পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b^రిg স্বয়ং হবিধান্ন গ্রহণ করিয়াছিলেন এবং বিশ্বভারতীর ছাত্রেরাও তাহা করেন, এই ইচ্ছা প্রকাশ করিয়াছিলেন ছুটি দেওয়াকে তিনি ভাল মনে করেন না। আমাদের ইহার উপর এইটুকু বক্তব্য আছে, যে, হবিষ্যন্নি-গ্রহণের জাতীয় প্রথা আমাদের পরিত্যাগ করিবার কোন হেতু माझे । ইংরেজদের স্বার্থসংরক্ষণের প্রস্তাব . গোলটেবিল বৈঠকের কাজ কতকগুলি সাব-কমিটির দ্বারা খণ্ড খণ্ড ভাবে করা হইয়াছিল। সংখ্যান্‌ানদের জন্ত কি কি ব্যবস্থা হওয়া দরকার, তাহা ঠিক করিবার জন্য যে সাব-কমিটি হয়, তাহার রিপোটের চৌদ্দ ধারাটির মুলাবিদ নিম্নলিখিতরূপ হইয়াছে – “At the instance of the British commercial community the principle was generally agreed to that there should be no discrimination between the rights of the British Mercantile community, firms and companies trading in India and the rights of India-borns and that an appropriate convention based on reciprocity should be entered into for the purpose of regulating these rights. It was agreed that the existing rights of the European community in India in regard to criminal trials should be maintained.” এই ধারাটির তাৎপৰ্য্য এই, যে, ভারতবর্ষের ব্যবসাবাণিজ্য ক্ষেত্রে ইংরেজদের ও ভারতীয়দের অধিকারে কোন পার্থক্য থাকিবে না, এবং ফৌজদারী আদালতে ইউরোপীয়দের বিচারে তাহাদের এখন যে-সব বিশেষ অধিকার আছে, তাহ রক্ষিত হইবে । ভারতবর্ষের পণ্যশিল্প ও ব্যবসাবাণিজ্য ইংলণ্ডে কিরূপ শুল্ক বসাইয়া ও আইন করিম নষ্ট করা হর, তাহা সংক্ষেপে বামলদাস বস্থ মহাশয়ের “রুইন অব, ইণ্ডিয়ান ট্রেড এণ্ড ইণ্ডাষ্ট্রীজ,” পুস্তকে লেখা আছে। ভারতবর্ষেও কোম্পানীর আমলে যাহা করা হইয়াছিল, তাহা ভারতবর্ষের কোন সত্য ইতিহাস পড়িলে তাহ হইতে জানা যাইবে। ভারতবর্ষ যখন ইংলঞ্জের মহারাণীর হাতে আসে, তখন ভারতীয় ব্যবসাবাণিজ্য ও পণ্যশিল্প ধ্বংসের পথে এতট অগ্রসর হইয়াছিল, প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ২য় খণ্ড যে, বিলাতী ব্যবসাদার ও বিলাতী পণ্যদ্রব্যের গুতি পক্ষপাতিত্ব দেখাইয়া কোন আইন করিবার প্রয়োজন হয় নাই। কিন্তু ব্যবসাবাণিজ্যের, খনি হইতে খনিজ দ্রব্য উত্তোলন বিক্রী এবং রেলে পাঠাইবার, আরণ্য বৃক্ষ, লতাতৃণাদি আহরণের, চা কফি রবারের বাগান করিবার, বিদেশ হইতে জিনিষ আমদানী রপ্তানী করিবার, রেলে মাল পাঠাইবার ব্যবস্থা করিবার, ব্যাঙ্কের ও অন্যান্য নানা রকমের সুবিধা দিবার ক্ষমতা যে-সব সরকারী কৰ্ম্মচারীর হাতে আছে, তাহার। ইংরেজ হওয়ায় এবং গবন্মেণ্টও ইংরেজ গবন্মেটি হওয়ায় ইংরেজরা ব্যবসাবাণিজ্যক্ষেত্রে খুব বেশী সুবিধা ভোগ করিয়া আসিতেছে।. ভারতীয় জাহাজ নিৰ্ম্মাণ এবং ভারতীয় জাহাজের দ্বারা যাত্রী ও মাল বহন কোম্পানীর আমল হইতে নানা বাধা বশতঃ খুব কমিয়া আসিয়াছে। এ বিষয়ে চেষ্টা সত্ত্বেও ভারতীয়ের আর পূর্ব অবস্থায় পৌছিতে পারিতেছে না। এখন যদি ভারতীয় ব্যবসাবাণিজ্য, পণ্যদ্রব্যের কারখানা, ভারতীয় জাহাজ, ভারতীয় ব্যাঙ্ক প্রভৃতিকে সেই সব বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়, যাহা ইংরেজদের কারবার আদি এতদিন ভোগ করিয়া আসিতেছে, যদি এখন বিলাতী জিনিষসকলের উপর সেইরূপ বেশী পরিমাণ শুল্ক বসান হয় যেরূপ শুল্ক বিলাতে ভারতীয় জিনিবের উপর একদা বসান হইয়াছিল, এবং যদি এখন ভারতীয় জাহাজসকলকে ভারতীয় উপকূল বাণিজ্যের একচেটিয়া অধিকার দেওয়া হয়, তাহ হইলেই ভারতে বাণিজ্যিক ও আর্থিক স্বরাজ স্থাপিত হইয়া ভারতবর্ষ দারিদ্র্য-দশা হইতে আবার স্বচ্ছল অবস্থায় উপনীত হইতে পারে। নতুবা রাষ্ট্রীয় স্বরাজ ফাক কথা মাত্র হইবে। ഴ്ത്ത് অসাম্যের দ্বারা ইংলণ্ডের প্রতি পক্ষপাত দেখাইয় ইংলণ্ডকে ধনী করা হইয়াছে। এখন ভারতবর্ষে কেবল মাত্র ভারতবর্ষের লোকদিগকে এমন কতকগুলি অধিকার দেওয়া চাই, যাহা বিদেশীরা ভোগ করতে পাইবে না। নতুবা প্রকৃত সাম্য স্থাপিত হইতে পারিবে না। দুজন লোকের মধ্যে একজন জার