পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b-లిపి পণ্ডিত মোতীলাল নেহরুর জীবনচরিত নানা দৈনিক কাগজে ছাপা হইয়াছে। তাহা এখানে বিবৃত করিবার স্থান ও সময় নাই । সৰ্ব্বসাধারণ যাহা অবগত নহেন, এরূপ দু-একটি কথা এখানে লিপিবদ্ধ করিব । স্থখভোগের, আরামের, বিলাসের জীবন হইতে ত্যাগের ও সাদাসিধা জীবনের মধ্যে তিনি আসিয়া পড়েন। এই পরিবর্তন কত বড়, তাহা বুঝাইবার জন্য একটি আখ্যান যথেষ্ট হইবে । কলিকাতার উকীল ও দানবীর রাসবিহারী ঘোষ খুব ধনী লোক ছিলেন, তাহা সকলেই জানেন । তাহা তাহার'সাৰ্ব্বজনিক নানা কাজে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা দান হইতেই অনুমিত হইবে । ঘোষ মঙ্গশষ্ট্র, ওঁকালতী উপলক্ষ্যে এলাহাবাদ যাইতেন এবং পত্তিত মোতীলালের বাড়িতে অতিথি হইতেন। বলা বাহুল্য সেখানে পরম সমাদরে ও আরামে থাকিতেন । পণ্ডিতজী কলিকাতায় অনেকবার আসিয়াছিলেন ; ঘোষ মহাশয়ের জীবদ্দশাতে হয়ত অনেকবার • তাহার অতিথি হইয়া থাকিবেন। একবার পণ্ডিতজীর কলিকাতায় আসিবার কথা হওয়ায় ঘোষ মহাশয় তাহাকে নিজের বাড়িতে থাকিতে নিমন্ত্রণ করেন । সেই উপলক্ষ্যে তিনি কলিকাতায় হাইকোর্টের উকীলদের লাইব্রেরীতে কথাপ্রসঙ্গে বলেন, “মোতীলাল আসিতেছেন, আমার বাড়িতে থাকিতে র্তাহার কষ্ট হইবে।” তাহ শুনিয়া অন্য উকীলরা হাস্যসম্বরণ করিতে পারেন নাই। তাহাতে ঘোষ মহাশয় তাহাদিগকে জানান, যে, তাহারা জানেন না মোতীলালের আনন্দভবনে আরাম ও বিলাসের কিরূপ বন্দোবস্ত আছে, সেইজন্য অবিশ্বাসের হাসি হাসিতেছেন । কথিত আছে, পণ্ডিতজী যখন স্বাধীনতার সংগ্রামে যোগ দেন নাই, তখন র্তাহার ও র্তাহার পরিবারবর্গের পরিচ্ছদ ধৌত হুইবার জন্য প্যারিসে প্রেরিত হইত। সেই মোতীলালের খন্দর-পরিহিত মূৰ্ত্তি কম উজ্জ্বল দেখাইত না । পণ্ডিতজী খুব রসিক লোক ছিলেন। কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে কংগ্রেস ভলাষ্টির হওয়া যখন বেআইনী বলিয়া প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩৩৭ [ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড গবন্মেণ্ট কর্তৃক ঘোষিত হয়, তখন পণ্ডিত মোতীলাল অনেক ঠ ভলাটিয়র সহ দণ্ডিত হইয়া লক্ষেী জেলে প্রেরিষ্ণু সোনে প্রচুর আহায্যের আয়োজন ছিল। মল্পর্কনিষ্ঠেরা"এরূপ উৎসাহ ও আমোদের সহিত এত বেশী খাইত, যে, পণ্ডিতজী পরিহাস করিয়া তাহাদিগকে বলেন, “ওহে, তোমরা এত বেশী খাইও না ; নইলে সরকার বাহাদুর আর তোমাদিগকে জেলে পাঠাইবেন না !” তিনি নিজেও কিন্তু বেশ ভোজনে নিপুণ ছিলেন। 籌 সাণ্ডারল্যাণ্ড সাহেবের লেখা “ইণ্ডিয়াইন বণ্ডেজ" বহির মুদ্রাঙ্কণ ও প্রকাশ উপলক্ষ্যে যখন আমাদিগকে দুই হাজার টাকা জরিমান দিতে হয়, তখন কেহ কেহ আমাদিগকে হাইকেটে আপীলঙ্করিতে বলেন। আমার তাহা করিবার ইচ্ছা ছিল না। যাহা হউক, সেই সময়ে পণ্ডিতজী তাহার পুত্রবধুর চিকিৎসা উপলক্ষ্যে একবার কলিকাতা আসেন। তখন আমি তাহার সহিত দেখা করি, এইরূপ ইচ্ছা তিনি প্রকাশ করায় আমি মাজিষ্ট্রেটের রায়টা লইয়া ব্যারিষ্টার শ্রযুক্ত নিশীথ সেনের সহিত র্তাহার সঙ্গে দেখা করিতে যাই । হোটেলে তাহার কামরায় তাহার সহিত দেখা হইবামাত্র তিনি হাসিয়া *foscow, “So you have got 鹫 !” তাহার পর আমি তাহাকে রায়ট। দিলাম । তিনি তাহা ভাল করিয়া পড়িলেন। পড়া শেষ হুইবার পর so रॉनहू, “As a lawyer, I would not advise. you?” appeal. As a politician I should listerou to appeal.” তাহার পর বলিলেন, আপীলে মাজিষ্ট্রেটের রায় উন্টিয়া যাইবার সম্ভাবনা খুব কম, নাই বলিলেও চলে , , তাহার সহিত আর্মর দুইবার পত্রব্যবহার র্তাহার একবারের চিঠি ও টেলিগ্রামের কেবল দু-একটি কথার উল্লেখ করিব ; তাহাতে র্তাহার মুক্তহস্ততার পরিচয় পাওয়া যাইবে। অধুনালুপ্ত র্তাহার ইণ্ডিপেণ্ডেণ্ট নামক দৈনিক কাগজ যখন এলাইবাদে প্রতিষ্ঠিত ‘ স্থাপিত হইবার কথা ছুয়, তখন তিনি আমাকে উই"ি সম্পাদকতা গ্রহণ করিৰার জন্ত দীর্ঘ চিঠি লেখেন।