পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৫২ প্রবাসী—ফান্তন, ృ"రిరిగి


_--م۔۔--م... --۔۔-------------------------۔سی

গরুর গাড়ী পথে দাড়াইয়াছিল। বাবা মাধিকে তুলিয়া গাড়ীতে বসাইয়া দিলেন। মাধি চুপ করিয়া বসিয়া রহিল, চৌকীদারের ভয়ে কথা বলিতে পারিল না । মদন ময়ুর ষ্টেশনের দিকে গাড়ী ঠাকাইয়া দিল। গাড়ী চলিতে আরম্ভ করিলে মাধি জিজ্ঞাস করিল, “তুমি জাত ভাল তো ?” তিনকড়ি মিঠাকুরে কহিল, “তুমি কি জাত আগে বল ।” মাধি বলিল, “বামুনের সোনা গয়ে দিয়ে আর মিছে কইব না, আমরা জেতে বেহাের; !” তিনকড়ি হাসিয়া উঠিয় কঠিল, “আমরা ও তাই গো । বাবা তারকনাথ মিলিয়ে দিয়েছেন ।” তারপর ষ্টেশনে পৌছিবার পূর্বেই দুইজনের পরিচয় হইল জীবনের সুখদুঃখের সমস্ত কাহিনীষ্ট উভয়ে উভয়কে বলিয়া কেহ কহাকেও ছাড়িবে না বলিয়া বাব তারকনাথের নামে উভয়েই শপথ করিল। ভোরের দিকে গিরিশ চাটুথ্যে স্বপ্ন দেখিতেছিলেন যে, সালঙ্কার মাধি রাধীরাণাৰ্জীর চৌকীতে দাড়াইয়া হাসিতেছে, আর তিনি তাহার পাশে দাড়াইয়া বঁকা হইয়া বঁাশী বাজাইতেছেন, সেই সময় বরিশাল একসূপ্রেস মাধি ও বাবা হকুমান দাসকে লইয়া শিয়ালদা ষ্টেশনে প্রবেশ করিল 羽终 斯 琳 琳 কোথায় বাবা হকুমানদাস আর কোথায় তিনকড়ি বেহার ! কেহই আর এখন নাই । তবে বৌবাজারের মোড়ে ‘বিশুদ্ধ ব্রাহ্মণের সন্দেশ’ লেখা যে দোকালের সাইনবোর্ড দেখা যায় সে দে কানের মালিকের নাম শ্ৰীযুত তিনকড়ি বাড়ধ্যে । বিশুদ্ধ ব্রাহ্মণের সন্দেশ বলিয়া র্তাহার সন্দেশের চাহিদ। খুব। পণ্ডিত মহাশয়ের ও সমস্ত ক্রিয়াকৰ্ম্মে তাহীর সন্দেশ ব্যবহার করিতে পরামর্শ দিয়া থাকেন। বাড়য্যে মহাশয়ের স্ত্রী শ্ৰীমতী মাধবী সুন্দরীরও দেবদ্বিজে অগাধ ভক্তি। আলুটোলার মোড়ে স্বব্যয়ে মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়। ‘মাধবী মনোহর’ নামে ংশীধর বিগ্রহ তিনিই প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন এবং তিনকড়ি বাড়য্যের বাল্যবন্ধু শ্ৰমং মদনানন্দ স্বামীর উপর বি গ্রহের সেবার ভার অপিত হইয়াছে । পৌষ পূর্ণিমা শ্ৰযতীন্দ্রমোহন বাগচী পূর্ণিমা-অতিথি এসে দাড়াইল ভোরি গৃহদ্বারে নিঃশবা চরণপাতে, শতসিক্ত সন্ধ্যার আঁধারে । দ্বিধাভরা স্মিত হাসি মৌনমুখে—মিলে কি না স্থান— হিম-অবরুদ্ধ গৃহে কে রাখিবে অতিথির মান! স্বর্ণচম্পকের মতো বর্ণ হ’তে ঝরিছে অমিয়, দিক হ’তে দিগন্তরে উড়িছে উদার উত্তরীয় ; বিন্দু বিন্দু পত্ৰলেখা উদ্ভাসিত দীপ্ত গগুতটে, সুশুভ্র চন্দনটিপ ম্প্রসন্ন ললাটের পটে । পুঞ্জে পুঞ্জে কুরুবক হেসে উঠে কানন ভরিয়া, বিকসিত ইন্দুমল্লী রচে অর্ঘ্য ঝরিয়া ঝরিয়া ; কাদে কৃষ্ণ বনস্থলী কা’র রূপ স্মরি’ আজি ফিরে ? আঁখিপাতে সেই অশ্রু ঝলি উঠে নিশীথ-শিশিরে’ ! ওরে অন্ধ, ওরে ভীত, ঘুচাইয়া জড়ত্ব-কালিম, একবার চেয়ে দ্যাখ-সৌন্দর্য্যের নাহি আজ সীমা । দ্বার খুলে’ দে রে স্বর, সসম্বমে নে রে ওরে ডেকে,— হেলায় ফিরে না যেন এ অতিথি গৃহপ্রান্ত থেকে। বন্ধ কর অভিনয়, নিবায়ে দে, দীপ নিবায়ে দে, সুশুভ্ৰ শয্যার পরে বাহুপাশে নে রে তারে বেঁধে ; শুচিতার শুভ্ৰমূৰ্ত্তি—আনন্দের পুণ্য পদতলে হৃদয়ের শূন্যভাণ্ড ভরে” নে রে মিলনাশ্র জলে । এ তিথি রবেন! কাল, অতিথি-পথিক যাবে ফিরে’, সৌন্দর্য্যের পূর্ণচন্দ্র মিলাইবে আমার তিমিরে— বিস্মৃতির অন্তরালে । এ সৌভাগ্য থাকে যতক্ষণ, অমৃতের তীর্থস্নানে সিক্ত করে” নে রে দেহমন । ক্ষীরোদ সমুদ্র ছাড়ি’ এল লক্ষ্মী ধরণীর তীরে বহু ভাগ্যফলে যদি -এ রাত্রি নিষ্ফল নাহি ফিরে । শ্বেত শতদলমাল চুলিছে যা দু্যলোকে ভূলোকে— সে পবিত্র পরশন বুলায়ে নে অস্তরের চোখে ।