পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বাধীনতা উৎসবের মিছিল টিপিয়া ঈষৎ হাসিয়া বলিলাম, “আমারই সঙ্গীরা ।” আর কোনো বাধা ব। অসুবিধা রহিল না । আমরা তখন রাস্তার ভিড় হইতে সরিয়া গিয়া একটি আলোকস্তম্ভের বাধানো বেদীর উপর গিয়া দাড়াইলাম । ঐ স্থানটি ছবি তুলিবার পক্ষে অতি চমৎকার। তখন আমার খুবই দুঃখ হইল ; কারণ আমার ক্যামেরায় এক ফুট পরিমাণ লম্বা ফিল্মও ছিল না। কিন্তু ফিল্ম না থাকিলেও আমাকে অনবরত কেমেরার হাণ্ডেল ঘুরাইয়। ছবি তুলিবার অভিনয় করিতেই হইবে, নতুবা সেখানে দাড়াইয়া তামাশা দেখিবার এমন সুন্দর সুযোগ আমাদের কিছুতেই হয় না। আমার এই ছবি-তোলার ব্যাপারটি বেশ আমোদজনক হইয়াছিল। প্রথমেষ্ট সর্জেণ্ট সাহেবকে আমার ক্যামেরার সম্মুখ দিয়া যাইতে ইঙ্গিত করিলাম। তিনি তদনুসারে সম্মুখভাগে আসিয়া একটুপানি অঙ্গভঙ্গী করিয়া গেলেন এবং পরে ক্যামেরার রেঞ্জের বাহিরে গিয়া আমার দিকে তাকাইয় একটুখানি হাসিলেন । বুঝিলাম মহাদেব সন্তুষ্ট হইয়াছেন। ফিলমে ছবি উঠাইবার সৰ্থ কাহারও কম নয়। আমার ক্যামেরার সম্মুখে কোনো চৌকী আসিলেই শত শত বিম্বাধর হইতে হাসির ঝরণা ঝরিয়া পড়িতে লাগিল। বলা বাহুল্য, পুরুষ অপেক্ষ স্বালোকগণেরই “Cinema star” হইবার আগ্রহ বেশী। তাহাদের মধ্যে একজন স্থলাঙ্গিনীর অভিনয় একটু উল্লেখযোগ্য। তিনি আমার ফিল্ম ক্যামেরা দেখিয়া এতই উৎসাহিত হইয়া পড়িলেন যে, শুধু হাসির ঝরণা বিলাইয়াই তৃপ্ত হইতে পারিলেন না—দুই হাতে চুম্বন ছুড়িতে লাগিলেন । র্তাহার দেখাদেখি আরও অনেক মহিলা