পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

む& প্রবাসী-কাৰ্ত্তিক, ১৩৩৭

  • .

[ ৩০শ ভাগ, સત્રક f এই বলিয়া জয়নারায়ণ র্তাহার হাত ধরিয়া টানিতে টানিতে বাড়ীর ভিতরে অনিয়া উচ্চস্বরে কহিল—ম, তোমার পণ্ডিত মশাই এসেছে" দেখে যাও । ওরে ও বাসস্তী, শীগগির এক মাস জল আনতে দিদি, ভোলা-সা’র বন্ধু পিপাসায় শুষ্ককণ্ঠতালু হয়ে উপস্থিত হয়েছেন যে ! পণ্ডিতের মাথাটি যেন এইবার নূতন করিয়া ঘুরিতে লাগিল। বিহবলভাবে এদিক-ওদিক চাহিতে চাহিতে প্রায় মিনিটখানেক পর ব্যাপারটি সঠিক বুঝিতে পারিয়া হে হো করিয়া হাসিয়৷ উঠিয়া কহিলেন-ভোলা-সা’র বন্ধু ! হা, হা, ভোলা-সা’র বন্ধুই বটে। যাক, ভাই বোনে তোমরা খুব হাসালে দেখছি। ختي=s-e=se বীমাজগতে মহিলা ঐসুরেশচন্দ্র রায়, এম-এ, বি-এল, এফ-আর-ই-এস বিগত মহাযুদ্ধের পরে মহিলার ব্যবসায়ক্ষেত্রে নানাস্থানে প্রবেশলাভ করিয়াছেন। জাতীয় জীবনে স্ত্রীলোকেরও যে একটা পৃথক অস্তিত্ব আছে তাহী ক্রমেই জনসমাজ উপলব্ধি করিতেছে। পাশ্চাত্য জগতের রমণীর র্তাহীদের স্বাধিকার অনেকাংশে লাভ করিয়াছেন । আমাদের দেশে এখনও তাহ হয় নাই । কিন্তু সময় আসিয়াছে । মানুষের জীবনে প্রতিনিয়ত দৈবের সঙ্গে দ্বন্দ্ব করিতে হয় । মাতুয সৰ্ব্বদাই নানারূপ উপায় খুজিতেছে যাহাতে দৈব তাহীকে বিপদগ্ৰস্ত করিতে ন পারে । এইজন্যই ভবিষ্যতের কথা ভাবিতে হয়। বাৰ্দ্ধক্যে, আকস্মিক দুর্ঘটনায়, অকালমৃত্যুতে যাহাতে নিজের বা পরিবারবর্গের বিশেয বিপদ না হয়, তাহার জন্ত সংস্থান করিতে হয়। এইজন্তই বীমার বা ইন্‌সিওরেন্সের প্রয়োজন । মধ্যযুগে যখন প্রথম বীমার কাজ আরম্ভ হয়, তখন সে সময়ে শাসকগণ মনে করিতেন বীমা করা ভগবানের বিরুদ্ধাচরণ । মাতুসের অকালমৃত্যু হইলে তাহার পরিবারবর্গ কষ্ট পাইবে, সংস্থান অভাবে বৃদ্ধবয়সে অনাহার, আকস্মিক দুর্ঘটনায়ু যাতনাভোগ এসবই ভগবানের শাস্তি । ইহার প্রতিকারের চেষ্টা মহাপাপ । किरू ७ चौथ् ६ब्र१ गाशयद्र भन श्ड क्लभ मूत्र হইয়াছে। এখন আমরা বুঝিয়াছি ভগবান আমাদিগকে জগতে পাঠাইয়াছেন নানা বিপদ-আপদের মধ্যে । তিনি বলিয়াছেন, “তোমরা আমার মত বীর সস্তান, বাধ৷ বিপত্তির মধ্যে দিয়ে তোমাদের সংগ্রাম করে যেতে হবে , এই সংগ্রামে জয়লাভই তোমাদের গৌরব।” কাজেই দৈবের শাসন হইতে নিজেকে রক্ষা কর। পাপ নয়, সেট। মানুষের কৰ্ত্তব্য । দৈবের সঙ্গে সংগ্রামের অঙ্গ বীমা । বীম; প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে এখন আর বেশী বুঝাইতে হয় না। তবে বীমা যে কেবল পুরুষদের জন্য নহে, স্ত্রীলোকের জন্যও ইহাব আবশ্বকতা আছে, এ কথাটা বিশেষ করিয়া প্রণিধান করা কর্তব্য । সাধারণ গৃহস্থঘরে স্ত্রীলোকের অর্থ উপার্জন করিয়া আনেন না । তবে তাহারা সংসারের যে-সমস্ত কাজ করেন অর্থনৈতিক হিসাবে তাহার মূল্য যথেষ্ট । আমাদের দেশে কত পরিবার যে গৃহিণীর মৃত্যুর পরে ছারখার হইয়া যায় তাহার ইয়ত্ত নাই। গৃহিণীর মৃত্যুতে পরিবারের আয় কমে না, কিন্তু ব্যয়ের মাত্র। বাড়িয়া যায়। যিনি লক্ষ্মীর মত সমস্ত সংসারকে সংবদ্ধ রাথিয়াছিলেন, তাহার অবৰ্ত্তমানে সেই সংসারের ঐ অটুট রাখা সম্ভব নয়। অর্থব্যয় করিয়া অবশ্ব অনেকটা কুবিধা করা যায় ; ছোট ছোট সস্তানের লালন-পালনের ভার উপযুক্ত শিক্ষয়িত্রীর হাতে দেওয়া যাইতে পারে,