পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] }श्नाटेंहउद्दे পণ্ডিতের মাথাটা বে। বে করিয়া ঘুরিয়৷ উঠিল। তিনি টাল সাম্‌লাইতে না পারিয়া শয্যার উপর বিয়া পড়িলেন। চিঠিতে লেখা ছিল— ভোলা-সার পণ্ডিত বন্ধু ! আমার নিজের পথ দেখিলাম । গিয়া করিয়া বালিকার তুমি একটি ছোট বালিকাকে বিবাহ পিতার গেীরীদানের পুণ্যলাভ করিবার সহায় জয়নগর অঞ্চলে বিবাহের স্বেরূপ ধূম পড়িয়া যাইবে তাহাতে তোমার পক্ষে ইষ্ঠা কিছুমাত্র কঠিন হইবে না । আমার সঙ্গে নিমাইকে লইয়। যাইতেছি, কারণ তোমার কাছে রাগিয়া তাহার পরকাল নষ্ঠ হইতে দিতে পারি না ; আমার জন্য বুথ খোজাখুজি করিয়া লোক হাসাই ও না --তাঙ্গতে অমি জঘনগর হইও । কোন ও ফল হইবে না । ‘বাস স্ট্রী’ 婆 * 澳


密fā ওঁ অপরা? 1 পণ্ডিত মহাশয় একরূপ ছুটিে টিতে গলদঘৰ্ম্ম হইয়া শ্বশুরালয়ে পৌছিলেন । গ্রামের প্রতি গৃহে তিনি স্ত্রীর সন্ধান করিয়াছেন, কিন্তু কোনও ফল হয় নাই, বরং লোকের বিদ্রুপ ও চাপাহাসিতে তিনি বিযfস্ত হইয়। অবশেমে শ্বশুরালয়ে শেষ চেষ্টা করিতে আসিয়াছেন । উন্মাদের মত বিভ্রান্ত দৃষ্টি পণ্ডিত মহাশয়কে দেখিয়৷ উঠিার সম্বন্ধী জয়নারায়ণ কহিল-এ কি ! ভট্চাজ মশায় এমন অসময়ে যে ! কবে আসা হ’ল জয়নগর y থেকে ? পণ্ডিতের বুকট সজোরে ধড়াস করিয়া উঠিল। তবে তো বাসন্তী এখানে আসে নাই । সে আসিলে কি জয়নগর হইতে আসিবার কথাটা অপ্রকাশিত থাকিত ! পণ্ডিত মহাশয় ঠাপাইতে হাপাইতে কহিলেন—এক ধfস জল খাওয়াও তো আগে ভাই ! জয়নারায়ণ কহিল -বিলক্ষণ ! একটু বিশ্রাম করুম, মই হন । রোদের মধ্যে আসতে বড়ই কষ্ট হয়েছে {"প,তে পাচ্ছি। তারপর, বাসস্তী ভাল আছে তো ? পণ্ডিতের এইবার ধৈর্য্যধারণ কঠিন হইয়া উঠিল, পণ্ডিত-মুখ Q☾ তিনি উদগত অশ্রু নিরোধ করিতে করিতে ভগ্ন স্বরে কহিলেন – সে নেই ? বিস্মিত জয়নারায়ণ কহিলেন – নেই ? নেই কি ভট চাঞ্জ মশায় । তবে কি বাসস্তী - । তাহার কণ্ঠস্বরে ব্যাকুলত যেন ঝরিয়া পড়িতেছিল । পণ্ডিত মহাশয় বলিয়া উঠিলেন—ম ভাই, সে বেঁচে আছে, কিন্তু আমার কাছ থেকে সে চলে গেছে । ফিক করিয়৷ হাসিয়া জয়নারায়ণ কছিল -তবু ভাল । তাই বুঝি নালিশ করতে ছুটে এসেছেন এখানে, বেশ, বেশ, কালই আপনার সাথে যেয়ে গোল মিটিয়ে দিয়ে আসবে। বুঝলেন ভট চাজ মশায়, বোম্টি আমার যেমন বুদ্ধিমতী তেমনি এক গুয়ে । ওকে একটু তোমামোদ করে না রাখলে – । পণ্ডিতের আর সহ্য হইল না, তিনি আর্গুস্ববে বলিয়া উঠিলেন—তবে কি সে এখানে আসেনি ভাই ? আমি যে সকাল থেকে খুজে খুজে হয়রাণ হয়ে বেড়াচ্ছি। এপর্যাস্ত পেটে একবিন্দু জল পর্য্যন্ত পড়েনি s জয়নারায়ণ কহিল— আপনি অবাক করলেন ভটচাজ $్క মশায় । বাসস্তী কেন হঠাৎ আসতে যাবে এখানে । আচ্ছ, ব্যাপারখানা কি বলুন তো ? —কথা বলবার শক্তি নেই ভাই । এই দেখ । এই বলিয়। তিনি ভোল-সা’র ও বাসস্তীর চিঠি তার হস্তে কেলিয়া দিলেন। চিঠিখনি পড়িয়া দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়। জয়নারায়ণ কহিল—বুঝেছি। আপনার দোষেই বোনকে হাবাতে বসেছি। আপনার কি -এরই মধ্যে আর একটি মেয়ের – । পণ্ডিত মহাশয় করুণ কণ্ঠে বলিয়া উঠিলেন—আর কাট। ঘায়ে তুনের ছিটে দিও ন! ভাই । আর আমি সহ করতে পারছিনে যে । সে যদি একবার ভালভাবে বলতে তবে কি আর ভোলা-সার প্রলোভনে— । আসছে ভাই । — থাক থাক্‌ পণ্ডিত মশায়, সব কথা পরে শান যাবে। এখন আর ভেবেচিন্তে উপায় কি বলুন । চলুন এইবার বাড়ীর ভিতর । জলটল খেয়ে তারপব - । গলা যে শুকিযে