পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] নিরঞ্জন কন্যাকে কোলের কাছে টানিয়া আনিয়া বলিলেন, “আমি তোমাকে বোঝাতে চেষ্টা করছি মা, বেশী এক্সাইটেড হয়ে না, বেশী মনও খারাপ কোরে না। ভগবানের কৃপায় আমাদের দুঃখের দিন হয়ত কেটে গেল। তুমি বোসে৷ ” মায়া ইঞ্জি চেয়ারে গিয় বসিল । নিরঞ্জন বলিলেন, “ম, তোমার ঘুমতে যাবার আগে কোনো বিশেষ ঘটনা কি মনে পড়ে ?” মায়ার মুখে রক্তোচ্ছাস ঘনাইয়া উঠিল, তাহার পর মুখখান একেবারে শাদা হইয়া গেল। বলিল, “মনে পড়ে বাবা । একৃসেলসিয়ার থেকে ফিরে এসে থাটের উপরেই অনেক্ষণ চুপ করে বসেছিলাম ! হঠাৎ মনে হ’ল মায়ের ছবির ফ্রেমের ভিতর থেকে ছবিখানা যেন বেরিয়ে নেমে আসছে, তারপর আর কিছুই মনে পড়ে না ।” নিরঞ্জন দেখিলেন, মায়ার হাত কঁাপিতেছে, গলার স্বরও কঁপিয়া যাইতেছে । তাড়াতাড়ি উঠিয়া গিয়া তাহার পাশে দাড়াইয়া, তাহার মাথায় হাত বুলাইতে লাগিলেন । বলিলেন, “ভয় পেয়োনা মা, জগতে অনেক জিনিষই ঘটে, যা আমরা এক্সপ্লেন করতে পারি না । কিন্তু ভয়ের কি আছে ? তোমার মা সংসারে তোমাকেই সবচেয়ে ভালবাসতেন, তাকে দিয়ে তোমার কোনো অনিষ্ট হবে না।” মায়ার চোখ দিয়া জল পড়িতে লাগিল । নিরঞ্জন কি যে বলিবেন, ঠিক করিতে পারিতেছিলেন না । মায়াকে সমস্ত ব্যপারটা বুঝিতে দেওয়া উচিত, কিন্তু বুঝাইতে গেলে সে কি মনে বেশী ব্যথা পাইবে ? যাহাই হউক, তাহাকে এই সংশয়ের দোলায় দুলিতে দেওয়া ঠিক হইবে না। তিনি মনস্থির করিয়া বলিতে লাগিলেন, "এটা দেখবার পরেই তুমি অজ্ঞান হয়ে যাও, অনেকক্ষণ পৰ্য্যস্ত তোমার জ্ঞান হয়নি। যখন জ্ঞান হ’ল, তখন খে গেল তোমার ‘মেমারি অনেকখানি ঝাপসা হয়ে গেছে, রেজুনে ষে কয় বৎসর কাটিয়েছ, তার কোনো স্বতি তোমার নেই।” भाद्र उज़ि९-शूहेन भङ छभूरुहेब cनाज श्ञ মহামায়া SASAeAeeeAMSMASHHAMAAASAASAASAASAAAS ASJMAAA AAAASAAAASLSL JMAJJAMAMAMAMAJAMeMAMS ہی بی-مہ۔عمرحلہ Rసిసి ഹTarunnoBot (আলাপ) ১৭:১৫, ১৬ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)സ...... বসিল । দারুণ বিস্ময়ে ও উত্তেজনায় তাহার মুখের চেহারাই অন্যরকম হইয়া গেল । কম্পিতকণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিল, “সত্যি বাবা, কিছু মনে ছিল না ? আমাকে নিয়ে তাহলে চলত কি ক’রে ?” নিরঞ্জন বলিলেন, “কি করে আর চলবে, মা ? খুবই ডিফিকাল্টা হত। তোমার ধারণা হয়েছিল, তোমার মায়ের মৃত্যুর পরে সবে তুমি এখানে এসেছ, সেইভাবেই তুমি চলতে, কথা বলতে। তোমাকে দেখবার লোক ছিল না ব'লে তখন ইন্দুকে আনালাম ।’’ - মায়া কিছু বলিল না, নিরঞ্জন একটুখানি খামিয়া বলিলেন, “তার সঙ্গে প্রভাসও এসেছিল।” মায়া নিরুৎসাহভাবে বলিল, “প্রভাসদ। আসবে বলেছিল বটে, ইস্কুলের বিষয় আলোচনা করতে।” আর প্রভাসের বিধয় সে কিছুই জিজ্ঞাসা করিল না । খানিক্ষণ সকলেই চুপ করিয়া রহিল, তাহার পর একটু যেন ইতস্তত: করিয়া মায়া জিজ্ঞাসা করিল, "বাবা, এখানকার কাউকেই কি আমি চিনতে পারতাম না ?” নিরঞ্জন বলিলেন, “না মা ।” মায়া মুখ ফিরাইয়া লইল । তাহার ভাবাস্তরের কারণ নিরঞ্জন ঠিকই বুঝিতে পারিলেন, ইন্দুকে বলিলেন, “আর ত রাত নেই, এর পর একটু চ ট খাওয়ার ব্যবস্থা করলে হয় ।” ইন্দু বলিল, “আচ্ছা, ঠাকুর, ছোকৃরা সবাই উঠেছে বোধ হয়, না উঠে থাকৃলেও তুলে দিচ্ছি। আয়, চলত আমার সঙ্গে।” আয় অন্য ঝি-চাকরদের বকিবার কোনো সুযোগ কোনোদিন ছাড়িত না, সে মহোৎসাহে ইন্দুর সঙ্গে সঙ্গে চলিল । इन्शू बाश्द्रि इहेश्व1 यांझेण्डहे भांब्रा छिछामी করিল, “বাবা, এইরকম অবস্থায় আমার কতদিন গিয়েছে ?” নিরঞ্জন বলিলেন, “দেড় মাসের বেশী হয়ে গেছে মা, দু'মাস প্রায় হতে চলল।” - মায়া জার কিছু বলিল না। ৰি যেন "স্বলিবার