পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২৪ প্রবাসী— ফাঙ্কন, ১৩৩৭ [ ৩•শ ভাগ, ২য় খণ্ড এবার ঘুম পাড়িয়ে রেখে এলাম। ভারি দাম্বেলে, বড়- יין ואל "আ পোড়ারমুখী |" দামিনী হালি থামিয়ে দম নিয়ে বলল,—“আচ্ছা বড়মা, তোমার ছেলেটি এমনি করে বয়ে যাবে তুমি বলতে চাও?’ স্বরেন নিৰ্ব্বাক বিস্ময়ে তার দিকে তাকাল। বড়-ম বললেন,—‘কেন বলত রে ? দামিনী এক চোট হেসে বলল,-"দেশের কাজে এই যে দলে দলে ছেলে নামূল, এর কারণ কি জান ? ‘कि ?’ ‘মনের দুঃখে! তোমরা এদের বিয়ে দিলে না, একটা উপায় দেখলে না, একটা হিল্পে করলে না, এরা কি করে বল ত ? মুখ চোখ রাঙা করে স্বরেন বল্ল—“বোঁদি না হ’লে তোখাকে আস্ত রাখতাম না। ভারি হিতৈষী!" “আমি একটা উপায় ঠাউরেছি, বড়-মা—গলা নীমিয়ে দামিনী বলল,—এদের বীণার সঙ্গে স্থরেনদার ৈিৱ দাও।”

  • ওদিকের সিডির ধারে বীণা ছিল দাড়িয়ে। হরিণ যেমন দুরেয় বঁাশীর আওয়াজ শোনে, বীণা শুনছিল 2. তেমনি নিশ্চল হয়ে ! হঠাৎ তার কানে আগুনের মত দাঘিনীর কথাগুলো ঢুকতেই তার রুগ্ন দেহ সে আঘাত - সইতে পারল না। তার সেই কদাকার মুখখানি দেখতে * , দেখতে কেমন বিকৃত হয়ে এল, সমস্ত দেহটির খিল্ খুলে গিয়ে থর থর করতে লাগল, মাথায় উঠলো রক্ত—মনে হ’ল, এত বড় সম্ভাবনার দুঃস্বপ্ন তার জীবনকে যে দুৰ্ব্বহ।

ক'রে তুলবে! ধীরে ধীয়ে সে যখন সেখান থেকে - উঠে চলে গেল তখন তার দেহের অৰ্দ্ধেকটা অচেতন হয়ে এসেছে সুরেন মাথা হেঁট ক’রে রইল। বড়-মা বললেন— “আশ্চয্যি ও মেয়ে। এইটুকু বয়সে কত সহাই করল! কাল যে কাণ্ডটা হ’ল তা কোনো ভদ্রঘরে কখনও হয় ন মা। মা হয়ে ৰাপ হয়ে এত বড় অপমান যে পেটের মেয়েকে করতে পারে তা আমার জানা ছিল না ।" দামিনী বলল,—“কেন বড়-মা ? ‘কেন ? এদেশে মেয়ে হওয়া যে পাপ । তার চেয়ে বড় পাপ যদি সে বিয়ের যুগ্যি হয় --কাল একবারটি সিড়িতে এসে দাড়িয়েছিল--ছেলেমানুষ, সকল সময় কি সাবধান হতে পারে ? সমস্ত দিন খেটে থেটে সারা হয়, ওপরে উঠেছিল একটু নিশ্বেস ফেলতে.পড়ে গেল বাপের চোখে মেয়ের পেছনে গোয়েন্দাগিরি করা ওর মা বাপের স্বভাব কি না...’ স্বরেন আরক্তমুখে বলল,—‘সে কি লাঞ্ছনা! ম৷ ধরল জাপটে আর বাপ...দেখে এসে বৌদি, গায়ে এখনও দড়া দড় দাগ পড়ে আছে।’ "নির্দোষীর এত বড় শাস্তি বড় মা ? এ বীণা সইল ?’ স্বরেন ধীরে ধীরে উঠে চলে গেল। বড়-মা বললেন,—নির্দোষী ত নয় মা, স্বরেনের মতন ছেলে যে-বাড়িতে থাকে সে-বাড়ির দিকে তাকানো যে দেশসেবার চেয়েও বড় পাপ |’ দামিনীর চোখ দুটি ততক্ষণে জলে ভরে উঠেছে। শীতের রাত। সন্ধ্যা হতেই দামিনী একটি একটি ক’রে সমস্ত জানলা দরজাগুলি বন্ধ ক’রে দিয়েছিল। সীতেশের জন্যই ভয়, নইলে তার শীত একটুও লাগে না। সে বাজি রেখে এখুনি চৌবাচ্ছায় ডুব দিয়ে স্নান ক’রে আসতে পারে। একটি ধূপ এতক্ষণ জলে এবার শেষ হতে আর দেরি নেই । খাওয়া-দাওয়া সারা হয়ে গেছে। ঘরের দু’দিকে দুটি বিছানার ওপর ব’সে দুজনে গল্প করছিল। "ছোট বেল থেকে দুজনে এক সাথে মানুষ হ’ল, বুঝলে দামিনী, বিয়ের পর আটদিনের মধো মেয়েটি মাথার সিদুর মুছলে, স্বামীর "ইন্‌সিওরের দরুণ কিছু টাকাও পেল সে–বেশ এ পর্য্যস্ত ঠিক আছে, কিন্তু দিন যায়—ছোটবেলার ভালবাসার সার্থীটিও বড় হয়ে একটি বউ ঘরে আন্‌ল— লেপের ভেতর থেকে মুখ সরিয়ে দামিনী বলল,— *उठनि পর ? তারপর দুনিয়ায় যেটি সবচেয়ে বড় সত্যি, স্ত্রীকে ঘরে এনে ছেলেটি মেয়েটিকে তাচ্ছিল্য করল, তাও