পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাশিয়ার শিক্ষাবিধি ঐরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বার্লিন কল্যাণীয়াস্ন আশা, রাশিয়া ঘুরে এসে আজ আমেরিকার মুখে চলচি এমন সন্ধিক্ষণে তোমার চিঠি পেলুম। রাশিয়ায় গিয়েছিলুম ওদের শিক্ষাবিধি দেখবার জন্যে। দেখে খুবই বিস্মিত হয়েছি। আট বছরের মধ্যে শিক্ষার জোরে সমস্ত দেশের লোকের মনের চেহারা বদলে দিয়েছে। যারা মূক ছিল তারা ভাষা পেয়েচে, যারা মূঢ় ছিল তাদের চিত্তের আবরণ উদঘাটিত, যারা অক্ষম ছিল তাদের আত্মশক্তি জাগরূক, যারা অবমাননার তলায় তলিয়ে ছিল, আজ তারা সমাজের অন্ধ কুঠুরী থেকে বেরিয়ে এসে সবার সঙ্গে সমান আসন পাবার অধিকারী। এত প্রভূত লোকের যে এত দ্রুত এমন ভাবান্তর ঘটতে পারে তা কল্পনা করা কঠিন। এদের এক কালের মরাগাঙে শিক্ষার প্লাবন বয়েচে দেখে মন পুলকিত হয়। দেশের এক প্রাপ্ত থেকে আর এক প্রান্ত সচেষ্ট সচেতন । এদের সামনে একট। নূতন আশার বীথিক দিগন্ত পেরিয়ে অবরিত-সৰ্ব্বত্র জীবনের বেগ পূর্ণমাত্রায়। এরা তিনটে জিনিষ নিয়ে অভ্যস্ত ব্যস্ত আছে। শিক্ষ, কৃষি এবং যন্ত্র। এই তিন পথ দিয়ে এরা সমস্ত জাতি মিলে চিত্ত, অন্ন,এবং কৰ্ম্মশক্তিকে সম্পূর্ণতা দেবার সাধনা করবে। জামাদের দেশের মতই এখানকার মানুষ কৃষিজীবী । কিন্তু আমাদের দেশের কৃষি একদিকে মূঢ় আর একদিকে অক্ষ, শিক্ষা এবং শক্তি দুই থেকেই বঞ্চিত। তার একমাত্র ক্ষীণ আশ্রয় হচ্চে প্রথা-পিতামহের আমলের চাকরের মত, সে काब कब्र कम चषक कर्पूरु रुद्र বেশি। তাকে মেনে চলতে হ’লে তাকে এগিয়ে চলবার উপায় থাকে না। चषझ बज्र वज्र ब९णब ८षक ८ण पूँत्त्वि झन्छ। আমাদের দেশে কোনো এক সময়ে গোবৰ্দ্ধনধারী সাগরপারে তিনি চলে গেছেন । .কৃষ্ণ বোধ হয় ছিলেন কৃষির দেবতা, গোয়ালার ঘরে র্তার বিহার ; তার দাদা বলরাম, হলধর । ঐ রাঙল অস্ত্রটা হ’ল মানুষের যন্ত্রবলের প্রতীক। কুষিকে বল• দান করেচে যন্ত্র। আজকের দিনে আমাদের কৃষিক্ষেত্রের কোনো কিনারায় বলরামের দেখা নেই— তিনি লজ্জিত—যে-দেশে তার অন্ত্রে তেজ আছে সেই রাশিয়ায় কৃষি বলরামকে ডাক দিয়েচে, দেখতে দেখতে সেখানকার cरूमाब्र१९७rना च५७ श्रध्न छैठेन, ऊँीब्र न्डन इप्नब्र স্পর্শে অহল্যাভূমিতে প্রাণসঞ্চার হয়েচে । একটা কথা আমাদের মনে রাখা উচিত, রামেরই হলযন্ত্ৰধারী রূপ হচ্চে বলরাম । ১৯১৭ খৃষ্টাব্দে এখানে যে বিপ্লব হয়ে গেল তার আগে এদেশে শতকরা নিরানব্বই জন চাৰী আধুনিক হল্যন্ত্র চক্ষেও দেখেনি। তারা সেদিন আমাদেরই চাষীদের মত সম্পূর্ণ দুৰ্ব্বলরাম ছিল, নিরক্স, নিঃসহায়, নিৰ্ব্বাক । আজ দেখতে দেখতে এদের ক্ষেতে হাজার হাজার হলযন্ত্র নেমেচে । আগে এরা ছিল যাকে আমাদের ভাষায় বলে কৃষ্ণের জীব—আজ এরা হয়েছে বলরামের जल ! m क्रूि सधू षप्ङ्ग ८कोप्ना कांछ झग्न नां षङ्गेौ रुनि भांश्य না হয়ে ওঠে। এদের ক্ষেতের কুষি মনের কৃষির সঙ্গে সঙ্গে এগোচ্চে। এখানকার শিক্ষার কাজ সজীব প্রণালীতে । আমি বরাবর বলে এসেচি শিক্ষাকে জীব-যাত্রার সঙ্গে মিলিয়ে চালানো উচিত। তার থেকে অবচ্ছিন্ন ক’রে নিলে ওটা ভাণ্ডারের সামগ্ৰী হয়, পাকযন্ত্রের খাদ্য হয় না। এখানে এসে দেখলুম এর শিক্ষাটাকে প্রাণবান করে তুলেচে। তার কারণ এরা সংসারের সীমা থেকে ইস্কুলের সীমাকে সরিয়ে রাখেনি। এরা পাস করাবার কিম্বা পণ্ডিত করবার জন্তে শেখায় না--সৰ্ব্বতোভাবে মাকুব করবার জন্তে শেখায় । আমাদের দেশে বিদ্যালয়