পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] একেবারে অপ্রত্যাশিত ! কেখেকে আসছে, কেন আসছে সে-সব কিছুই ভাল জানা গেল না, কিন্তু সরযু সে হাত্রে চোখের জল আর হঠাৎ ধরে রাখতে পারলে না । কেন আসছে তারা—তাকে দেখতে ? এতদিন পরে উমারই তাকে মনে পড়ল বুঝি ! জগর মায়ের খাটুনীও বেড়ে গেল । কোথায় ভাল iধ হয়, সরযু তাকে খুজে আনতে পাঠালে ; যে গয়ল। ভাল দুধ দেয় তাকেও খপর দিতে হ’ল ! দু-দিন পরে ঠিক যথাসময়ে উমা আর বিজন ট্রেন থকে নামূল । উমার নখগ্র থেকে মাথার কালো চুলের রাশি পাস্ত একটি প্রশাস্ত, নিবিড় পরিতৃপ্তিতে ভরা । সমস্ত ভদ্রের ভরানদীর মত কানায় কানায়ু পরিপূর্ণ। পরনে জরিপাড় দিশি শাড়ী, দামের চেয়ে রুচির পরিচয়ই তে প্রচুর । কিন্তু উম। আজও ঠিক তেমনি ছেলে মানুষটি আছে । প্রণাম করে বললে, “এই দিদি, তোর ছেলেট কি উ% দেখ, আমার দেখে জিভ, বার করে হাসছে ! এই পাঞ্জা ছেলে, আমি তোমার কে হই তা জান ?” সর ছেলের দিকে চেয়ে বললে, “বল মাসী।” খোক। অনেক ভেবে এবং অনেক চেষ্টা ক'রে বললে, ”তুমি মাচি ।” বিজনের সঙ্গে রমেশের কথাবাৰ্ত্ত হ’ল । "এসেছিলাম রথ দেখতে, হঠাৎ ওর খেয়াল গেল প্রথের সঙ্গে কল-বিক্ৰীটাও সেরে আসতে। ভাবলাম *হি ভাল, একসঙ্গে চিন্ধ আর আপনাদের —” রমেশ কি ক’রে তার সৌভাগ্য প্রকাশ কবৃরে ঠিক করতে না পেরে বোকার মত চেয়ে রইল । চমৎকার ছেলে বিজন, বিধাতা যেন তাকে ধ্যানে প'লৈ গড়েছেন । রূপের সঙ্গে বিদ্যা, বুদ্ধির সঙ্গে ঐশ্বৰ্য্য “বং বিনয় মিশে তার অন্তর-বাহিরকে একটি অপূৰ্ব্ব

  • দান করেছে।

কিছুক্ষণ যেতে না যেতেই বললে, "আঃ, কি টেবিলে ੱਚੇ ○○ ব’সে ব’সে টিকিটের হিসেব মেলাচ্ছেন ! ও চিরদিন থাকবে, চলুন ভিতরে---” রমেশ-চশম জোড়া অকারণে চোখ থেকে নামিয়ে নিয়ে বললে, “এই যে যাই, আর একটু—” উমার সঙ্গে দেখা হবে সরযু যেন ভাবতেই পারেনি । কথায় বলে—রাজায় রাজায় দেখা হয়, কিন্তু বোনে বোনে— জগ’র মা লুচি বেলছিল। উমা রান্নাঘরে ঢুকে একপাশে বসে পড়ে বললে, “তুমি কি পাগল হ’লে দিদিএই দু’পুরে লুচী খাবে কে ? না, ন, ও সব হবে না।” কিন্তু সরযুর আগ্রহের কাছে উমার আপত্তি টিকল ন। উমা জগর মাকে তুলে দিয়ে বসে গেল লুচি বেলুতে । সরযু ভয়ে, আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন হয়ে বললে, “ওসব হ’বে না উম, তুমি ঘরে গিয়ে ব’স । ছি ছি অসুখ-বিসুখ হ’লে-” উম। খিল খিল করে হেসে উঠল—বাধাহীন নিঝরিণীর কলঝঙ্কার । বললে, “আমাকে কি মনে করছিস্ বল দেখি দিদি । লুচি বেললে মাহ্য মারা যায়, ন আমরা কখনও---" এবার সরযুকেই পরাজয় স্বীকার করতে হ’ল । উমার কলরবে বাড়িটা যেন হাজার বছরের ঘুম থেকে জেগে উঠেছে । “চল না দিদি, চিত্ত্ব দেখে আসি।” “এথন নয়, রোদ পড়লে ।” “তবে পাহাড়ের তলা থেকে-” “সে এখান থেকে অনেক দূর। যত কাছে মনে হচ্ছে ঠিক তা নয় ।” উমা যেন একটি লঘু-পক্ষ রঙীন প্রজাপতি । রান্নাঘরের ধূমজালের মধ্যে বসে সরযুর আজ বালেং বিক্ষিপ্ত বিচ্ছিন্ন ছবিগুলি মনে পড়ছিল । উমা ধন তাদের সেই ছায়াস্নিগ্ধ পল্পীভবনের উদাস গন্ধ ইংম করে এনেছে । ইা রে উমা, দেশে যাস্নি একবারও ?” স্থ্যা, দেশে উম। একবার গিয়েছিল বিঞ্জনের সঙ্গ তাদের যে বাড়িটি বিক্রী হয়ে গেছে তা আর ৫৯.বার