পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ግፃፋይ তাড়াতাড়িতে, খামের ঠিকানা অদলবদল হয়ে গিয়েছিল। অনঙ্গবাবু, আমি কালে এষং খ্যাদা বটে, কিন্তু কালে হাতেও জোর থাকে এবং খ্যাদা মেয়েরও আত্মমৰ্য্যাদা থাকে, সেটা বুঝে রাখা ভাল। আমাকে নিয়ে মাছের মত খেলাবার ইচ্ছা আপনার ছিল, না ? কিন্তু আমরাও বাদর ট্রেন করবার যোগ্যতা রাখি । যে রূপের এত গৰ্ব্ব আপনার, সেটার একটু খুৎ হয়ে গেল। ভবিষ্যতে একটু সাবধান হতে পারবেন, আয়নার দিকে চাইলেই । চললাম।” [ ৩০শ ভাগ, ২য় খণ্ড ASAMAMSAMAAeAMAMAMAMAMAMMAeMAMAMMAMMMAAMSAAeAMSAMAAAS মৈত্রেয়ী ক্রতপদে চলিয়া গেল। তাহার চোখে যে জল ভরিয়া উঠিল, তাহ দেখিবার কোনো মানুষ সেখানে ছিল না । অনঙ্গ সেই দিনই কলিকাতায় ফিরিয়া আসিল । মেসে গেল না, হাওড়ায় বাড়ীতে গিয়া উঠিল। ম। ছুটিয়া আসিয়া বলিলেন, "ওমা, সৰ্ব্বনাশ, একি হয়েছে রে ?” অনঙ্গ বলিল, “পাথরের উপর আছাড় থেয়ে কেটে গেছে মা ।” রবীন্দ্র-বন্দন৷ শ্রীমুবলচন্দ্র মুখোপাধ্যায় অতন্দ্র রজনী শুধু ধরণীর আবিষ্ট নয়নপানে চাহি, নিঃশব্দে গণিতেছিল কাকলী-কল্লোল ! কে উঠিল অবগাহি, বৈশাখ-বন্ধুর বেশে,—তমসার বক্ষ হ’তে গৌরবী সে রবি, জ্যোতির কমলবাহী !—গানে গানে তরঙ্গিল অধীর . জাহ্নবী | বুদ্বুদ বিচূর্ণ হ’ল মৰ্ম্মান্ত-হরষে ; নীলকান্ত পারাবার, আপন মহিমা গেল তুলি ! বেদনায় বিবর্ণ সে মণিহার, বক্ষে নিল টানি । রাগিণী ধরিল কায় স্বপন-গহনে, চেতনার প্রাস্ত হ’তে ! প্রণাম থমকি গেল যেন অন্যমনে । তারি তরে বুঝি কোন ইন্দ্রাণীর বরমাল্য যুগ যুগ ধরি সঞ্চিভ রয়েছে আজো । কবে শুনেছিহ তা’র চঞ্চল বঁাশরী, উন্মনা-প্রাস্তর-শেষে, বেণুবন-শিহরিত মুখর নূপুরে । প্রতি পরমাণু তা’র, বিশীর্ণ কেশর-ঝরা অফুট অঙ্কুরে, পরাগে, রেণুতে যেন পরতে পরতে আছে মিশি! তারি দল চূড়া করি বাধিয়াছে রক্তিম ললাটে স্বচ্ছ শুভ্র শতদল হাদি যেন মানসের জলে ! অশ্রু ভারে নমিত চাহনি, অন্ধকারে, শিশিরে শিহরে যেন ! এলোকেশী রূপসী রজনী, তারকায়, পদধ্বনি শোনে যেন কা’র —যা”রে সে ফিরায়ে দেছে, কি নিষ্ঠুর অপমানে! কানে কানে আসি, তা’র কে যেন কয়েছে ‘আসিৰে সে রাজবেশী কোনোদিন । অস্ত্রাণের উদভ্ৰান্ত সমীরে, আজো তবু সে-যৌবন-মাল্যবন্ধু, প্রতিরাতে ঝুরিছে - শিশিরে । মহেক্সের অভিযানে,-প্রতিদিন প্রভাতের অরুণ-পাখায়, কে যেন বর্ণিয়া যায় নীল আলেপন ! দূরে,–শিরীষ-শাখায়, শিরায় শোণিতে কাপে স্বর । রহি রহি বাজি উঠে করতাল, প্রাস্তরের তীর-প্রান্তে পথ-বৈরাগীর । দাড়িম্ব, শিমুল, শাল, আম্ৰবন-কুঞ্জবীথি মন্ত্র জপে স্বগম্ভীর, নীরব বন্দনে । সাজিল মাধবী নারী বর্ণগীতি-রঙ্গিমায় সুরভি-চন্দনে । যে-রজনী সুর্য্য-বিরহিত, তারি ভাষা পড়িয়াছি স্বর্ণীক্ষরে, প্রভাতের রক্তিম লজ্জার রাগে । সুন্দরের মন্দির-চত্বরে, জ্যোতির আলিম্প আজো আঁকি যায় বনলক্ষ্মী অরূপ-কুসুমে । নবীন মঞ্জরীজল দেবীর তুলসী-মঞ্চে নিত্য যায় চুমে, সন্ধ্যার আবীর-বর্ণে, কম্পিত শুামলশোভ উৰ্দ্ধে বিস্তারিয়া ! নির্বাকের বাণী-রূপ, দিল আসি রাখী ডোর স্বহস্তে বাধিয়া, মানবে করিয়া মুগ্ধ ! শুভ্র যুথী পড়ে আছে মন্দির-দুয়ারে, অশ্রুর শিশিরে স্নান ! দূরে নীল ছল ছল যমুনার পারে, সিক্ত বায়ুশ্বাসে আজো কাদি উঠে মৰ্ম্মরের সোপান-বেদিক । নিদ্রিত মাটির ঘরে জাগি আছে নয়নের শাস্ত দীপশিখা, নিৰ্ণিমেষ ৷ উৰ্দ্ধে জাগে আকাশের সীমাহীন স্বনীল প্রসার, কুষ্ঠিত কল্পনা-বধূ, রোমাঞ্চিয়া খুলে দেয় গুণ্ঠন তাহার ! ষে-গান গুঞ্জরি উঠে রজনীর কম্পমান অক্ষুট কমলে, তারি ছন্দে, লিখিলে সুৰ্য্যের লেখা । কি সে মহা প্রতিভা-কৌশলে, গৌরব দানিলে তারে! উন্মত্ত সে ধূর্জটির পিঙ্গল জটায়, জাহ্নবী-তরঙ্গ-ধারে ভরি দিলে নৃত্যলোল রশ্মির ছটায়, স্তম্ভিত অম্বর-ধরা ! গোধূলির ছায়াশীর্ণ, স্পন্দহীন গ্রাম, স্বপ্নে মোরে নিল টানি ? --তারি ধ্যানে লহ মোর নিঃশেষ প্রণাম |