পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bులిe - প্রবাসী—ফাল্গুন, ১৩৩৭ [७०* छां★, २ग्न ५७ یمنٹی;3. অনুগত, সুতরাং বড়লাট স্বভাবতই সাধারণত এমন কিছু :ক্টরিবেন না ঘহাতে ব্রিটেনের ক্ষতি হইতে পারে। জামরাও যে ব্রিটেনের ক্ষতির জন্য ক্ষতি করিতে চাই, তাহা নহে। কিন্তু ভারতবর্ষের সহিত ব্রিটেনের সম্বন্ধ অস্বাভাবিক বলিয়া ভারতবর্ষের ক্ষতি করিয়া ব্রিটেনের লাভ করিতে হয় । এই অবস্থা দীর্ঘকাল চলিয়া আসিতেছে। ব্রিটেনের এইপ্রকার লাভ বন্ধ না করিলে ভারতের মঙ্গল নাই । সুতরাং ভারতের মঙ্গল করিতে করিতে ব্রিটেনের অস্বাভাবিক ও অন্যায্য লাভ বন্ধ করা রূপ ক্ষতি অনিবাৰ্য্য । ইংরেজ বড়লাটের এই প্রকারে ব্রিটেনের ক্ষতি করিতে রাজী হইবেন না । সৈন্যদলের জন্য অত্যন্ত বেশী খরচ হয়। বড়লাটের হাতে উহার ভার থাকিলে ঐ খরচ কমিবে না এবং স্বাস্থ্যরক্ষা, শিক্ষা প্রভৃতির জন্য আবশ্বক ব্যয়ও যথেষ্ট করা চলিবে না । ফৌজদারী দণ্ডবিধির ও কার্যাবিধির কতকগুলি ধারা, পুলিস আইনের কোন কোন ধারা, বড়লাটের অডিন্যান্স জারি করিবার ক্ষমতা এরূপ ভাবে ব্যবহৃত হইয়াছে, যাহার দ্বারা ভারতীয়দের স্বাধীনচিত্তত দমন এবং স্বরাজলাভ চেষ্টায় ব্যাঘাত জন্মান অপেক্ষাকৃত সহজ হইয়াছে। স্বশাসক ভারতকে এই সব ধারা রদ বা পরিবর্তন করিতে হইবে। অডিন্যান্স করিবার ক্ষমতাও লুপ্ত বা সীমাবদ্ধ করিতে হইবে ;–বিশেষত: যদি ইংরেজকেই বড়লাট নিযুক্ত করিবার প্রথা বিদ্যমান থাকে। যদি আমাদের স্বরাজ এরূপ আকার ধারণ করে, যে, আমরাই দেশের প্রধান শাসককে নিৰ্ব্বাচন করিতে পারিব, তাহা হইলেও প্রধান শাসকের হাতে অনিয়ন্ত্রিত বেশী ক্ষমতা রাখা হিতকর ও বাঞ্ছনীয় হইবে না। প্রাদেশিক গবর্ণরদের বিশেষ ক্ষমতা প্রদেশগুলির সমুদয় আভ্যস্তরীণ বিষয় প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভার নিকট দায়ী এবং তাহার সভ্যসমূহ হইতে মনোনীত মন্ত্রীদের হস্তে অপিত হইবে । কেবল সমগ্র ভারতীয় কতকগুলি নিদিষ্ট বিষয় কেন্দ্রীয় ভারত গবন্মেন্টের এলাকাভুক্ত থাকিবে । কিন্তু "ব্যুনতম” কতকগুলি “বিশেষ ক্ষমতা প্রাদেশিক গবর্ণরদের হাতে থাকিবে । অসাধারণ বিশেষ অবস্থায় প্রদেশের শাস্ততা রক্ষার নিমিত্ত, এবং আইন দ্বারা সংখ্যানু্যনদিগকে ও চাকর্যেশ্রেণীসমূহকে ( পারিক সার্ভিস সমূহকে ) যে অধিকার দেওয়া হইবে সেই সব অধিকার গ্যারাটি করিবার অর্থাৎ ভোগের নিশ্চয়ত উৎপাদনের নিমিত্ত, গবর্ণরদের এই ক্ষমতা ব্যবহৃত হইবে । বড়লাটের হাতে সমস্ত দেশের শাস্ততা রক্ষার জন্য বিশেষ ক্ষমতা রাখিবার প্রস্তাব সম্বন্ধে যাহা বলিয়াছি, প্রাদেশিক গবর্ণরদের হাতে তদ্রুপ ক্ষমতা রক্ষা সম্বন্ধেও সেইরূপ কথাই বলিতে হয়। তাহার পুনরুক্তি করিব না । শাস্তিরক্ষার অজুহাতে অধস্তন কৰ্ম্মচারীরা যাহা করেন, তাহা সৰ্ব্বজনবিদিত । ংখ্যমৃনদের অধকার রক্ষার নিমিত্ত বড়লাটের হাতে বিশেষ ক্ষমতা রাখার বিরোধী আমরা যে-সব কারণে, প্রাদেশিক গবর্ণরদের হাতে সেইরূপ ক্ষমতা রাখারও বিরোধী তদ্বিধ কারণে। তাহারও পুনরুক্তি অনাবশ্যক । চাকর্যেদের অধিকার রক্ষার জন্য প্রাদেশিক গবর্ণরদিগকে বিশেষ ক্ষমতা দিবার চিন্তাটা ইংরেজ রাজপুরুষ ও বেসরকারী লোকদের মনে উদিত হইবার কারণ, ইংরেজ চাকর্যেদের ভবিষ্যৎ চিস্তা—অন্তত: প্রধানতঃ তাই । দেশী সরকারী চাকরোদের দশা স্বরাজ বা আংশিক স্বরাজের আমলে কি হইবে, তাহার জন্য সরকারী বা বেসরকারী ইংরেজদের মাথাব্যথা হইবার কোন স্বাভাবিক কারণ নাই। অবশু এখন গবন্মেটি পুলিসের কন্‌ষ্টেবল পৰ্য্যস্ত সকলেরই খ্যাতি রক্ষা ও বৃদ্ধির এবং অর্থাগমের দিকে মন দিয়া থাকেন ; কারণ তাহার। গবষ্মেন্টের উদ্দেশ্রসিদ্ধি করিয়া থাকে। স্বরাজের আমলে এরূপ কোন কারণে দেশী কোন শ্রেণীর চাকর্যেদের কথা ভাবিবার প্রয়োজন হইবে না । আমাদের বোধ হয়, ভারতীয়দের হাতে প্রাদেশিক সমস্ত ক্ষমতা আসিলে কোন শ্রেণীর বর্তমান কৰ্ম্মচারীর ইংরেজ বলিয়াই তাহাদিগকে তাড়াইয়া দিবার, তাহানের