্বদিন নৃসিংহাবতার গণিয়া আসিতেছি । আদ্যকাল হইতে পূর্ণিমান্তমাস চলিতেছিল। “পূর্ণিমা’ শব্দের অর্থই পূর্ণমাস। “বেদাঙ্গ-জ্যোতিষের” কালে অমান্তমাস আরম্ভ হইয়াছিল। অর্থাৎ মাসের আরম্ভ পনর দিন পিছাইয় দেওয়া হইয়াছিল । এখন দুই গণনাই চলিতেছে । পূর্বে দেখা গিয়াছে "বেদাঙ্গ-জ্যোতিষে”র কালে, অর্থাৎ – ১৪৪০ অব্দে ভরণীর তৃতীয় পাদান্তে বিষুব হইত। ইহার।- নক্ষত্র, ২৪০ বৎসর পূর্বে, অর্থাৎ – ১৪৪৭ – ২৪০ = – ১৬৮০ অব্দে, কৃত্তিকার আদ্যে বিষুব এবং তৎকালে ২ +৬৭০ = ৮৭০ অশ্লেষার তৃতীয় পাদান্তে দক্ষিণায়ন হইত। কৃত্তিকার প্রথম পাদান্তে বিষুব হইবার সময় ২।• +৬M৭ = ৯ অশ্লেষাস্তে বা মঘাদ্যে দক্ষিণায়ন হইত। মঘাদ্যে দক্ষিণায়ন আরও অনেক গ্রন্থে লিখিত আছে। ত্রযুত কেতকার মৈত্র্যুপনিষদে ইহার উল্লেখ পাইয়াছেন। মঘাদ্যে দক্ষিণায়ন হইত, এখন প্রায় আর্দ্রাদ্যে হইতেছে। মঘাদ্য ম নক্ষত্র হইতে আর্দ্রাদ্য ৫ নক্ষত্রে আসিতে ৪ নক্ষত্র, অথবা —৩৮৪-বৎসর গত হইয়াছে। অতএব -৩৮৪• + ১৯৩s =