পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] , পড়ার শিক্ষা নয়। নিজের ব্যবহারকে, চরিত্রকে একটা বৃহৎ লোকযাত্রার অনুগত ক’রে এরা তৈরি করে তুলচে । সেই সম্বন্ধে এদের একটা পণ আছে এবং সেই পণরক্ষায় এদের গৌরববোধ। আমার ছেলেমেয়ে এবং শিক্ষকদের আমি অনেকবার বলেচি, লোকহিত এবং স্বায়ত্তশাসনের যে দায়িত্ব বোধ আমরা সমস্ত দেশের কাছ থেকে দাবি ক’রে থাকি শাস্তিনিকেতনের ছোট সীমার মধ্যে তারই একটা সম্পূর্ণ রূপ দিতে চাই । এখানকার ব্যবস্থা ছাত্র ও শিক্ষকদের সমবেত স্বায়ত্তশাসনের ব্যবস্থা হওয়া দরকার,—সেই ব্যবস্থায় যখন এখানকার সমস্ত কৰ্ম্ম স্বসম্পূর্ণ হয়ে উঠবে তখন এইটুকুর মধ্যে আমাদের . সমস্ত দেশের সমস্তার পূরণ হ’তে পারবে। ব্যক্তিগত ইচ্ছাকে সাধারণ হিতের অস্তুগত ক'রে তোলবার চর্চ রাষ্ট্রীয় বকৃতfমঞ্চে দাড়িয়ে হতে পারে না, তার জন্যে ক্ষেত্র তৈরি করতে হয়—সেই ক্ষেত্র আমাদের আশ্রম। একটা ছোট দৃষ্টান্ত তোমাকে iদই । আহারের রুচি এবং অভ্যাস সম্বন্ধে বাংলা দেশে যেমন কদাচর এমন আর কোথাও নেই। পাকশালা এবং পাকযন্ত্রকে অত্যস্ত অনাবশুক আমরা ভারগ্রস্ত করে তুলেচি। এ সম্বন্ধে সংস্কার করা বড় কঠিন । স্বজাতির চিরন্তন হিতের প্রতি লক্ষ্য ক’রে আমাদের ছাত্রর ও শিক্ষকেরা পথ্য সম্বন্ধে নিজের রুচিকে যথোচিত ভাবে নিয়ন্ত্রিত করবার পণ গ্রহণ করতে যদি পারত তা হ’লে আমি যাকে শিক্ষা বলি সেই শিক্ষা সার্থক হ’ড । তিন-নয়ে সাতাশ হয় এইটে মুখস্থ করাকে আমরা শিক্ষা বলে গণ্য করে খাকি, লেসম্বন্ধে ছেলের কোনো মতেই ভুল না করে তার প্রতি লক্ষ্য না করাকে গুরুতর অপরাধ বলে জানি, কিন্তু যে-জিনিষটাকে উরস্থ করি ধে-সম্বন্ধে শিক্ষাকে তার চেয়ে কম দাম দেওয়াই মূর্খতা । পামাদের প্রতিদিনের খাওয়া সম্বন্ধে আমাদের সমস্ত cग:१ब्र कारश् नांब्रिख् त्रांटझ ७वर cन, नॉब्रिख् चउि গুরুত্বর—সম্পূর্ণ উপলব্ধির সঙ্গে এটাকে মনে রাখা #ী:পর মার্কার চেয়ে অনেক বড় | আমি এদের জিজ্ঞাস করলুম, “কেউ-কোনো অপরাধ *३:न यथाट्न उठांब्र विशांन कि " রাশিয়ার শিক্ষাবিধি નન્દ একটি মেয়ে বললে, “আমাদের কোনো শাসন নেই, ८कन-ना जांयब्रा निtखटमब्र भांखि हेि ” আমি বললুম, “আর একটু বিস্তারিত ক'রে বলে। কেউ অপরাধ করলে তার বিচার করবার জন্তে তোমরা কি বিশেষ সভা ডাকো ? নিজেদের মধ্যে থেকে কাউকে কি তোমরা বিচারক নির্বাচন করে ? শাস্তি দেৱার বিধিই বা কি রকমের ?” - একটি মেয়ে বললে, “বিচারসভা যাকে বলে তা নয়, আমরা বলা কওয়া করি । কাউকে অপরাধী করাই শাপ্তি, তার চেয়ে শাস্তি আর নেই।” একটি ছেলে বললে, “সেও দুঃণিত হয় আমরাও দুঃখিত হই, বাস চুকে যায়।” আমি বললুম, “মনে করে কোনো ছেলে যদি ভাবে তার প্রতি অযথা দোষারোপ হচ্চে তা হ’লে তোমাদের উপরেও আর কারও কাছে কি সে ছেলের আপিল চলে ?” ছেলেটি বললে, “তখন আমরা ভোট নিই— অধিকাংশের মতে যদি স্থির হয় যে সে অপরাধ করেছে তা হ’লে তার উপরে আর কথা চলে না।” আমি বললুম, “কথা না চলতে পারে, কিন্তু তবু ছেলেটি যদি মনে করে অধিকাংশই তার উপরে অল্পায় করচে তাহলে তার কোনো প্রতিবিধান আছে কি ?” একটি মেয়ে উঠে বললে, “তাহলে হয়ত আমরা শিক্ষকদের পরামর্শ নিতে ঘাই—কিন্তু এরকম ঘটনা কখনও ঘটেনি।” আমি বললুম, "যে একটি সাধনার মধ্যে সকলে আছ সেইটেডেই আপনা হতেই অপরাধ থেকে তোমাদের রক্ষা করে ।” ওদের কৰ্ত্তব্য কি প্রশ্ন করাতে বললে, “অন্ত দেশের লোকেরা নিজের কাজের জন্ত অর্থ চায় সম্মান চায়, আমরা তার কিছুই চাই নে, আমরা সাধারণের হিত চাই। আমরা গায়ের লোকদের শিক্ষা দেবার জন্তে পাড়াগায়ে शांहे, कि क८ब्र शब्रिकांब्र श्रध्न थाकरङ श्ब्र, नकल कोश কি করে বুদ্ধিপূর্বক করতে হয় এই সব তাদের বুঝিয়ে দিই। অনেক সময়ে আমরা তাদের মঞ্চে গিয়েই বাস