পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳԵ-օ প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩৩৭ [ ७०.१ एठांशं, २झ ५७ তারপর কেশবসেন অন্ততঃ তিন বছর (১২২০-২৩ খৃঃ) রাজত্ব করিয়াছিলেন । কেশবসেনের পর কে পূর্ববঙ্গের রাজা হইলেন তাহ এখনও স্থির করিয়া বলা যায় না।...আবুল ফজলের আইন-ই-আকবরীতে কেশ্বসেনের (অর্থাৎ কেশবসেনের ) পর তুরসেন বা সদাসেন নামে এক রাজার উল্লেখ দেখিতে পাই। প্রাচীন ইতিহাস উদ্ধারের উদ্বেপ্তে আইন-ই-আকবরীর উপর খুব নির্ভর করা যায় না; কারণ তাহাতে অনেক ভুল রহিয়াছে। তথাপি আইন-ই-আকবরীর স্বরসেন এবং তাম্রশাসনের সুৰ্য্যসেন যদি এক হয় তবে মনে করা যাইতে পারে যে, কেশবসেনের পর সুর্যাসেন কিছুকাল পূর্ববঙ্গে রাজত্ব করিয়াছিলেন।... গিরাস্-উদ্দীন ইবজের দ্বিতীয় অভিযানের কয়েক বছর পরই পূর্ববঙ্গে তৃতীয় তুর্কী অভিযানের আভাস পাই। লক্ষ্মণাবতীর তুকী মালিক সৈক্ষ-উদ্দীন ঈবকের (১২৩১-৩৩ খৃঃ) জীবন-বৃত্তান্তের প্রসঙ্গে মিনহাজ বলিতেছেন যে, উক্ত মালিক লক্ষ্মণাবতীর শাসনকর্তৃত্ব লাভ করিয়া খুব বীরত্বের পরিচয় দেন এবং বঙ:দেশ (পূর্ববঙ্গ) হইতে কতকগুলি হাতী অধিকার করিয়া দিল্লীর রাজদরবারে পাঠাইয়া দেন। দিল্লীর স্বলতান (আস্তামাস ) ইহাতে সন্তুষ্ট হইয়া তাকে য়ুধান-তৎ উপাধি দেন। তার পর সৈফ-উদ্দীন কয়েক বছর শাসনকাৰ্য্য চালাইয়া ৬৩১ হিঃ (১২৩৩ খৃঃ) অৰো মারা যান। আনুমানিক ১২৩১ খু: অব্দে দৈফ-উদ্দীন কর্তৃক সেন-রাজ্য আক্রমণের সময় কোন্‌ সেনরাজা বিক্রমপুর অথবা সুবর্ণগ্রামে রাজত্ব করিতেছিলেন, সে বিষয়েও ইতিহাস অন্ধকারময়।... অতঃপর বঙ-দেশের সেনরাজ্যের বিরুদ্ধে চতুর্থ তুর্কী-অভিধান ঘটিয়াছিল ১২৫৮ খৃঃ অন্ধে। ঐ সময়ে লক্ষ্মণাবতীর মালিক ছিলেন ইঙ্গুদ্দীন বল্বন নামক জনৈক তুকী সর্দার । মিনহাজ লিখিতেছেন যে, ৬৫৭ ছিঃ জন্ধে ( ১২৫৮ খৃ: ) ইঙ্গুদ্দীন বলবন যখন বঙ-রাজ্য আক্রমণে ব্যাপৃত ছিলেন সে সময় তাজউদ্দীন আসলান্‌ ৰ্থ নামক জনৈক তুক সর্দার অতর্কিতভাবে আসিয়া লক্ষ্মণাবতী অধিকার করিয়া বসিলেন। ইর্জ,দীন বলবন তখন বঙ, আক্রমণ হইতে ফিরির আসিয়া অমিলান্‌ ধার সহিত যুদ্ধে বন্দী ও পরে নিহত হইলেন। এই ঘটনা হইতেই বেশ বোঝা যায় যে, সুযোগ পাইলেই পূর্ববঙ্গের সেনরাজ্য আক্রমণ করা যেন লক্ষ্মণাবতীর তুকী মালিকদের একটা অভ্যাস হইয়া দাড়াইয়াছিল। মিনহাজ তুকী মালিকদের বঙ-রাজ্য আক্রমণের ধারাবাহিক ইতিহাস লেখেন নাই। তিনি শুধু প্রসঙ্গক্রমেই চার বার পূর্ববঙ্গ আক্রমণের উল্লেখ করিয়াছেন। সুতরাং এই চার বার ছাড়াও যে পূর্ববঙ্গের হিন্দুরাজ্য আরও বহুবার তুর্কীর্ণ কর্তৃক আক্রাপ্ত হইয়াছিল, সে-বিষয়ে সন্দেহ নাই। ইজ়দ্দীন বলুনের পূর্ববঙ্গ আক্রমণের সময় (১২৫৮ খৃঃ)..পূর্ববঙ্গে লক্ষ্মণসেনের বংশই রাজত্ব করিতেছিল।••• ঃপর পূর্ববঙ্গের হিন্দুরাজ্যের উল্লেখ পাই ঞ্জিয়াউদ্দীন বরনীর তারিখ-ই-ফিরোজশাহীতে। এই পুস্তক হইতে আমরা জানিতে পাই যে, লক্ষ্মণাৰতীয় শাসনকৰ্ত্ত মুগীসূ-উদ্দীন তোঞ্জল ধী দিল্লীর সুলতান शिंग्रांन्छेकौन राल्दरनग्न दिब्रएक विशाही श्हेश वाशैनष्ठा थवलवन করিলে সুলতান বলবন তোঙ্গলের বিদ্রোহ দমন করার অভিপ্রায়ে সসৈন্তে বাঙলাদেশে উপস্থিত হন এবং কিছুকালের মধ্যেই পূৰ্ব্ববঙ্গে উপস্থিত হইয়া সুৰৰ্ণগ্রামের রাজা জগুজরায়ের সহিত সাক্ষাৎ করেন । হুলতান বল্ব ও দনুজরায়ের মধ্যে এই ব্যবস্থা হইল যে, বিদ্রোহী তোঞ্জল থ নদীপথে পলায়ন করিতে উদ্যত হইলে দমুজরায় তাকে আটকাইবেন। স্বলতান বল্বনের সহিত দমুজরায়ের এই সাক্ষাৎকারের তারিখ ৬৮১ হিঃ অর্থাৎ ১২৮৩ খৃঃ অন্ধ । সুতরাং দেখা যাইতেছে যে, ১২৮৩ খৃঃ অব্দেও পূর্ববঙ্গ লক্ষ্মণাবতীর মুসলমান শাসকদের অধীন হয় নাই।... চন্দ্রবংশের রাজা শ্ৰীচন্দ্রের সময় হইতে কেশবসেনের সময় পৰ্য্যন্ত বিক্রমপুরই পূৰ্ব্ববঙ্গের রাজধানী ছিল। দশরথদেবের তাম্রশাসনে দেখিতে পাই দে-সময়ও (আনুমানিক ১৩৮৩ খৃঃ) বিক্রমপুরই পূর্ববঙ্গের রাজধানী ছিল। কিন্তু জিয়াউদ্দীন বয়নী উাকে সোনার গী বা সুবর্ণগ্রামের রাজ। বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন। ইহাই বোধ হয় ইতিহাসে স্ববর্ণগ্রামের সর্বপ্রথম উল্লেখ এবং এই সময় হইতে বহুকাল পৰ্য্যন্ত স্ববর্ণগ্রাম পূৰ্ব্ববাঙলার প্রধান নগররূপে ইতিহাসে স্থান পাইয়াছে। কোন সময় হইতে কিরূপে বিক্রমপুরের প্রাধান্ত বিলুপ্ত হইল তা জানা যায় না।-- দশরথদেব-কর্তৃক পরাভূত সেন-রাজ কে ঠিক বলা যায় না-তিনি মধুসেন নিজেও হইতে পারেন অথবা মধুসেনের পূর্ববৰ্ত্তী অন্ত কেহ হইতে পারেন ; কিন্তু একথা সত্য বলিয়া মনে হয় যে, দশরথদেব কর্তৃক গৌড় সিংহাসন অধিকারের কিছুকাল পরেই (১২৮৩ খৃঃ স্বন্ধের পরে ) মধুসেন সেনবংশের পক্ষ হইতে দশরথের বিরুদ্ধে অভূথান করেন এবং পরিশেষে ১২৮৯ খৃঃ অক্টের পূৰ্ব্বে কোন সময়ে দমুঙ্গমাধব দশরথদেবকে পরাভূত করিয়া গৌড়রাজ্যের পুনরুদ্ধার করেন ; কারণ, ১২৮৯ খৃ: অন্ধে দেববংশীয় কোন রাঞ্জার পরিবর্ত্তেয় মধুসেনকেই গৌড়ের অধীশ্বররুপে প্রতিষ্ঠিত দেখিতে পাই।... -- প্রায় এক শতাব্দী ব্যাপিয়া বিক্রমপুরের সেন-রাজবংশ হিন্দুর স্বাধীনতাকে বিজেতার কবল হইতে বাচাইয়। রাখিয়াছিলেন। অবশেষে শত্রুর চিরন্তন সুযোগ প্রতীক্ষার কথা ভুলিয়া গিয়া যখন দারুণ অাৰুকলহে পূর্ববঙ্গের রাজশক্তি দুৰ্ব্বল হইয়া পড়িল, তখনই ক্লকুন উদ্দীন কৈকাউস লক্ষ্মণাবতীর মালিকগণের প্রায় শতাব্দীব্যাপী আকাঙ্গা ও প্রয়াসকে সফল করিয়া তুলিবার সুযোগ পাইলেন। मधूननहे वाष्टलांद्र cष शाशैन श्लूि ब्रांख1; छैiद्र भद्र श्ठ বাঙলার হিন্দু:স্বাধীনতা চিরকালের মত অন্ধকারে ডুবির গেল। তবে পঞ্চদশ শতকের প্রথম পাদে রাজা দনুজমর্দনদেব ও মহেন্দ্রদেব আবার কিছুকালের জঙ্ক বাঙলায় হিন্দু স্বাধীনতাকে পুনরুজ্জীবিত করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। তাও আবার ক্ষণিক বিদ্যুৎ-প্রকাশের মত বাঙলায় আকাশকে চমকাইয়া দিয়া চকিতের মধ্যেই অধীনতার অন্ধকারকে গাঢ়তর করিয়া দিয়া গেল । পঞ্চপুষ্প শ্ৰীপ্ৰবোধচন্দ্র সেন