পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলিদ্বীপে ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে অনুসন্ধান

  • ్మ -

చ. 鲇: বলিদ্বীপের অধিবাসীদের সঙ্গে যতটুকু সংস্পণে আসিবার সুযোগ আমার হইয়াছিল, তদ্বিযয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রবাসী’ পত্রিকায় পাঠকসমাজের নিকটে নিবেদন করিয়াছি। সর্বত্রই বলিদ্বীপীয়দেব মধ্যে তাহাদের প্রাচীন সংস্কৃতি সম্বন্ধে—তাহাদের ধৰ্ম্ম সাহিত্য শিল্প সম্বন্ধে ভাব দেখিয়ছি । কারণ উ-অাসেমের রাজার বলিদ্বীপীয় শিল্পীদের দ্বার ছবি কোনো, এবং একট। সচেতন সিমেণ্টে বলিদ্বীপীয় ঢঙে মূৰ্ত্তি ঢালাই কবিয়া নিজ গুহে পৰ্ব্ব সম্পূর্ণ পাইবার আকালে ; ‘পদ ৪’ ও ‘পুঙ্গ ব’দের মধ্যে সংস্কৃতচচ্চার পুনরুদ্ধারের জন্ম ইচ্ছা ; পেী বাণিক নাটকের লোকপ্রিয়তা ; শবদাঙ্গ ও শ্রাদ্ধে প্রাচীনকালের মতই ব্যবহার ; সপত্রই মহাভারতের সময় খট করা ; দেশে নান ধৰ্ম্মোৎসব -- এ সমস্তই ইহাদের নিজ সংস্কৃতির প্রতি পরিচায়ক । কিন্তু কেবলমাত্র অন্ধ আবেগের দ্বারা কিছু তয় না ; প্রাণের টানকে একমাত্র * দুঢ় ও সথিক করা যায় । বলিদ্বীপের বিষয়ে বিচারশীল, তাই তাঙ্গাদের একট প্রাণের টানেধ জ্ঞানের দ্বারাই إي اي تية ) قة ) মধ্যে নিজেদের প্রাচীন ইতিহাস ও হিন্দু সংস্কৃতি সম্বন্ধে জ্ঞান বাড়াইবার জন্ত চেষ্ট। দেখা যাইতেছে । মুখের বিষয়, এই সংস্কৃতি আলোচন বিষয়ে উচ রাজ ও বলিদ্বীপীয় প্রজা উভয়ের মধ্যে পূরা সহযোগ দেখা যাইতেছে । ডচ জাতি ভাষায় এবং কতকটা রক্তে ইংরেজদের জ্ঞাতি ; বাণিজ্য- ও রাজ্য-বিস্তারে ইহারা ইংরেজদের মতনই কৃতিত্ব দেখাইয়াছে, এবং জ্ঞানের চর্চায় ইহার ইংরেজদের চেয়ে কোনও অংশে কম নহে—বরঞ্চ ইংরেজ অপেক্ষা ইহার জারমানদের মত বেশী করিয়া জ্ঞানের সেবক। দ্বীপময় ভারতের নৈসৰ্গিক ও মানবকৃতিমূলক উভয়বিধ সংস্থা ডচ সরকারের উৎসাহে উচ, পণ্ডিতেরা অতি সুন্দরভাবে চর্চা করিয়াছেন ও وي لا مسس-٩ ه لا সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় করিতেছেন। ইউরোপীয় বা আধুনিক সভ্যতার যেটা প্রধান অনুপ্রাণনা—জানিবার জন্য কৌতুহল –ত স্থার ডচের বিশেষ ভাবে অনুপ্রাণিত, এই কৌতুহলের ফলেই ইহাদের দ্বারা যবদ্বীপ বলিদ্বীপ প্রভৃতির প্রাচীন কথা লষ্টয়া অনুসন্ধান ও গবেষণ। —এবং এই গবেষণার ফলে আমবাও উপকৃত ; আমাদের আত্মপরিচয় ঘটাইতে উচ, জাতির অনুসন্ধিৎসা কম সাহায্য করে নাই । আমাদের ভারতকে সম্পূর্ণভাবে জানিতে হইলে যে ভারতের বান্তিরে ও দৃষ্টিপাত করিতে হইবে –ভারতের সীমা যে কেবল জস্থদ্বীপ বা আজকালকাব Indiaকে লইয়াক্ট নহে— এই জ্ঞান আংশিক ভাবে ঢচ পণ্ডিতদের আলোচিত দ্বীপময় ভারতের কথা হইতে অমর লাভ করিয়াছি। বলিদ্বীপে রবীন্দ্রনাথের ভ্রমণের সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার কতকগুলি স্থানের অভিজাত ও পণ্ডিত সমাজে একটু সাড়া পড়িয়াছিল, এ কথা স্বীকার করিতে হইবে । তাহার আগমনে বহুশত বৎসর পরে আবার যেন নূতন করিয়া ভারত ও বলির মধ্যে যোগস্ত্র স্থাপিত হইল। আমাদের দুর্ভাগ্য যে তাহার ভ্রমণের পরে এ যোগস্থত্রকে আরও স্বদূঢ় করিবার জন্য ভারতবর্য হইতে তাদৃশ কোন চেষ্ট হইতে পারিল না। আমরা নিজের দেশেই নানা দিকে বিপন্ন হইয়৷ বহিয়াছি, আমাদের চিত্ত বিক্ষিপ্ত, বিভ্রান্ত, উদ্বেগপূর্ণ; এইরূপ ক্ষেত্রে এই প্রকা রর যোগ-স্থাপনের জন্য আমাদের ব্যাকুলত না হটলে তাহা মার্জনীয়। কিন্তু ভgানিও এবিষয়ে আমাদের জাতীয় ইতিহাসের ও সংস্কৃতির অংশ হিসাবে কিছু দৃষ্টি আমাদের রাখা উচিত । রবীন্দ্রনাথের পরে, ফরাসী সংস্কৃতজ্ঞ ও চীনা ভাষাবিং পণ্ডিত আচায্য শ্ৰীযুক্ত সিলভ্য লেভি বালদ্বীপে যান। ইনি সেখানকার পদগুগণের নিকট হইতে বহু সংস্কৃত মন্ত্রাদি সংগ্ৰহ করিয়া লইয়া আসিয়াছেন। বলি হইতে