পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] মেঘ ও রৌদ্র సిరి) . একটা চাড়া দিয়া বলিলেন,—চিন্নাও মৎ। হয়েছে কি দিকে চাহিয়া দোখলেন, বলিলেন-মানুষ তো ঐসা খুলে বলে । বংশীলোচন একবার কুকুরটার দিকে চাহিল। তারপর একবার নিজের রক্তমাখ আঙুলটার দিকে চাহিয়া বলিল—হজুর, ঘুম থেকে উঠে একবার মাঠে গেছলাম। মাঠ থেকে এসে গাডুটা রেখে যেমনি - ঘরে ঢুকুব, অমুনি,–কিছুর মধ্যে কিছু না, কোখেকে হতভাগা কুকুরটা এসে দিলে এই আওলটায় কাকু করে একটা কামড় বসিয়ে । একেবারে রক্তগঙ্গা বয়ে গেল ছজুর! আঙলটা একেবারে এফোড় ওফোড়, করে দিয়েছে হুজুর । হুজুর মা বাপ, এর একটা বিহিত । করুন, হুজুর । হুজুর ক্রকুট করিয়া বলিলেন—ছ । কার এ কুকুর ? বংশীলোচন কাদ-কঁাদ মুখে বলিল,—জানিনে, হুজুর । হুজুর মা বাপ । দারোগ৷ সাহেব আর একবার গম্ভীর মুখে বলিলেন— “ছ।” তারপর খানিকক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া চীৎকার করিয়া উঠিলেন,—এ সব চলবে না । কুকুর-পোষার সখটা বের কচ্ছি । কোমরে দড়ি বেঁধে হিড় হিড় করে থানায় টেনে নিয়ে যাব । পিঠে দু’ ঘা পড়লেই কুকুরপোষার সর্থ মিটে যাবে। রাম সিং, দেখ ত কুকুরটা কার । শালাকে কান ধরে থানায় নিয়ে গিয়ে একবার মজাটা টের পাইয়ে দি । কার এ কুকুর ? চারিদিকের জনতা একবার মুখ চাওয়া-চাওয়ি করিল, छि८फ़्ब्र भ८था झ्हे८ङ ८क थरूछन बजिब्रां ऊँटैिल--७ül তো স্তর পুলিস সায়েবের কুকুর । একটু চমকিয়া উঠিয়া দারোগ সাহেব কুকুরটাকে একবার আপাদমস্তক দেখিয়া লইলেন, কিছু যেন স্থির করিতে পারিলেন না। রাম সিং-এর দিকে জিজ্ঞাস্বনেজে চাহিয়া যেন প্রশ্ন করিতে লাগিলেন, তুমি কি বল ? রাম সিং তখন অত্যন্ত নিলিপ্তভাবে আকাশের দিকে চাহিয়াছিল। দারোগ সাহেবের সহিত চোখাচোগি হইবামাত্র সে বলিয়া উঠিল,—বড়ী উমস খালুম হোজী হৈ, হুজুর, শায়দ বরসেগ।” দারোগ সাহেব চট্‌ করিয়া একবার জাকাশের হী পড়ত হৈ ।” তারপর বংশীলোচনের দিকে ফিরিয়া কড়া স্বরে বলিলেন-দেখ, এ কথাটা আমি কিছুতেই বুঝত্বে পাচ্ছি না, এতটুকুন একটা কুকুরের বাচ্চা তোমার মত বুড়ো ধাড়িকে কামড়ালে কি ক’রে ! তোমার অমন হাড়িপানা মুখ দেখেই তো কুকুর ভয়ে এগোবে না. যাও যাও, কোথেকে আঙল কেটে এসে এখন স্বাকামো করা হচ্ছে। মিথ্যেবাদী কোথাকার । কষে দু’ ঘা লাগিয়ে দিলেই ঠিক হয় ! চলো. রাম সিং । বলিয়া তিনি চলিয়া যাইবার উপক্রম করিতেছেন, এমন সময় ভিড়ের মধ্য হইতে একজন লোক আগাইয়া আসিয়া বলিল—হুজুর, বংশীর একটা কথাও বিশ্বেস করবেন না। ওটা একটা পাড় মাতাল । সারা রাত মদ খেয়েছে। ভোরবেলা কুকুরটা পথ দিয়ে যাচ্ছিল দেখে সেটাকে ধরে এনে কাধে করে কতক্ষণ ধেই ধেই করে নেচেছে। তারপর একটা সিরগেট এনে যাই কুকুরটার মুখে গুজে দিতে গেছে আমনি সেটা ওর আণ্ডলে কাঞ্চ করে একটা কামড় লাগিয়ে দিয়েছে। কুকুরের আর দোষ কি, হুদুর ? মাহুষকে আমন করলে মানুষও ওকে কামড়ে দিত ! এই তো সেদিন— বংশী বাধা দিয়া বলিল—হয়েছে, হয়েছে, তোর আর বক্তিমে কতে হবে না। তুই-ই কত ধৰ্ম্মপুত্ত্বর যুধিষ্ঠির জানা আছে । গুলিখোর আবার এখানে বিদ্যে ফলাতে এসেছে। সিরগেট গুজব কিরে গাধা ? সিরগেট কি এখন কেউ খায় নাকি রে ?” রাম সিং গর্জন করিয়া উঠিল--এইয়ে, হল্প মৎ করে । বংশী তর্ক ছাড়িয়া দারোগ সাহেবের দিকে ফিরিয়া লম্বী সেলাম করিয়া বলিল—হজুর, বড়সাহেবের কুকুর আমি চিনি । এটা বড়সাহেবের কুকুর নয় । —ঠিক তো ? —ইl, হুজুর । চারিদিকের দুই চারিজন লোকও মাথা মাডিয়া তাহার কথার সমর্থন করিল। e