পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*。翌う ●धवांनैौ-कांग्लन, ృsురిa I లert ভাগ, २झ क्षे९७ ভাজার নামিয়াই জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি হ’ল আবার ? কোনো নূতন টাৰ্ণ নিয়েছে নাকি ?” নিরঞ্জন বলিলেন, “একটা স্ল্যাকসিডেন্ট হয়ে আবার অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে, এখন পর্য্যস্ত জ্ঞান হয়নি।” * ডাক্তার বলিলেন, “চলুন, দেখি উপরে।” নিরঞ্জন বলিলেন, “চলুন। দেবকুমার তুমিও এস।” দেবকুমার মনে মনে নিরঞ্জনের সুবিবেচনার অনেক প্রশংসা করিয়া উপরে চলিল। মায়ার শয়নকক্ষে ঢুকিতে তাহার কেমন যেন সঙ্কোচ বোধ হইল। সে বাহিরেই দাড়াইয়া রহিল। ডাক্তার মায়াকে খুব ভাল করিয়া পরীক্ষা করিলেন। তাহার পর বলিলেন, “এখন ত ঘুমিয়ে আছেন মনে হচ্ছে। একবারও কি তাকান নি ?” ইন্দু থাটের ওপাশে দাড়াইয়াছিল, সে বলিল, “একবার মাত্র তাকিয়েছিল, কিন্তু তখুনি আবার চোখ বুজে ফেলল ।” ডাক্তার বলিলেন, “থাক, এখন ঘুমতেই দিন, ডিস্টার্ব করবেন না। আমার ত মনে হচ্ছে না, ভয় পাবার কোনে} কারণ আছে । আমি আবার সকালে এসেই খবর নেব । ভালই থাকবেন বোধ হয় ।” দেবকুমার কথাটা শুনিতে পাইল, কিন্তু আশা করিতেও তাহার ভয় করিতেছিল। এতখানি দুঃখের অবসান কি এত সহজে হইতে পারে ? ডাক্তার নামিয়া চলিলেন । ইন্দু বাহির হইয়া আসিয়া বলিল, “রাত ত এক পহর হয়ে গেল, এখন অবধি কারও খাওয়া-দাওয়া নেই। মেজদা চল, দেবকুমার তুমিও এস। মায়ার কাছে আয় খানিক বক্ষক, আমি তোমাদের খাইয়ে আসি।” নিরঞ্জন বলিলেন, “তুই কি রাত্রে কিছু খাবি না ?” ইন্দু বলিল, “রাতে থাওয়া ত অভ্যেস নেই। সন্ধ্যের সময় জলটল খেতাম, তা আজকের গোলমালে কিছু হয়ে ওঠেনি। এখন আর কিছু খাব না, রাত্তিরে তাহলে বড় অসোয়াস্তি লাগবে, ঘুম হবে না ।” সক্ষঙ্গে, নীচে খাইবার ঘরে গিয়া বসিলেন। ছোকরা এবং ঠাকুর মিলিয়া পরিবেশন করিতে লাগিল । সমস্ত দিনের উত্তেজনার পর, কথা বলিতে কাহারও বিশেষ ইচ্ছা করিতেছিল না। দেবকুমার খালি একবার জিজ্ঞাস করিল, “আমি হঠাৎ এসে জুটলাম, কম পড়ষে না ত ?” নিরঞ্জন শুধু বলিলেন, “না, কম কেন পড়বে ? খাবার ত ফু-তিনজনের মত রয়েছে।” যাহার জন্য অতিরিক্ত রান্নাট হইয়াছিল, তাহার কথা মনে করিয়া তাহার মনটা একবার কেমন করিয়া উঠিল । রাত্রির অন্ধকারের মধ্যে মানুষটা গেল কোথায় ? তাহার কোনো একট। বিপদ আপদ হইলে চিরদিন তাহার জন্য নিরঞ্জনের একটা অনুশোচনা থাকিয়া যাইবে। একরকম নীরবেই সকলে আহার শেষ করিয়া উঠিয়া পড়িল । নিরঞ্জন চাকরকে ডাকিয়া দেবকুমারের শুইবার ব্যবস্থা করিয়া দিতে আদেশ দিলেন । তাহার পর ইন্দুর দিকে ফিরিয়া বলিলেন, “আমি শুতে যাচ্ছি, বড় বেশী ক্লাস্ত লাগছে । আজ তুই মায়ার ঘরেই থাকিস্ । কিছু দরকার হ’লে তখুনি আমাকে খবর দিস, ঘুমিয়ে আছি ব’লে যেন বসে থাকিস না ।” ইন্দু বলিল, “তা ডাকব বৈকি ? অস্থক-বিমুখের সময় কি আর অত বিচার করলে চলে ?” সেও উপরে উঠিয়া গেল। দেবকুমার তাহার জন্ত নির্দিষ্ট ঘরে গিয়া অনেকক্ষণ চুপ করিয়া খাটের উপর বসিয়া রহিল। ঘুম তাহার একেবারেই আসিতেছিল না। উপরের তলা হইতে কোনো সাড়া পাওয়া যায় কি-না, তাহারই আশায় নিজের অজ্ঞাতসারেই যেন সে উৎকর্ণ হইয়৷ ছিল । কি যে সে আশা করিতেছিল, তাহ নিজেই ভাল করিয়া বুঝিতে পারিতেছিল না । কিন্তু উপরতলা হইতে কোনই সাড়াশব্দ পাওয়া গেল না। দেবকুমার বসিয়া থাকিয়া থাকিয়া ক্লাস্ত হইয়া অবশেষে ঘুমাইয়া পড়িল । নিরঞ্জন তাহার মোটর না ফেরা পৰ্য্যস্ত নিশ্চিন্ত হইয়া ঘুমাইতেও পারিতেছিলেন না। প্রভাসের জন্য একটা ছুশ্চিন্ত তাহার লাগিয়াই ছিল । মোটর যখন ফিরিল, তখন রাত প্রায় একটা । নিরঞ্জন তখনও জাগিয়া