পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჯზb· প্রবাসী – ফাঙ্কন, ১৩৩৭ [ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড ঠুকিতে ঠুকিতে কহিল, “অধম হ্যায়। অশরণ হায়—” জটাধারী প্ৰভু একমুঠ ছাই লইয়া তিনকড়ির কপালে মাথাইয়া দিয়া কহিলেন, “জীত রহে৷ ” সমবেত সাধুর "সীতারাম ! সীতারাম!” বলিয়া চ্যাচাইয়া উঠিলেন। তিনকড়ির দীক্ষা হইয় গেল । সন্ধ্যায় জটাধারী বাবা পরমতত্ত্ব সম্বন্ধে উপদেশ দিতেছিলেন, তিনকড়ি যুক্ত করে শুনিতেছিল । দুইজন সাধু কোনো ম’ড়ে","রর গদী হইতে সেদিন কিরূপ সিধা আসিয়াছে তাহারই আলোচনায় ব্যস্ত ছিল এবং দুইটি বালক সাধু দিস্তাখানেক আটার রুট স্বতসিক্ত করিতেছিল। উপদেশ শেষ করিয়৷ সাধু বাবা কহিলেন, "জুনিয়ামে ইয়ে অমৃত হায় বাবা।" ভক্ত তিনকড়ি স্থতসিক্ত রুটার দিস্তার দিকে অপাঙ্গে চাহিয়া ভক্তিসরস কণ্ঠে কহিল, “হ। বাবা ।” CH: , x * . o 13 ‘s. υ fr། ༢:TE་ཨཱུ་རྀ་ মধ্যেই তিনকড়ি বুঋিল যে, আইনসঙ্গতভাবে জীবন যাপন করিবার শিক্ষ, তাহার একরূপ আয়ত্ত হইয়া কার অনভ্যস্থ অভ্যাসটি প্রভুর সেবা জোগাইতে জোগাইতে ঝালাইয়া 2 છષમ গঞ্জিকার গন্ধ অত্যন্ত অপ্রীতিকর হইতেছিল, কিন্তু সন্ধ্য-নাগাদ সেটা সঠিয়া গেল । দ্বিতীয় দিন এক ভক্ত গুজরাটা ঠিকাদার রেলের একটা নূতন পুলের ঠিক। লইয়া জটাধারী বাবার কাছে ভাগ্যগণনা করাইতে আসিয়াছিলেন । সে-সময় তিনকড়ি উপস্থিত ছিল । ধন্ট-দুয়েকের মধ্যে জ্যোতিষ-বিদ্যায় তাহার প্রচুর জ্ঞান জন্মিয় গেল । তৃতীয় দিন চটকলের কুলীর দলের ছুটি ছিল । তাহার। তিন মাইল রাস্ত হাটিয়া সন্ধ্যায় প্রভুর নিকট সীতারামজীর ভজন শুনিতে আসিয়’ছিল । জটাধারী বাবা “র্যাহ। রাম তাহ নেহি কাম, যাহা কাম তাহ নেহি রাম” এই দোহার অপূৰ্ব্ব ব্যাখ্যা করিয়া তিন টাকা সাড়ে দশ আনা প্রণামী বুঝিয়া লইলেন । তিনকড়ি দোহাটি কণ্ঠস্থ করিয়া লইয়া বুঝিল যে কাজ চলিবার মত সীতারাম-তত্ত্ব গেছে । প্রথম দিন বহুদিন তিনকড়ি লইল । মনে তাহার আয়ত্ত হইয়াছে। চতুর্থ দিন তিনকড়ি শিখিল জটাতত্ত্ব । নদীতে স্নান করিবার সময় একটি বালক জটাধারীর জট। অকস্মাং স্রোতে ভাসিয়া গিয়াছিল। সে তাড়াতাড়ি আসিয়া পুটলি খুলিয়া ভেড়ার লোম বাহির করিল ও তাহাতে আঠা ও ময়দা জুড়িয়া ঘণ্টাখানেকের মধ্যে দুই হাত লম্ব এক জটা বানাইয়া ফেলিল। পঞ্চম দিন জটাধারী প্ৰভু অতি সঙ্গোপনে কিরূপে তাম সোনা হইতে পারে, এ-সম্বন্ধে এক মাড়োয়ারী ভক্তকে উপদেশ দিতেছিলেন । এষ্ট ভক্তটি মাসাধিক কাল হইতে ‘সিদ্ধাই লাভের আশায় প্রভূর পিছু লইয়াছিলেন। তিনকড়ি কান পাতিয়া জটাধারী বাবার উপদেশ শুনিল । প্রভু স্বর্ণ প্রস্তুত-প্রণালী কহিয়! চাদির টাকাকে মোহর করিবার উপায় সম্বন্ধে বলিতে লাগিলেন । তিনকড়ি শুনিয়া বুঝিল ধে প্রভূর নিকট আরও শিক্ষা লাভের আক ক্ষে রাখিলে অতি শীঘ্রই যেখান হইতে আসিতেছে সেখানেই ঢুকিতে হইবে, অতএব সে দল ছাড়িল । দল ছাড়িল রাত্রে । অনেক বিদ্যাই প্ৰভু তাহাকে শিখাইয়াছিলেন। সে তাহার বহুকালের অধীত বিদ্যার কিঞ্চিৎ পরিচয় প্রভুকে দিয়া গেল ! প্ৰভু তখন সশিষ্য গভীর মুপ্তিময় । ব্রা"ত্র দ্বিপ্রহরে তিনকড়ি উঠিল । প্রভুর মুগচৰ্ম্ম ও চিমটা একটা কমণ্ডলু ও একখানা কম্বল সংগ্ৰহ করিয়া কুঁচির সাহায্যে বাবার দীর্ঘ জটটি কাটিয়া লইল । পরে থানিকট বিভূতি বাবার পায়ে ঠেকাইয় তাহাই কপালে মাখিয় তিনকড়ি দ্রুত পদে প্রস্থান করিল। 8 পরদিন প্রভাতে গতরাত্রির তিনকড়ি বেহার বাবা হনুমানদাস রূপে রামনগরের পথে বাবলাতলায় বসিয়া রুদ্রাক্ষের মালা জপিতেছিলেন আর মনে পূৰ্ব্বস্তৃতি তরঙ্গায়িত হইয়া উঠিতেছিল । এই রামনগরেই তিন বৎসর পূর্বে তিনকড়ি বন্ধনদশায় পড়িয়ছিল। অপরাধটি সামান্ত, পথে চলিতে চলিতে ক্ষুধাৰ্ত্ত হইয়া তিনকড়ি রামনগরের দেবালয়ে অগসিয়া অতিথি হইয়াছিল। তখন রাধারাণীঙ্গীয় ভোগের সময় । পুজারীঠাকুর দেবালয়ে একথাল। ফুলকো লুচি বিগ্রহের সম্মুখে