পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা | নাটকাদি সাহিত্যগ্রন্থের বাঙ্গাল অনুবাদ পড়িয়া প্রতি লাভ করা যায় না। কিন্তু শ্ৰীযুক্ত অপরেশবাবুর অনুবাদে সাধারণত: মূলের ভাব ও ভাষার সহিত অভি প্রশংসনীয়রূপে সামঞ্জস্ত রক্ষিত হইয়াছে। শকুন্তলার শ্লোকগুলির অনুবাদ বহুস্থলে ভাষায় ও রীতিতে একট সেকেলে ধরণের হওয়ায় মনে হয় এগুলিতে একটা চমৎকার সৌন্দর্যf আসিয়। গিয়াছে : এই সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের “চিরকুমার সভার” ংস্কৃত শ্লোকগুলির অনুবাদের কথা মনে না করিয়া থাকা যায় না। এই সেকেলে, অর্থাৎ দুই তিন পুরুষ পূৰ্ব্বেকার বাঙ্গাল কবিতার ঝঙ্কায়ট পাওয়ায়, একটী সারল্য-মিশ্র কলাকৗশলের আভাস শ্লোকগুলির বঙ্গানুবাদকে স্কিন্ধোঙ্গল করিয়া তুলিয়াছে, এবং এই রূপে কালিদাসের সংস্কৃতের অভিজাত্য বাঙ্গাল। ভাসাতেও যেন আসিয়া গিয়াছে । নাটকের প্রধান সার্থকতা তাহার অভিনয়োপযোগিতায় । কতকগুলি শ্রেষ্ঠ নাটক অভিনয়ে প্রায়ই জমে না ; যেমন মুদ্রারাক্ষস নাটক ; পাঠ করিয়াই তাহীদের রস আস্বাদ করিতে হয় । কিন্তু কালিদাসের শকুন্তলা—কি অভিনয়ে কি পাঠে, উভয় প্রকারেই আমাদের চিত্তকে মোহাবিষ্ট ও পুলকিত করে। মূল শকুন্তলার এই উভয়বিধ গুণ শ্ৰীযুক্ত অপরেশ বাবুর অনুবাদে মিলিবে । এই অনুবাদে বঙ্গদেশীয় পাঠ অসুস্থত হইয়াছে । বইখানির ছাপা পরিপাটী এবং বাঙ্গালাদেশে ইহার বহুল প্রচার হওয়া উচিত । শ্ৰীমুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বসন্ত রোগের প্রতিকার ও চিকিৎসা—ডিীয় সংস্করণ । ডাঃ শ্ৰী অভয়কুমার সরকার, এম-বি, ডি পি-এই প্রণীত । সরকার এও সঙ্গ, কলেজ রোড, ফরিদপুর, কর্তৃক প্রকাশিত । >७२+२e श्रृंछै), मूव्] २९ भांग्ञ ! লেখক অনেকদিন হইভে ডিষ্ট্রিক্ট হেলগ্‌ অফিসারের কার্য। করিতেছেন । সুতরাং রোগ ও তাছার প্রতিকার সম্বন্ধে আলোচনা করিবার তাহার বথেষ্ট যোগ্যতা আছে । তিনি সুলেখক,—সাময়িক পত্রিকাদিতে র্তাহার লিখিত সারগর্ভ চিকিৎসা সম্বন্ধীয় প্রবন্ধগুলি আমরা আগ্রহের সহিত পাঠ করিয়া থাকি । আলোচ্য পুস্তকখানিতে লেখক, বসন্ত ও পাণিবসন্ত রোগ সম্বন্ধে যাবতীয় জ্ঞাতব্য বিষয় আলোচনা করিয়াছেন-রোগনির্ণয়, রোগের ক্রমবিকাশ, রোগবিস্তার নিবারণের উপায়, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকৰ্ম্মচারী ও টীকাদার প্রভৃতির কৰ্ত্তব্য, রোগীর শুশ্রষা, তৈজসপত্রাদির শোধন বাতীত টক দেওয়া সম্বন্ধে যাবতীয় তথ্য ও দেশীয় মতে চিকিৎসা ও ইংরেজী চিকিৎসা প্রভৃতি বহু বিষয় লিথিয় তিনি প্রভূত পরিশ্রমশীলতার পরিচয় দিয়াছেন । পরিশিষ্ট্রে বঙ্গদেশীয় গোবীজের টীকাদানবিষয়ক আইনও (Bengal Act V of 1880 ) সন্নিবেশিত ইইয়াছে । বসন্তরোগের আধুনিক চিকিৎসা হাসপাতালের বাহিরে এখনও তাদৃশ আদৃত হয় নাই। ইহার কারণ এই যে, বসন্তরোগ সম্বন্ধে আমরা এখনও অনেক ভ্রান্ত মত পোষণ করি। ফলে বসন্ত রোগীর চিকিৎসার ভার এখন পর্বত্ত্বও অশিক্ষিত ও অযোগ্য লোকের উপর ঠত করিয়া রোগীর জাষ্ট্রীয়-স্বজন নিশ্চিন্তু থাকেন। তঁহীদের ধারণ যে, আধুনিক প্রণালীতে শিক্ষিত নব্য চিকিৎসকগণ এই সাংঘাতিক রোগের কোনো চিকিৎসাই জানেন না। অথচ হাতুড়িয়াগণ যে-সকল দাগাঁর চিকিৎসা করিয়া থাকে, তাহা জালোচনা করিলে প্রত্যেক পুস্তক-পরিচয় ԳԵՎ) শিক্ষিত লোক বুঝিতে পারিৰেন যে, ঐ প্রকারে চিকিৎসিত রোগীর মৃত্যুসংখ্যা স্বাভাবিকভাবে বসন্ত রোগীর মৃত্যুসংখ্যা হইতে বিশেষ কম হয় না । এই পুস্তক পাঠে বসন্ত রোগ, টক দেওয়া ও চিকিৎসা সম্বন্ধে অনেকের ভ্রান্ত ধারণা দূর হইবে—ইহ আমাদের বিশ্বাস। পুস্তকখানি প্রণয়ন করিয়া লেখক দেশের উপকার করিয়াছেন। আশ। করি, অন্যান্য রোগ সম্বন্ধে তিনি এই প্রকার পুস্তক লিখিয়৷ দেশবাসীর মঙ্গলবিধান করিবেন। আমরা এই পুস্তকের বহুল প্রচার কামনা করি। শ্ৰীঅরুণকুমার মুখোপাধ্যায় কলেরা চিকিৎসা—শ্ৰীজ্ঞানেন্দ্রকুমার মৈত্র প্রণীত এবং কলিকাতা, ২০ মহেন্দ্র গোস্বামী লেন হইতে মৈত্র এগু সন্সের শ্ৰীঅক্ষয়কুমার মৈত্র কর্তৃক প্রকাশিত । মুল্য ২M• । কলেরা সম্বন্ধে গ্রন্থকারের চিকিৎসার অভিজ্ঞতা ও নানা স্থান হইতে সংগৃহীত যাবতীয় জ্ঞাতব্য তথ্য এই পুস্তকে সন্নিবেশিত হইয়াছে। কলের রোগের ইতিহাস, ইহার বিস্তৃতি ও সংক্রমণ, কোন বীজাণু হইতে এই রোগের উৎপত্তি এবং কোন কোন শারীর যন্ত্রের উপর ইহা কিরূপ ক্রিয়া করে ও ঐ সকল যন্ত্র কিরূপ বিকৃতি প্রাপ্ত হয়, লেখক এই সকলের বিশদ বর্ণনা করিয়াছেন এবং এলোপ্যাধিক ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণের বিভিন্ন মতামভ বিবৃত করিয়াছেন। কলেরা সদৃশ অন্যান্ত রোগ হইতে ইহার পার্থক্য কি, কিরূপে রোগের প্রকৃতি নির্ণয় করিতে হয় তাহাও দেখাইয়াছেন । কলেরা চিকিৎসার কাৰ্য্যকরী হোমিওপ্যাথিক ঔবধগুলির বৈশিষ্ট্য ও বিভিন্ন লক্ষণ অনুযায়ী উক্ত ঔবধগুলির যথাযথ প্রয়োগ ও পার্থক্য যেরূপ সরলভাবে বিবৃভ হইয়াছে তাহ প্রথম শিক্ষার্থকেও বুঝিতে বেগ পাইতে হইবে না। কিন্তু সাধারণ স্বাস্থানিয়ম পালন করিয়া কলের রোগের আক্রমণ কি ভাবে প্রতিরোধ করা যাইতে পারে সেই সকল মতামত সন্নিবেশিত না থাকায় চিকিৎসা-প্রণালীয় বিবরণ কিছু অসম্পূর্ণ রহিয়া গিয়াছে। গ্রন্থকার এলোপ্যাধিক হইতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার পার্থক্য ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করিতে গিয়া অনেক স্থলেই অযথা নিন্দাবাদ ন৷ করিলে ভাল করিতেন । মোটের উপর ইহাতে কলের সম্বন্ধীয় সকল তথ্য বিশদভাবে থাকায় এবং গ্রন্থকারের ও স্বৰ্গীয় চন্দ্রশেখর কালী মহাশয়ের কলেরা চিকিৎসার অভিজ্ঞত: প্রকাশ পাওয়ায় বইখানি সুন্দর হইয়াছে। শ্ৰীদ্বিজেন্দ্রকৃষ্ণ দে লাইব্রেরী-আন্দোলন ও শিক্ষা-বিস্তার—গ্রহপল কুমার ঘোষ, বি-এল, বিদ্যাবিনোদ প্রণীভ ও “বঙ্গীয় গ্রন্থালয় পরিষৎ” কাৰ্য্যালয়, ৬ বাঞ্ছারাম অকুর লেন, কলিকাতা হইতে গ্রন্থকার কর্তৃক প্রকাশিত। ডবল ক্রাউন ষোড়াংশিত ১৭৬ পৃষ্ঠ, কাগজের মলাট । মূল্য লাইব্রেরী পক্ষে ১২ ও সাধারণ পক্ষে ১॥• মাত্র। শিক্ষাই স্বাস্থ্য, সুখ ও সম্ভ্যতার সোপান । লোকশিক্ষণপ্রচারে লাইব্রেরীর প্রয়োজনীয়ভ সকল সভ্যদেশে স্বীকৃত হুইয়াছে। লাইব্রেরীর সাহায্যে ইস্কুল কলেজের চেয়েও সহজে এবং অল্প খরচে জনসাধায়ণ শিক্ষ। পাইতে পারে । স্বখের বিষয়, আমাদের দেশেও সাধারণ পাঠাগার ও লাইব্রেরীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়িতেছে, যদিও তাহার পরিচালন-পদ্ধতির অনেক সংস্কার অাবশুষ্ক । জামেরিকার আদর্শে