পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆNs প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩৩৭ [ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড –১৯•• জন্ধে মেযান্তে বিষুব হইত। ইহাকেই দ্বিতীয় দীপ রলিয়াছি। পুরাণকার মেযান্তে বিষুব লিখিয়া সংশয় দূর করিয়াছেন বটে, কিন্তু, সে পুরাণকার আদি পুরাণকার নহেন। পরবর্তী কালের এক পুরাণ-সংশোধক এই একটি অনাবশ্বক শ্লোক জুড়িয়া দিয়াছেন। অন্যদিকে ঠিক এই স্থানে বিষ্ণুপুরাণ “মেঘাদেী চ তুলাদেী চ” লিখিয়া পূর্বাপর সঙ্গতি রাখিতে পারেন নাই। কারণ কৃত্তিকার প্রথম পাদ কদাপি মেষাদি হইতে পারে না। গ্রেস্থান বৃষাদি। যখন ম্যোদি রাশি সংজ্ঞ চলিতেছিল, তখন সংশোধক মহাশয় শ্লোক জুড়িয়া দিয়াছেন। সে কোন কাল, পরে দেখিতেছি। মৎস্তপুরাণে এইরূপ যোজন অনেক আছে, বিষ্ণুপুরাণে এই অংশে য়াশি সংজ্ঞা প্রচুর বসিয়াছে। এইরূপ, আরও অনেক গ্রন্থে দুই কালের উল্লেখ আছে। ইহাতে বুঝিতে হইবে, মূল গ্রন্থের এক কাল, আর পরবতী সংশোধকের অপর কাল । স্বশুতে এইৰূপ দুই কালের উল্লেখ আছে। সেকালের সংশোধকের পুরাতন রাখিয়া নূতন জুড়িতেন, পুরাতন মুছিয়া ফেলিতেন না। এই সত্যনিষ্ঠার জন্য আমরা এক এক পুরাণে দুই তিন কালের উল্লেখ পাইতেছি। কথাটা স্মতব্য। (ঘ) গ্রহ ও বীর্থী ঋষিগণ রবিশশীর দ্বারা কালমান করিতেন , অন্য পাচ গ্রহের প্রয়োজন হইত না। কিন্তু, জানিতে কৌতুহল হয়, তাহার কোন কালে তারা-আকার পঞ্চগ্ৰহ আবিষ্কার করিয়াছেন । “আমাদের জ্যোতিষী ও জ্যোতিষ” গ্রন্থে পণ্ডিতদিগের মত দেওয়া গিয়াছে। সহজেই বুঝি, শুক্র গ্রহ প্রথম আবিষ্কৃত হইয়াছিল। ইহ। যেমন উজ্জল, তেমন ইহার স্বভাবও বিচিত্র, সূর্যাস্তের পরে কিংবা স্বর্যাদয়ের পূর্বে, কতকদুরে বিচরণ করে, কখনও মধ্য আকাশে আসে না । বৃহস্পতি বৃহৎ-তেজ ও গতিশীল। ইহার অৰিষ্কারও কঠিন ছিল না। এক কালে পুষ্যাতায়ার নিকটে দৃষ্ট হইয়াছিল। এই কারণে গ পুষ্য যোগ প্রসিদ্ধ হইয়াছে। তদনন্তর কৃত্তিক তারার সহিত বৃহস্পতির সম্বন্ধ ঘটে। এইখানে তারাহরণ উপাখ্যানের উৎপত্তি। মঙ্গল গ্রহের প্রাচীন নাম লোহিত, লোহিতাঙ্গ। অপর নাম ‘কুমার’ ৷ ইনি প্রজাপতির পুত্র । বৎসরকে প্রজাপতি বলা হইত, অগ্নিও বলা হইত। হয়ত মঙ্গল কৃত্তিকাকালে আবিষ্কৃত । শনি, ছায়া-স্বত। স্বর্তাহ, রাহ, যে ছায়, তাহা পুরাণেও আছে । বোধ হয় কোন সূর্য-গ্ৰহণ সময়ে শনি আবিষ্কৃত হইয়াছিল। বুধ, তারা ও চন্দ্রের পুত্র। এই তারা, কৃত্তিকা। এইহেতু বুধের এক নাম ‘কুমার’ আছে। এই পঞ্চগ্রহের মধ্যে ভূগ বংশীয় এক ভার্গব দ্বারা শক্র, অঙ্গিরাবংশীয় এক আদিরস দ্বারা বৃহস্পতি, এবং বহু পরে ভরদ্বাজ-বংশীয় ভরদ্বাজ দ্বারা মঙ্গল আষিদ্ভূত হইয়াছিল। আশ্চর্যের বিষয়, শনি ও বুধ ঋষিবংশীয় হইতে পারে নাই । কারণ কি ? বোধ হয় বহু কালাস্তরে এই দুই গ্রহ আবিষ্কৃত হইয়াছিল। শনি, শনৈশ্চর, এত মন্দ-গতি যে তার বলিয়া ভ্রম হয়। বুধ সহজে দৃপ্ত হয় না । বুধ কি সর্বশেষে আবিষ্কৃত ? বায়ুপুরাণ হইতে এইরূপ মনে হয় । এই পুরাণ লিখিতেছেন ( ৫০ অ: ), “নক্ষত্র, সূর্য ও গ্রহ, সর্বদেবের আশ্রয় ; এই হেতু ইহাদিগকে "দেবগৃহ বলে। সূর্য সৌরস্থানে, সোম সেীমস্থানে, শক্ৰ শৌত্রস্থানে, বৃহস্পতি বৃহৎস্থানে, মঙ্গল লোহিতস্থানে, শনি শনৈশ্চর স্থানে থাকে ” এখানে বুধের নাম নাই। ব্রহ্মাণ্ডপুরাণেও নাই। পুরাণে কি পাঠলোপ হইয়াছে ? আর ঠিক সন্দেহ স্থানে ? পুনশ্চ লিথিত আছে, “চাফুষ মন্বস্তরে স্বর্য বিশাখায়, চন্দ্র কৃত্তিকায়, শুক্র পুব্যায়, বৃহস্পতি পূর্বফল্গুনীতে, মঙ্গল পূর্বস্বাষাঢ়ায়, সমুৎপন্ন হইয়াছিলেন।” এখানেও বুধের উল্লেখ নাই। সমূৎপন্ন অর্থে আবিষ্কৃত নয়, দৃষ্ট বুঝিতে হইবে। এখানে তিনটি তথ্য পাইতেছি। কোন এক বিখ্যাত কার্তিকী পূর্ণিমাতে রবি ১৬, চন্দ্র ৩, শক্ৰ ৮, বৃহস্পতি ১১, মঙ্গল ২০, শনি ও রাহ, ২৭ নক্ষত্রে ছিল। (২) সে পূর্ণিমা চক্ষুষ মন্ধস্তরে হইয়াছিল । (৩) বোধ হয়, তখন বুধ জানা ছিল না । - উক্ত পূর্ণিমা এত প্রসিদ্ধ কেন হইল, এবং কেনই