পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] ASA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSASAMSASAMAMAAAS S বিবিধ প্রসঙ্গ—পণ্ডিত মোতালাল নেহরু b"○○ TarunnoBot (আলাপ) ১৭:১৯, ১৬ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)്TarunnoBot (আলাপ) ১৭:১৯, ১৬ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)--ഹ: কোন কোন কারণে ঐ চিঠির উত্তর দিতে थाशत्र বিলম্ব হওয়ায় তিনি একটি লম্বা টেলিগ্রাম পাঠান। চিঠি ও &fa£tts &C* C*t*i fùv, “Name you, own salary”—“আপনার বেতন আপনি নিজেই স্থির করিবেন ।” তিনি বলিয়াছিলেন, “আপনি প্রথমে মাস-তিন এলাহাবাদে থাকিয়া কাগজট চালাইয়া দিয়া যান । তাহার পর কলিকাতাতেই থাকিতে পারেন ; মধ্যে মধ্যে আসিবেন, কাগজের পলিসি ডিরেক্ট করিবেন ; কিন্তু কোন সময়েই আপনাকে প্রত্যহ লিখিতে হইবে না। ইচ্ছা ও প্রয়োজন হইলে গুরুতর বিষয়ে লিখিবেন ।” **te oa, “I have the ambition to bring back The Modern Review ultimately to the city where it was born" তিনি এইরূপ সদাশয়তা প্রকাশ করিলেও চাকরি করিবার ইচ্ছ না থাকায় ইণ্ডিপ্লেটের সম্পাদকতা গ্রহণ করিতে পারি নাই । --- অন্য পত্রব্যবহার হইয়াছিল গত বৎসর। কংগ্রেস ওয়াকিং কমিটি এই অনুরোধ করেন, যে, সমুদয় ভারতীয় স্বাশস্যালিষ্ট থবরের কাগজ যেন বন্ধ করিয়া দেওয়া হয় ; কারণ গবন্মেটি মুদ্রার্যন্ত্রের ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খুব সীমাবদ্ধ করিয়া প্রেস অডিন্যান্স জারি করিয়াছিলেন। সব কাগজ বন্ধ করিয়া দেওয়াতে আমার আপত্তি ছিল । তাহ সম্মানসহকারে তাহাকে জানাইয়াছিলাম। তাহার উত্তর তিনি দিয়াছিলেন। কি উত্তর তিনি দিয়াছিলেন তাহ এখন বলিব না। র্তাহার পত্রখানি আমি" রাখি নাই, কিন্তু অত্যাবশ্বক কথাগুলি মনে আছে। আমার প্রত্যুত্তর তিনি পাইয়াছিলেন। তাহার পর তিনি যে শেষ উত্তর দেন, তাহা আমি পাই নাই_ তাহা পুলিসের হস্তগত হয়, এবং তাহার বিচারের সময় আদালতে তাহার দস্তখত প্রমাণ করিবার জন্য ব্যবহৃত হয়। আমাকে লিখিত এই শেষ চিঠিটি পুলিসের হাতে দেখিয়া তিনি আদালতে মুচকি হাসি হাসিয়াছিলেন। তিনি কয়েকবার জেলে যান। শেষের দিকে যখন একবার তাহাকে দয়া করিয়া জেল হইতে খালাস দিবার 'ృళరి=33 কথা হয়, তখন তিনি বলেন, “আমি চাই না, যে, আমঠু . প্রতি কোন অনুগ্রহ করা হয় ।” তিনি অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিবার পর, যখন বিদেশী বস্ত্র ত্যাগ ও স্বদেশী বস্ত্র ব্যবহারের সঙ্কল্প অসহযোগীরা করেন, তখন শুনিয়াছি তাহার নিজের পরিধেয়ই দশহাজার টাকার ভস্মীভূত হয়। পরিবারবর্গের পরিধেয় কত টাকার পুড়িয়াছিল জানি না । এলাহাবাদে আনন্দ ভবনের হাত বিস্তীর্ণ। সাবেক আনন্দভবন এখন স্বরাজভবন নামে পরিচিত ও পুলিসের হস্তগত । তাহা তিনি কংগ্রেসকে দান করিয়াছিলেন । অতবড় ঘরবাড়ি ও হাত রক্ষা করিবার মত আয় দেশসেবায় আত্মোৎস্থষ্ট পুত্র জবাহরলালের থাকিবে না বলিয়া তিনি বলিতেন, পুত্রের জন্য একটি কুটার (cottage) নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছেন । উহাই বৰ্ত্তমান আনন্দভবন। পণ্ডিত মোতীলাল নেহরু মহাশয় স্বদেশের কেবল রাষ্ট্রীয় মুক্তিই চাহিতেন না । কেবল তাহা চাহিলেও যে সামাজিক কুসংস্কার ও কুপ্রথার উচ্ছেদসাধন ব্যতিরেকে তাহা পাওয়া যাইবে না,ইহা তিনি জানিতেন। এইজন্তু তিনি কংগ্রেসের সভাপতিরূপে কলিকাতায় তাহার অভিভাষণে “গঠনমূলক” কাৰ্য্যতালিকায় সমাজসংস্কারের প্রয়োজনীয়তা দেখাইয়াছেন। তিনি কেবল মতে নহে, কার্য্যেও সমাজসংস্কারক ছিলেন । লাহোরে ১৯২৯ সালের ডিসেম্বর মাসে “জগত-পাত-তোড়ক” ( জাতিভেদ ও পংক্তিভেদের উচ্ছেদসাধক ) কনফারেন্সে জাতিভেদের উচ্ছেদের সমর্থন করিয়া একটি বক্তৃতা করেন। তাহাতে তিনি বলেন, “আমার বয়স এখন ৬৯ ; ১৮ বৎসর বয়স হইতেই আমি জাতিভেদ ও পংক্তিভেদ না মানিয়া চলিতেছি।” তিনি স্থবক্তা ছিলেন । র্তাহার বক্তৃতীয় ভাবের উচ্ছ্বাস থাকিত না। যাহা বলিতেন, যুক্তির সহিত বিশদভাবে বলিতেন । পণ্ডিত মোতীলাল নেহরুর মৃত্যুতে শোকের চিহ্নস্বরূপ এবং তাহার পরলোকগত আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাইবার জন্য নানা স্থানে মান জনে নানা রূপ আচরণ ও ব্যবস্থা করিবেন। শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ