পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 جبرا স্বায়ত্তশাধনে পৌছিতে কিছু সময় লাগিবে। অবস্থান্তর ঘটিধার এই যে সময়, এই সময়ের জন্য কতকগুলি ক্ষমতা ব্রিটিশ গবর্ণয়-জেনার্যাল নিজের হাতে রাখিবেন । সেই ক্ষমতাগুলির বিষয় আলোচনা করিবার পূৰ্ব্বে এই অবস্থাস্তর ঘটিবার সময়টির দৈর্ঘ্য বিবেচ্য । এই কাল কত দীর্ঘ হইবে তাহ জিজ্ঞাসা করিবার পূৰ্ব্বে জানা দরকার, তাহ নিদিষ্ট হইবে, না অনির্দিষ্ট হইবে। যদি ব্রিটিশ গবন্মেটি বলেন, উহ। বেশী লম্ব হইবে না, তাহা ও কখনই সন্তোযকর মনে করা যাইতে পারে না । ঠিক কত দীর্ঘ হইবে, জানিতে চাই ; দুই চার শতাব্দী, এক শতাব্দী, পঞ্চাশ বৎসর, বিশ পচিশ বৎসর, দশ বৎসর, পাঁচ বৎসর, না এক বৎসর ? সময়ট একটা অনাবশ্বক সত্ত নহে । কালক্রমে ভারতবর্ষে ব্রিটিশ প্রভু হু লুপ্ত হইবেই, পূর্ণ স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হইবেই । যদি ব্রিটিশ জাতি একট নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে নিজেদের প্রভুত্ব ছাড়িয় দিতে রাজী হন, তাহা হইলে তাহা তঁহাদের পক্ষে কল্যাণকর হইবে । কারণ, তাহ হইলে ভারতেতিহাসের অতীত সব ঘটনা সত্ত্বেও ভারতীয়ের ব্রিটিশ জাতির প্রতি মনের মধ্যে অনুকূলভাব পোষণ করিতে পারে। কিন্তু যদি ইংরেজরা, যতদিন সম্ভব, ভারতবর্ষে তাহাদের প্রভূত্ব আঁকড়াইয়া ধরিয়া থাকিতে চান, তাহ হইলে এই অতুকূলভাব পোষণ করা সম্ভবপর হুইবে না । বড়লাটের হস্তে রক্ষিত রাষ্ট্রীয় বিষয় বড়লাটের হস্তে কি কি রাষ্ট্রয় বিষয়ের ভার থাকিবে এবং কোন কোন বিঘয়ই বা ব্যবস্থাপকসভার নিকট দায়ী মন্ত্রীদের হাতে যাইবে, তাহী ব্রিটিশ প্রধান মন্ত্রী তাহার বক্তৃতায় পরিষ্কার করিয়া বলেন নাই । মোটামুটি একটা আভাস দিয়াছেন বটে। সেই আভাস হইতে আশা ও আরাম পাওয়া যায় ম৷ ৷ দেশরক্ষার ব্যবস্থার উপর ব্যবস্থাপক সভার কোন কর্তৃত্ব থাকিবে না । সৈন্যদল-সম্পৰ্কীয় কোন বিষয়সম্বন্ধে ব্যবস্থাপক সভা কিছু বলিতে পরিবেন না । সৈন্যদলের জন্য ভারতবর্ষের বাহিরে বা ভিতরে যুদ্ধাদির জন্য যত প্রবাসী—ফাল্গুন, ১৩৩৭ "t৩rপ ভাগ,২য় খs اسپم ব্যয় হইবে, ভারতবর্ষের রাজস্ব হইতে বড়লাট তাহ র্তাহার ইচ্ছামত লইবেন। ব্যবস্থাপক সভার মধুরীর উপর তাহ নির্ভর করিবে না । বর্তমান সময়ে সকলের চেয়ে বেশ খরচ হয় সামরিক বিভাগে । ভারতীয় যত রাজনৈতিক দল আছে, সব দলেরই অভিযোগ এই, যে, সামরিক বিভাগের ব্যয় অত্যস্ত বেশী হওয়ায়, ভারতবর্ষের উন্নতি ও কল্যাণের জন্য একান্ত আবশ্যক অনেক রাষ্ট্রীয়ু ব্যয় মোটেই করা হয় না, কিম্বা খুব সামান্য পরিমাণেই হয় । এই অসন্তোযকর অবস্থা অনির্দিষ্ট কালের জন্য, কিম্বা দুই চারি বংসরের জন্যও থাকিতে দেওয়া উচিত নয়। সামরিক বিভাগের ব্যয় নিশ্চয়ই ব্যবস্থাপক সভার আলোচ্য এবং তাহার মঞ্জরী অনুসারে হওয়া উচিত । সামরিক বিভাগটি অবস্থাস্তর ঘটিবার সময়ের জ9 g কেন ব্যবস্থাপক সভার নিকট দায়া মন্ত্রীর হাতে যাইবে না, তাহ ৪ বিচাৰ্য্য । ভারতীয় দৈন্যদলের প্রধান অধস্তন অফিসাররা সব ইউরোপীয় বলিয়ু যুদ্ধবিদ্যা সম্বন্ধে পর্যাপ্ত কাৰ্য্যগত ( practical ) জ্ঞান ভারতীয় শিক্ষিত শ্রেণীর লোকদের মধ্যে কাহারও নাই, বা অল্প লোকেরই আছে—পুথিগত জ্ঞান কাহারও কাহারও থাকিতে পারে। গবন্মের্ণট এইজন্য বলিতে পারেন, ব্যবস্থাপক সভার নিকট দায়ী এমন মন্ত্রী ভারতীয়দের মধ্যে কেমন করিয়া পাওয়া যাইবে যিনি সামরিক বিভাগের ভার লইবার যোগ্য ? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হইলে, ইংরেজরা যে আপত্তি করে তাহ ঠিক্‌ বলিয়া মানিয়া লইলে চলিবে না। স্বাধীন দেশ সকলে সামরিক বিভাগের কৰ্ত্ত কাহারা হয়, তাহ বিবেচনা করিতে হইবে । সভ্যতম দেশ সকলে সামরিক বিভাগ সম্বন্ধে এই নীতি সমীচীন বলিয়া গৃহীত, যে, যদিও যুদ্ধ ঘোষিত হইলে যুদ্ধ-বিদ্যায় পারদর্শী ও অভিজ্ঞ সেনাপতিই যুদ্ধ চালাইবেন, কিন্তু সামরিক বিভাগ থাকিবে অসামরিক ( সিবিল ) কর্তৃপক্ষের অধীনে । এই কর্তৃপক্ষীয় ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ যুদ্ধবিদ্যায় শিক্ষিত ও অভিজ্ঞ হইবেনই, এমন কোন নিয়ম নাই। ইংলণ্ডেও এই নীতি অসুস্থত ●