পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখা ] একজন লোককে গৰ্ত্তে পতিত দেখিয়া যদি বলে, অতঃপর তোমার আমার অবস্থা ও অধিকার সমান অথর্ণহে বর্তমানবাহ হওয়া চাই, তাহা হইলে সেরূপ সাম্য কেমন অদ্ভুত শুনায়! সেরূপ সাম্যের ফল এই হইবে, যে, গৰ্ত্তে পতিত ব্যক্তি গৰ্ত্তেই থাকিবে, এবং অপর ব্যক্তি স্বচ্ছদে ৰেখানে সেখানে গিয়া যদৃচ্ছ। ধনসম্পদ আহরণ করিতে পারিবে। আমরা ইংরেজদিগকে তাহাদের স্বদেশে গৰ্ত্তে ফেলিতে চাহিতেছি না । আমরা কেবল এই চাহিতেছি, যে, আমাদের দেশে আমরা গৰ্ত্ত হইতে উঠিয়া খাইবার পরিবার, সভ্য সমুন্নত জীবনযাপন করিবার মত বিত্ত আহরণ যেন করিতে পারি, এবং সমানভাবে বা পরোক্ষভাবে ( প্রতিযোগিতার দ্বারা ) কোন বিদেশী তাহাতে বাধা দিতে যেন না পারে, প্রত্যেক স্বাধীন দেশেই কোনন-কোন সময়ে প্রয়োজনমত স্বদেশী বাণিজ্য ও শিল্পকে রক্ষা করিবার ও উৎসাহ দিবার জন্য বৈদেশিকদের প্রতিযোগিতা হইতে তাহাকে র্যাচাইবার ব্যবস্থা করা হইয়াছে । এই ব্যবস্থা করিবার অধিকার আমরা লাভ করিতে ন পারিলে, আমরা যেমন পরাধীন আছি তেমনি পরাধীনই থাকিয়া যাইব । দারিদ্র্যও আমাদের ঘুচিবে না। ইউরোপীয় আসামীদের বিচারের সময় যে বিশেষ অধিকার তাহাদের আছে, সেইরূপ অধিকার ইউরোপীয়ের জাপান চীন তুরস্ক পারস্য প্রভৃতি দেশে বলপূৰ্ব্বক ভোগ করিত। কিন্তু ঐসব দেশ যেমন যেমন প্রবল ও প্রকৃতপ্রস্তাবে স্বাধীন হইয়াছে, তেমনি তথায় তাহাদের ঐ প্রকার তথাকথিত “অধিকার” লুপ্ত হইয়াছে ও হইতেছে। ঐ সব দেশে ইংলণ্ডীয় আইন, శిఖి বিচারপ্রণালী এবং ইংলণ্ডীয় রীতিতে শিক্ষিত বিচারক ছিল না ও নাই। তথাপি ইউরোপীয়দের “অধিকার লুপ্ত হইয়াছে। কারণ স্বাধীন যাহার, তাহার। অন্ত কোন দেশের মানুষ মাত্রকেই শ্রেষ্ঠ জীব বলিয়া স্বীকার করিয়া আত্মাবমাননা করিতে পারে না। আমাদের বর্তমান রাষ্ট্রীয় অবস্থা আমাদের অপমানের বিষয়। স্বরাজলাভের চেষ্টার মূলে কারণীভূত -*------- বিবিধ প্রসঙ্গ - সাইমনের জিত SAASAASAASAAMMSJAAA AAAA AAAA ASASASAMMMMMeAeAAMAeeS b^&a } ও প্ৰবৰ্ত্তক যে সব ভাব আছে, বিদেশীদের সহিত সামা: | স্থাপন করিয়া আত্মাবমাননা হইতে মুক্তিলাভ তাহারণ " মধ্যে অন্যতম। আসাম্যের অপমান যদি থাকিয়াই যায়, তাহা হইলে "স্বরাজ” কথাটা লইয়া আমরা কি করিব ? সাইমনের জিত সাইমন কমিশনের সভ্যদিগকে, অন্ততঃ স্তার জন সাইমনকে, যাহাতে গোলটেবিল বৈঠকের সভ্য করা হয়, তাহার জন্য বিলাতে আন্দোলন হইয়াছিল । কিন্তু বর্তমান ব্রিটিশ গবন্মেন্টের প্রধান মন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীর চতুর লোক বলিয়া তাহাতে রাজী হন নাই । ইহাও বলা হইয়াছিল, যে, ঐ বৈঠক স্বাধীন বৈঠক হইবে, অর্থাৎ সাইমন কমিশনের রিপোর্টে বা তাহার উপর ভারত গবন্মেণ্টের বিস্তৃত মস্তব্যে যে-সকল প্রস্তাব করা হইয়াছে, গোলটেবিল কনফারেন্স সেই সকল প্রস্তাব গ্রহণ করিতে বা তাহার দ্বারা চালিত হইতে বাধ্য থাকিবে না। ভারতবর্ষে মডারেট নেতাদের মধ্যে সাইমন কমিশন বর্জনে স্তার তেজ বাহাদুর সাপ্রী সকলের চেয়ে বেশী জিদ ও দৃঢ়তা দেখাইয়াছিলেন। কিন্তু বাস্তবিক কাৰ্য্যত: যাহা ঘটিয়াছে, তাহাতে সাইমনেরই জিত হইয়াছে এবং তাহা বুঝিতে না পারিয়া কিম্বা আত্মপ্রসাদ লাভ করিবার নিমিত্ত ডাঃ সাপ্র প্রভৃতি গোলটেবিলওয়ালারা তাহাকে নিজেদেরই কৃতিত্ব ও জিত বলিয়া ঘোষণা করিতেছেন। ইহাকে ইংরাজীতে নিয়তির পরিহাস বলে । সাইমন কমিশন যতগুলি রিজার্ভেশ্বন চাহিয়াছিলেন, অর্থাৎ যতগুলি রাষ্ট্রীয় বিষয় ও তৎসম্বন্ধীয় ক্ষমতা ইংরেজ গবন্মেন্টের অর্থাৎ বড়লাট ও র্তাহার পরিবাদের হাতে রাখিবার প্রস্তাব করিয়াছিলেন, তাহার ইহুদী ধৰ্ম্মভাই লর্ড রেডিঙের সকৌশল চেষ্টায় কাৰ্য্যতঃ তৎসমুদয়ই বড়লাটের হাতে রাখিবার প্রস্তাব গোলটেবিল বৈঠকের ঘাড়ে চাপান হুইয়াছে। একদিকে কেন্দ্রীয় ভারতগবন্মেন্টের কাৰ্য্যে মন্ত্রীদিগকে ব্যবস্থাপক সভার নিকট দায়ী করিবার সিদ্ধান্ত ভেৰী বা কথার কথা মাত্র হইৰে ;