পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సెe8 AMAAASAASAAAS [ ७०* छांगं, २ग्न थ७ মধ্যে যে প্রাদেশিকত্বটুকু সমানভাবে বৰ্ত্তমান, মহাত্মা গান্ধী, লালা’ লাজপৎ রায়, পণ্ডিত মোতিলাল নেহরু, এমন কি বালগঙ্গাধর তিলকের মধ্যেও ততটুকু প্রাদেশিকত্বের বাঝ পাওয়া যায় না। এ-বিষয়ে অবাঙালী নেতার বাঙালী নেতাদের অপেক্ষ অনেক বেশী থাটি ভারতবর্ষীয়। বাংলাদেশের স্বাতন্ত্র্যবোধ ও অস্কান্ত প্রদেশের স্বাতন্ত্র্যবোধের মধ্যে দ্বিতীয় পার্থক্য छेशम्र श्रदलशान । नङाझे झछेक किश्यां कब्रिडझे छ्छेक, বাঙালীর স্বাতন্ত্র্যবোধ যেমন ভৌগোলিক, ভাষাগত ও সংস্কৃতিগত ঐক্যকে আশ্রয় করিয়া আত্মপ্রকাশ করিতেছে, অন্তান্ত প্রদেশের স্বাতন্ত্রাবোধ সেরূপ কিছু করিতে পারে নাই। উহাদের অবলম্বন সাধারণতঃ সম্প্রদমগত স্বাতন্ত্র্য বা স্বার্থের বোধ। সেজন্য উহাদের শক্তি অপেক্ষাকৃত কম। শিখের স্বাতন্ত্র্যবোধ, মারাঠার স্বাতন্ত্র্যবোধ, অনাচরণীয় জাতিদের স্বাতন্ত্র্যবোধ, মুসলমানের স্বাতন্ত্রাবোধ ভারতীয় ঐক্যের পথে বাধা নয়, এ-কথা কেহ বলিবে ন । কিন্তু তবুও একটি একটি করিয়া প্রদেশ ধরিলে উহারা খণ্ড খণ্ড, বহুবিচ্ছিন্ন, সংখ্যাবলহীন ও অনেক সময়ে পরস্পরবিরোধী । বাঙালী প্রাদেশিকস্বাতন্ত্র্যবাদিগণ নিজেদের পিছনে ষে একটা অখও, বিরাট জনশক্তি আছে বলিয়া দাবি করিতে পারেন, এ সকল সম্প্রদায়ের নেতাদের পক্ষে তাহ করা সম্ভবপর নয়। vষরতীয় ঐক্যের দিক হইতে সেই সকল সম্প্রদায়ের জিস্তিত্ব একটা ভাবনার বিষয় বটে, কিন্তু দ্বস্তর বাধা নয় । এই ত গেল বাহিরের কথা মাত্র। বাঙালীর স্বাতন্ত্র্যবোধ ও অন্যান্য প্রদেশের স্বাতন্ত্র্যবোধের মধ্যে প্রকৃতিগত বৈষম্য আরও গভীর। বাংলার বাহিরের স্বাতন্ত্র্যবোধ প্রধানতঃ দুইটি জিনিষের উপর প্রতিষ্ঠিত—এক, ঐ সকল প্রদেশের অধিবাসীদের স্থানীয় আচার-ব্যবহারের প্রতি আসক্তি অথবা ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় ও সামাজিক গোড়ামি, দ্বিতীয়তঃ, উহাদের আর্থিক স্বার্থ (चानक गयरबोहे छाइौ) ब्रेक कबिबाब हेका। जरे श्रेब्रि यषभर्छिब्र भ्रूण चनाफ़ चउँौएडब्र, विडौबाक्लब স্বার্থবোধের মধ্যে। এই দুইয়ের কোনটাতেই প্রেরণা, नांदे, जहौर्षडांब्र , जब्ज चां८छ् ? डांशे डांशदनग्न गएक বৰ্ত্তমান যুগের ন্যাশনালিজমের ছৰ্দ্দম গতি রোধ করা অসম্ভব। তবে ধে তাহারা এখনও টিকিয়া আছে তাহার একমাত্র কারণ উহাদের অস্তিত্বের সহিত বিদেশী শাসকের স্বার্থের যোগ। ষে মুহূর্তে ব্রিটিশ রাজশক্তি উহাদের পিছন হইতে অপস্থত হইবে সেই মুহূৰ্ত্তেই উহাদের মূলোচ্ছেদ হইয়া যাইবে। বাংলা দেশের প্রাদেশিকত্ব সম্বন্ধে একথা বলা চলে না। উহা স্বাধ বোধ মাত্র নয়, উহা একটা সজ্ঞান, পূর্ণবিকশিত জাতীয়ত্ববাদ ।” ষে পাশ্চাত্য জাতীয়ত্ববাদ ভারতীয় জাতীয়ত্বের প্রাণরস জোগাইতেছে, বাঙালীত্বের উৎসও তাহাই। এ-দুয়েরই মুখ ভবিষ্যতের দিকে। ર আমাদের দেশের শিক্ষিত সাধারণের নিকট মসিয় জুলিয়। বাদার নাম পরিচিত কিনা বলিতে পারি না। ইনি এ-যুগের একজন বিখ্যাত ফরাসী লেখক ও চিস্তাবীর । লব্ধপ্রতিষ্ঠ ইংরেজ সমালোচক মি: হারবাট রীড মসিয় বাদাকে বর্তমান জগতের দুই তিন জন "Significant thinker"-এর এক জন বলিয়া অভিহিত করিয়াছেন। Šrgfą La Trahison des Clercs zstą* frontes পুস্তকে বর্তমান যুগের স্কাশনালিজমের ধারা ও প্রকৃতির যে বিশ্লেষণ আছে, তাহার সহিত বাঙালী স্বাজাত্যবোধের একটি আশ্চৰ্য্য মিল দেখিতে পাই । মসিয় বাদ ষে-চারিটি জিনিষকে বর্তমান জগতের জাতীয়ত্বের বিশিষ্ট ধৰ্ম্ম বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন, তাহার প্রত্যেকটিই বাঙ্গালীর প্রাদেশিক স্বাওঁৰ্যবোধের মধ্যে উগ্রভাবে বর্তমান। সেজন্যই আমাদের প্রাদেশিকত্বকে নিতান্তই একটা অবাস্তুর অথবা নগণ্য ব্যাপার" ক্লি"। উড়াইয় দিবার জো নাই। উহার মধ্যে ভারতবর্ষের বর্তমা অনৈক্যের অপেক্ষাও অনেক বেশী বিপজ্জনক বিরোধের বীজ নিহিত আছে। অথচ আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, বহু বাঙালীই এ-সম্বন্ধে সচেতন নন। বৰ্ত্তমান যুগের স্কাশনালিজমের আলোচনা করিতে গিয়া মলিয় বাদা প্রথমেই ষে লক্ষশটির উল্লেখ করিয়াছেন, তাহা এই—তিনি বলেন এ-যুগের গণতান্ত্রিক জাতীয়তা জাগের চেয়ে অনেক বেশী আবেগপ্রবণ ( bien plus