পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* નિરાક উহাদের শেষ ব্যক্তির পেন্সান লইয়া ইংলণ্ডে যাইতে পয়ল্লিশ বৎসর লাগিবে। সামরিক বিভাগের কর্তৃত্ব ব্যবস্থাপক সভার নিকট দায়ী ভারতীয় মন্ত্রীর হাতে নগেলে পয়ত্রিশ বৎসরেও সৈন্যদল কেবলমাত্র ভারতীয়ের দ্বারা চালিত হইবে না। এবং সৈন্যদল ইংরেজদের হাতে যতদিন থাকিবে, ততদিন ভারতবর্ষ নামে স্বরাজ পাইলেও পরাধীনই থাকিবে । সামরিক বিভাগের ভার ব্যবস্থাপক সভার নিকট দায়ী ভারতীয় মন্ত্রীর হাতে না আসিলে আর একটি অত্যাবশ্বক পরিবর্তনও হইবে না। ভারতীয় সৈন্যদলের জন্য সিপাহী-সংগ্রহ বর্তমানে প্রধানত: পঞ্জাবী মুসলমান ও শিখ এবং নেপালী গুর্থাদিগের মধ্য হইতে হইয়া থাকে। ভারতবর্ষকে নিজেদের শাসনাধীন রাখিবার জন্য ইংরেজরা এই দেশের নানাপ্রদেশের ভিন্ন ভিন্ন ধৰ্ম্মের ও জাতির লোকদের মধ্যে সামরিক ও অসামরিক (martial and non-martial ) of একটা কাল্পনিক শ্রেণীবিভাগ করিয়াছেন। অথচ, দূর অতীত কালের কথা ছাড়িয়া দিলেও, ইংরেজদের আমলেও প্রত্যেক প্রদেশ হইতেই অল্পাধিক:সিপাহী-সংগ্রহ কোন-না-কোন সময়ে করা হইয়াছে। আজ যাহাদিগকে অসামরিক জাতি বলা হইতেছে, এই প্রকার সিপাহীদের সাহায্যেই গবন্মেণ্ট স্বাধীন শিথ গুর্থ ও পঞ্জাবী মুসলমানদিগকে পরাজিত করিয়াছিলেন । দেশরক্ষার ভার কোন দুই-একটি প্রদেশের বা অঞ্চলের,কোন দুই-একটি জাতির হাতে থাকা উচিত নয়। কয়েকটি প্রদেশ বা জাতির উপর তাহ থাকিলে তাহদের ক্ষমতা ও অহঙ্কার বাড়ে, অপরের ভীরু বলিয়া কথিত হয় এবং সঙ্কটকালে যথেষ্ট সৈন্ত পাওয়া যায় না । এখন বলিতে গেলে ভারতবর্ষ প্রথমতঃ ইংরেজের অধীন এবং তাহার নীচে পঞ্জাবী মুসলমান ও শিখ গুর্থার অধীন। সিপাহী-সংগ্রহের বর্তমান প্রথা প্রচলিত রাথিলে ভারতবর্ষ যদি বা ইংরেজের অধীনতাপাশ হইতে মুক্ত হয়, তথাপি তথাকথিত “সামরিক” জাতিদের অধীন থাকিবে । এই অধীনতার উচ্ছেদসাধন করিতে প্রবাসী—ফান্তন, ల9ళి ............. TarunnoBot (আলাপ) ১৭:১৮, ১৬ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)------- TarunnoBot (আলাপ) ১৭:১৮, ১৬ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)**^^^^ [ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড ,ു ു.ഹസസ്.ു হইলে, দেশের সকল অঞ্চল, ধৰ্ম্মসম্প্রদায় ও জাতি হইতে সিপাহী সংগৃহীত হওয়া আবশ্যক। সকল অঞ্চলের, ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের ও জাতির লোকদের সৈনিক হইবার অধিকার আছে । সৈন্তদলের ব্যয় ভারতবর্ষের সব প্রদেশের সব ধৰ্ম্মসম্প্রদায় ও জাতির লোকদের প্রদত্ত ট্যাক্স হইতে নির্বাচিত হয় । এই ব্যয়ের কতক অংশ সিপাহীরা এবং তাহাদের হাবিলদার, সুবেদার প্রভূতি বেতন ও ভাতা বাবদে পায় । সামরিক বিভাগ কেবল দুই-একটি জাতি ও অঞ্চলের লোকেরই আয়ের উপায় হইবে, ইহা ন্যায়সঙ্গত নহে । ট্যাক্স সমগ্র ভারতবর্ষ দেয়, স্থতরাং বেতনাদি বাবদে তাহার কিয়দংশ ফেরত পাইবার অধিকার ভারতবর্ষের সব জায়গার লোকদেরই আছে । অবশ্ব সিপাহী হইবার মত লম্বাচোঁড়া মজবুত শরীর ও স্বাস্থ্য জাতিধৰ্ম্মনির্বিশেষে তাহাদের প্রত্যেকেরই চাই, যাহার সিপাহী হইতে চায়। বড়লাটের হাতে অন্যান্য “রক্ষিত” বিষয় বিদেশ সম্বন্ধীয় সব ব্যাপার বড়লাটের হাতে ন্যস্ত আর একটি “রক্ষিত” বিষয় হইবে । অন্তর্জাতিক সমুদয় চুক্তি, ভিন্ন ভিন্ন স্বাধীন দেশ এবং ভারতীয় দেশী রাজ্যসমূহের সহিত কোন প্রকার বন্দোবস্ত করিবার নিমিত্ত কথাবাৰ্ত্ত চালান ও বন্দোবস্ত করা এই “রক্ষিত বিষয়টি”র অন্তর্গত । এ পর্য্যন্ত এই রকম যত কাজ হইয়া আসিয়াছে, তাহ প্রধানতঃ গ্রেট বিটেনের স্বার্থের ও প্রভুত্বের দিকে লক্ষ্য রাখিয়া করা হইয়াছে । তাহাতে ভারতবর্ষের ক্ষতি এবং কখন কখন বদনামও হইয়াছে। দুই একটি দৃষ্টাস্ত দিতেছি । কারখানার শ্রমিকদের মঙ্গলের জন্য তাহারা প্রত্যহ ও প্রতি সপ্তাহে মোট কত ঘণ্টা কারখানার কাজ করিবে, তাহ নির্দিষ্ট হওয়া অবশুই উচিত । কিন্তু এবিষয়ে কোন নিয়ম হইলে তাহ সব দেশের—অস্তত: বহু কারখানাবিশিষ্ট প্রচুর পণ্যদ্রব্যোৎপাদক সব দেশের —প্রতি প্ৰযুজ্য হওয়া উচিত। লীগ অব নেশুদের সহযোগে আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটনে এইরূপ